somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাবিজাবি প্রশ্ন ( পর্ব-১)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিটা মুহূর্তে আমাদের মনের কোণে হাজারো প্রশ্ন উঁকি দেয়। কোনোটা হয়তো উদ্ভট,কোনোটা হাস্যকর আবার কোনটা কেমন জানি যেগুলো মানুষকে জিজ্ঞেস করলে না জানে হাসে। এরকম কিছু হাবিজাবি প্রশ্ন নিয়েই আজকের এই পর্ব।

• শীতকালে শীত বা গ্রীষ্মকালে কেন গরম লাগে?

পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এ ঘোরার সময় পৃথিবী সূর্যের দিকে সামান্য হেলে থাকে। পৃথিবী আবার তার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে।

এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনও সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনও উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সে অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়। আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এসময় থাকে গ্রীষ্মকাল।

একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল।



• পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?

পেঁয়াজে সালফারযুক্ত বিভিন্ন যৌগ থাকে এর মধ্যে এর মধ্যে অন্যতম হলো Amino Acid Sulphoxide. পেঁয়াজ কাটলে এর কোষের ভেতরের অ্যালিনেজ (allinase) নামক এনজাইম বের হয়ে আসে, যা amino acid sulfoxides যৌগগুলোকে উদ্বায়ী সালফোনিক এসিড এ পরিণত করে; যা চোখের পানির সংস্পর্শে আসামাত্র syn-propanethial-S-oxide নামক যৌগ তৈরী করে, এটিই চোখে পানি আনার জন্য দায়ী। চোখের পানির সংস্পর্শে মৃদু সালফিউরিক এসিড তৈরী হয়, তাই চোখ জ্বালাপোড়া করে।



• অন্য প্রাণিদের সাঁতার শিখতে হয় না কিন্তু মানুষের কেন শিখতে হয়?

সব প্রাণি তরল পদার্থের মধ্যে জন্মায়।আমরা মায়ের পেটে পুরোপুরি তরল পদার্থের মধ্যে থাকি। পানি বা তরল পদার্থের মধ্যে জন্মানোর কারণে কোনো প্রাণিকেই সাঁতার শিখতে হয় না,সব প্রাণিই জন্ম থেকে সাঁতার পারে।

কিন্তু সাঁতার একটা অভ্যাস। কেও যদি জন্মের পর দীর্ঘ দিন সাঁতার না কাটে তাহলে মস্তিষ্ক সেটা গ্রহণ করতে পারে না।মস্তিষ্ক ভেবে নে যে সে সাঁতার কাটতে পারে না।এজন্য শিশু অবস্থায় মানুষ দীর্ঘ দিন সাঁতার কাটে না বলে নতুন করে শিখতে হয়।



• কারও কারও অল্প বয়সে চুল পাকে কেন?

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও নানাবিধ অশান্তির কারণে মানুষের চুল পেকে যেতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন হরমোন এ জন্য দায়ী।

অ্যাড্রেনালিন হচ্ছে বৃক্কীয় গ্রন্থি-নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। সাধারণত মানুষ ভীত বা রাগান্বিত হলে অ্যাড্রেনালিন হরমোন মানুষকে শান্ত ও স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। তবে অত্যধিক মানসিক চাপ বা অশান্তির সময় এ হরমোনের কারণে মানুষের চুলের রং পরিবর্তিত হয়ে যায়।



• লিফট দিয়ে নামার সময় নিজেকে হালকা মনে হয় কেন?

যখন লিফট ব্যবহার করে নিচে নামা হয় তখন স্থির অবস্থান থেকে একটি ত্বরণের সৃষ্টি হয় এবং লিফটের সাপেক্ষে সেই ত্বরণ অভিকর্ষজ ত্বরণের চেয়ে কম হয়। এ কম ত্বরণ নিয়ে আমরা লিফটের উপর আমাদের ওজনের চেয়ে কম বল প্রয়োগ করি।

ফলে আমরা হালকা বোধ করি। অর্থাৎ আমাদের ওজন কম মনে হয়।

এজন্য লিফট দিয়ে নিচে নামার সময় নিজেকে হালকা লাগে।



• নখ বা চুল কাটলে আমরা ব্যাথা পাই না কেন?

আমাদের শরীরে ‘কেরাটিন’ নামে একটি পদার্থ আছে। এদিয়ে নখ তৈরি হয়। আমরা জানি, অনেক কোষ দিয়ে আমাদের শরীর তৈরি। নখ, চুলও এক ধরনের কোষ। চামড়ার বাইরে বের হলে এই কোষগুলি দরকারি পুষ্টির অভাবে এক সময় মারা যায়। তাই নখ, চুল এক ধরনের মরাকোষ।

আঙুলের চামড়ার ভেতরে নখ থাকে। আবার নখের নিচের চামড়ার ভেতরে নখ থাকে। আবার নখের নিচের চামড়ায় এক ধরনের নরম সুতা বা আঁশ থাকে। এ আঁশগুলো নখের সাথে আটকে থাকে। নখগুলোকে জায়গা মতো ধরে রাখে। এজন্য নখ শক্ত হয়, নড়াচড়া করে না। মৃত বা মরাকোষ দিয়ে তৈরি বলে নখ কাটলে আমাদের ব্যাথা লাগে না।

চুলও চামড়ার ভেতরে খুবই নরম অবস্থায় থাকে। কিন্তু চামড়ার বাইরের দিকের চুল দরকারি পুষ্টির অভাবে শক্ত হয়ে যায় এবং একসময় মরে যায়। এ কারণে চুল কাটলেও আমাদের ব্যাথা লাগে না।



তথ্যসূত্রঃ Wikipedia,prothom-alo,Bissoy Answers,banglanews24,sattacademy etc
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×