somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের ঘড়ি তত্ব

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা গোল ঘড়ি।১২টা থেকে শুরু হয়ে ঠিক বিপরীত দিকের ৬য়ের ঘর পেরিয়ে আবার ১২তে যেয়ে শেষ হয়। আপনি হাজারো চেষ্টা করলেই কিন্তু সময়ের এই নিয়ম মেনে চলাটাকে থামাতে পারবেন না,তাই আমরা এটার সাথেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি,এটিকেই মেনে নিয়েছি। তাহলে কেন আমরা জীবনের ক্ষেত্রে সেটাকে মানতে পারি না???

আমাদের সবকিছুই ঐ ঘড়ির মত নিয়ম মেনে চলে। ১২তেই আমাদের জীবন শুরু,আস্তে আস্তে সেটি বিপরীত দিকের ৬ ঘর পেরিয়ে এসে আবার ১২তেই শেষ হয়। এর মধ্যেই আমরা জীবন সীমাবদ্ধ। আমার চট্টগ্রামে একটা প্রবাদ আছে "গুরা বুড়া এক সমান""। মানে হচ্ছে বাচ্চা এবং বৃদ্ধ মানুষ এক সমান। এটাকে ধরতে পারেন এই ঘড়ি তত্বের একটা চমৎকার উদাহরণ। ১২তেই আমাদের জীবন শুরু হয়, এই সময়ে আমাদের একটু এক্সট্রা কেয়ারের প্রয়োজন হয়,ঠিক তেমনি একজন মানুষ চক্র শেষ করে আবার যখন ১২এর আশে পাশে পৌঁছায় তখনও তার এক্সট্রা কেয়ারের প্রয়োজন হয়। আপনি হাজারটা চেষ্টা করেন,কিন্তু এই নিয়মকে ব্রেক করতে পারবেন না,এটা সম্ভব না। আপনাকে এটা মেনে নিয়েই চলতে হবে...

এই পৃথিবীর বাকি জিনিসগুলোর ব্যাপারেও ব্যাপারটা একই। ঘড়ির ১২তে মানুষের সৃর্ষ্টি হল,সেই সময়ে মানুষ নগ্ন থাকতো, অশালিন ছিল,তারপর ঘড়ির কাটা এগুতো থাকলো আর মানুষও কাপড় চোপড় পড়া শিখলো,সভ্য হতে থাকলো। তারপর নিয়মমত ঘড়ির কাটা ৬ ঘরের এল এবং মানুষও পুরোপুরি শালিন এবং সভ্য হল। তারপর আবার ঘড়ির কাটা যতই আস্তে আস্তে ১২র ঘরের দিকে যেতে শুরু করলো ততই আমাদের মধ্যে আবার সেই আদিম যুগের অভ্যাসগুলো ফিরে আসতে লাগলো। আমরা আবার নগ্ন হতে, অসভ্য হতে শুরু করলাম। ব্যাপারটা দেখতে খারাপ লাগলেও আসলে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই, আমরা একটা নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ,এটাকে ভঙ্গ করার ক্ষমতা আমাদের নেই।

আমাদের বর্তমান যে অস্থির পরিস্তিতি, মানুষের মধ্যে যে এত্ত হিংসা,হিংস্রতা,বর্বরতা এসবের জন্য আসলে আমাদের তেমন কোন দোষ নেই,আমরা সিষ্টেমের সঙ্গী মাত্র।এসব ভাল হয়ে যাবে,ঠিক হয়ে যাবে এসব যতই আশা করা হোক না কেন আসলে বাস্তবতা হচ্ছে কিছুই ঠিক হবে না,বরং দিন দিন অবস্থা আরো খারাপ হবে,কারণ আমরা আবার ১২র ঘরের কাছাকাছিই পৌঁছে যাচ্ছি। তাই এসব মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে,এছাড়া আর কোন উপায় নেই..

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×