কঙ্গোর ইবোলা নদীর নাম থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এটি মূলত একটি আরএনএ ভাইরাস। ইবোলা ভাইরাসের পাঁচটি গোত্রের মধ্যে দুটি মানুষকে সংক্রমণ করতে সক্ষম নয়, বাকি তিনটি মানুষের দেহে রোগের বিস্তার ঘটায়। যার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো জায়ারে ইবোলা ভাইরাস। বর্তমানে এ রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ হিসেবে জায়ারে ইবোলা ভাইরাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লক্ষণ
উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর। রক্তক্ষরণ। ডায়রিয়া ও বমি। মাথাব্যথা। পেশি, গলায় ও পেটে ব্যথা। দুর্বলতা বা ক্লান্তি বোধ করা। ক্ষুধা-মন্দা দেখা দেওয়া। চোখ, কান, নাক থেকে রক্তক্ষরণ। মুখ ও মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণ। চোখ ফুলে যাওয়া। চামড়া ব্যথায় অনুভূতি বৃদ্ধি। পুরো শরীরে লাল ফুসকুড়ি।
ভয়াবহ এ ভাইরাসটি মানবদেহে রক্তপাত ঘটায়। লিভার, কিডনিকে অকেজো করে দেয়, রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত করে।
প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা
ইবোলা ভাইরাস নির্ণয় করতে ব্যবহৃত পরীক্ষা হলো সিবিসি, লিভার ফাংশন টেস্ট, নির্দিষ্ট ভাইরাস অ্যান্টিবডি।
চিকিৎসা
প্রচুর পানি খেতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন দেওয়া লাগতে পারে। সঙ্গে প্রয়োজন অনুসারে হালকা বেদনানাশক দেওয়া হয়। তথ্য মতে, এ রোগে মৃত্যুর হার ৬০-৯০ শতাংশ। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে রোগ শনাক্ত করে সঠিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায়, তবে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা