সেইসঙ্গে এসএনসি-লাভালিনের শতাধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানকেও একই মেয়াদের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্ব ব্যাংকের সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা।
বুধবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পদ্মা প্রকল্পে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় সমঝোতার ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে এসএনসি-লাভালিন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তের মধ্যেই কম্বোডিয়ায় পল্লী বিদ্যুতায়নের একটি প্রকল্পে
এসএনসি লাভালিনের দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্ব ব্যাংকের কাছে আসে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি সমঝোতা অনুযায়ী সব শর্ত অনুসরণ করলে আট বছর পর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর গত জানুয়ারির শেষে বাংলাদেশ সরকার তাদের ‘না’ করে দেয়।
এই প্রকল্পের কাজ পেতে দুর্নীতির অভিযোগে এসএনসি-লাভালিনের দুই কর্মকর্তা রমেশ শীল ও মোহাম্মদ ইসমাইলের বিচার চলছে কানাডায়।
বিশ্বব্যংকের ইন্টিগ্রিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট লিওনার্ড ম্যাকার্থি বিবৃতিতে বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরপরই আমরা বিষয়টি রয়্যাল কানাডীয় পুলিশকে জানিয়েছি। দুর্নীতি ও জালিয়াতির ঝুঁকি কমিয়ে আনার যে প্রতিশ্রুতি এসএনসি-লাভালিন বিশ্ব ব্যাংককে দিয়েছে, তা তারা নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিপালন করবে বলেই আমি আশা করি।”