আমি বরাবরই এক্সট্রোভার্ট। আমার ইমোশনগুলো আমার মতই উত্তেজিত, একরোখা। আমার ভয়ংকর ভালবাসা আর ভয়ঙ্কর ঘৃণার মাঝামাঝি কিছু নেই। আমার এক কাজিনের ভাষায় প্রচণ্ড রাগে আমি বেগুণী হয়ে যাই,লজ্জায় লাল>>নীল...অতঃপর বেগুণী হয়ে যাই। রঙ পরিবর্তনের ব্যাপারটা ঠিক না জানলেও, ২০১২ সালে একটা মানুষের জন্মদিনে যে ছটফট করছিলাম সেটা ঠিকি মনে আছে। (এখন করছি কিনা জিজ্ঞেস করবেন না কেউ দয়া করে)। আমি নিজের কাছে নিজেই স্বীকার করতে রাজি ছিলাম না যে খুব খুব খুব বাজে ভাবে আমি তার প্রেমে পড়েছি। বাজেভাবে প্রেমে পড়া ব্যাপারটা কি টীকা দিয়ে বোঝালে ঠিক বোঝা যাবেনা।আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের ভাষায় সেটা ছিল “শ্রেষ্ঠতম ছ্যাঁচড়ামি” ( And I completely agree) । ক্রমাগত ফোন করে যাচ্ছি “ভদ্রলোক” (!!!!) কে । কোনভাবেই তিনি “ভায়া” দূরালাপনি আমার সাথে কথা বলবেন না। কারণ পরনারীদের সাথে তিনি বিনা কাজে কথা বলেননা ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রতো কোন ছাড়!! আমিও নির্লজ্জের মত ফোন করেই যাচ্ছি। এক পর্যায়ে তিনি বলেই ফেললেন “খুব ভাল লাগে নিজেকে অপমান করাতে?” পরের চারটা বছর ছিল ঘটনাবহুল, আবেগ আর ইগোর বাড়াবাড়ি সংঘাত। কিন্তু আমার কাছে ২৫ ডিসেম্বর আর শুধু ক্রিসমাসের ছুটি ছিল না,সেটা ছিল আমার প্রিন্স চার্মিং এর পয়দা দিবস। হ্যাঁ আমার কাছে উনি বরাবরই প্রিন্স চার্মিং। না হোক ঘোড়ায় চড়ে আসা রাজপুত্র, আমি আমার উনাকে নিয়ে যত জল্পনা কল্পনা করেছি তার অর্ধেক ও সিনডারেলা তার রাজপুত্রকে নিয়ে করেনি আমি হলফ করে বলতে পারি। যদিও প্রায় সবটাই সত্যি হতে এখনো বাকি, আপাতত আমি তার লাল টুকটুকে বউ সাজার জন্য অপেক্ষা করছি :”> যখন তার বার্থডে সেলিব্রেট করার মত কাছের মানুষ ছিলাম না তখন সেমিস্টার ফাইনাল ডিসেম্বর শুরু হতে না হতে শেষ হয়ে যেত, আর এখন বছর দুয়েক ধরে ফাইনালটা পড়ে তার জন্মদিন মাঝখানে রেখে। আমার তখন রীতিমত হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছা করে। মনে মনে আমি যদিও আতশবাজি ফুটিয়ে আর রঙ বেরঙের ফানুশ উড়িয়ে আকাশ ঢেকে ফেলি, কিন্তু আমার চকোলেটকে তো আর তা দেখাতে পারিনা শুভ জন্মদিন আমার উনি যেমনটা বলেছিলাম জন্মদিনটা আপনার হলেও সবচেয়ে বড় গিফটটা কিন্তু আমার।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৮