somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম এবং ইসলামিক দলসমূহ

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইসলাম আসলে কি? এ প্রশ্নটির জবাব খুজতে গেলে প্রথমেই আরবি শব্দ “ইসলাম” এর সঠিক অর্থ জানতে হবে। ইসলাম এর সরাসরি শাব্দিক অর্থ হল- আত্মসমর্পন আর এই ইসলাম শব্দটি এসেছে আরবি হরফ ছিন, লাম, মিম হতে । এ তিনটি হরফ এর উচ্চারন হতে যা পাওয়া যায় তা ইংরেজিতে অনুবাদ করলে আসে ৫টি শব্দ যেমনঃ surrender, submission, obedience, sincerity and peace । আর তা বাংলায় বললে হয় এরকমঃ- মানুষ ও জ্বিন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে একমাত্র আল্লহ্‌(সুবহানা তাআলা)এর উপর বিশ্বাস আনার পর তাঁরকাছে নিজেকে পরিপূর্ণ আত্বসমর্পণ করে, আল্লহ্‌(সুবঃ)এর সকল আদেশ নিষেধের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করে সত্যিকারের বাধ্যতা ও আন্তরিকতার সাথে তাঁর আদেশ নিষেধ পালন করবে, যদিও তারা আল্লহ্‌(সুবঃ)কে তাদের সীমাবদ্ধ দৃস্টি দ্বারা না দেখতে পায়। আর এভাবে চলার মাধ্যমে তারা ইহকালেও শান্তি পায় এবং পরকালে থাকে চরম শান্তির ব্যাবস্থা। আর এটাই হল ইসলাম। আর যখন কেউ এই ইসলাম মানার চেষ্টা করে বা মানে তখন তাকে বলা হয় মুসলিম বা আত্মসমর্পনকারী। মোটকথা ইসলাম হল এমন একটি পুর্নাংগ দ্বীন বা জীবন ব্যাবস্থা, যার মাধ্যমে মানুষ ও জ্বিনের যা যা দরকার সঠিক পথে চলতে তার সবই আছে এই ইসলাম ধর্মে, এমনকি পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক নিষিদ্ধ জিনিসও সিদ্ধ হয়ে যায় সাময়িকভাবে। একই সৃষ্টকর্তার দেয়া পেছনের অন্যান্ন ধর্মেও সৎকাজ করার নির্দেশ এবং মিথ্যা না বলার নির্দেশ এবং অশান্তি সৃষ্টি না করার নির্দেশ সরাসরি দেয়া হলেও তা অর্জনের পথ দেখাতে ব্যার্থ বিশেষ করে বর্তমান জামানায় পুরো বিশ্ব এবং সকল জাতির জন্য কারন – আল্লাহর ধর্ম বা ইসলামের আর্বিভাব হয় হযরত আদম(আঃ)এর দ্বারা এবং পরিপুর্নতা লাভ করে হযরত মুহাম্মদ(সঃ)এর দ্বারা। হযরত মুহাম্মদ(সঃ)এর পূর্বে যত নবী ও রসুল এসেছিলেন, তাদের কাজ ছিল নির্দিস্ট কিছু জাতি ও গোত্রের উপর এবং নির্দিস্ট কিছু সময়ের জন্য অর্থাৎ একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নবী এসেছিলেন এবং তাদের কাজ ছিল তাদের নিজস্ব জাতি ও গোত্রের ধরন অনুযায়ি বিভিন্নরকম। এবং সেসব নবী ও রসুল এর আনুসারিরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ স্থানের নবী ও রসুল এর কথানুযায়ি চলত ফলে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে একই ধর্মকে স্থান,জাতি,গোত্রের ও পরিবেশের উপর ভিত্তি করে বিভিন্নরকম(শুধুমাত্র তখনকার সময়ের জন্য) মনে হলেও আসলে মুল ধর্ম একটাই ছিল। আর একই ধর্মটাকে বিভিন্নরকম মনে হয়ার কারন তখনকার সময়ে একদেশের মানুষরা অন্যদেশের মানুষদের মন মানষিকতা,পরিবেশ পরিস্থিতি ও সংষ্কৃতি সন্মন্ধে মোটামুটিভাবে অজ্ঞ ছিল শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা অনুন্নত ও খুবই দুরহ থাকার দরুন বা অন্য কোন কারনে। কিন্তু সবজায়গাতেই মুলত আল্লাহ(সুবঃ)এরই ধর্ম ছিল, বিধায় ধর্ম একটাই ছিল বা মূলে একই রকম ছিল অথবা বলা যায় ইসলামকেই মানা হত। আর তখন বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন নবী থাকলেও ১টি দেশে মাত্র ১টি নবী ও রসুল থাকত। কখনো ১দেশে ২নবী বা ২টি আসমানী কিতাব বা সহিফা থাকত না ফলে প্রতিটা দেশে প্রতিটা নবীর ১টিই মাত্র দল থাকত যারা সেই নবীকেই পরিপূর্ণ অনুকরন করত, তখন তাদেরকে উক্ত নবীর উম্মত বলা হত আর তারাই ছিল হেদায়েতপ্রাপ্ত ও সঠিকপথ অবলম্বনকারী। আবার ঐ দেশেরই অন্যলোকগুলো কিন্তু সেই নবীর উম্মত বলে গন্য হত না, যদিও তারা সেই নবীর বিরুদ্ধে থাকত না, আবার সেই নবীর কিছু কিছু অনুসরনও করত। অর্থাৎ জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্তদল সবসময় ১টিই হয় আর তা নবীর পরিপূর্ণ অনুসরনের মাধ্যমেই অর্জিত হয়। অতীতে যোগাযোগ ও অন্যান্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নবী প্রেরনের জন্য বিভিন্ন উম্মত তৈরী হলেও সবাই কিন্তু ১দল ভুক্ত ও সঠিক ছিল কেননা তারা সবাই আল্লাহরই দ্বীন মানত তাছারা তারা সবাই তাদের নবীর পরিপূর্ণ অনুসরন করত আর সব নবীই এক আল্লাহ(সুবঃ) কাছ থেকে প্রেরিত হত। আর বিশ্বনবীকে সর্বশেষ আসমানী কিতাব দিয়ে এমন সময় প্রেরন করা হয়েছে, যেসময় হতেই সর্বপ্রথম যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি শুরু হচ্ছে। আর এখন তো মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্তে খবর পৌছানো সম্ভব । তাই এই পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব সময়কালে শুধুমাত্র ১জন নবীকেই সর্বশেষ রসুল হিসাবে পাঠানো হয়েছে যাতে করে মানুষ অনেক দূর দূরান্ত হতেও এই ১জন নবীর খবর পাবে এবং ১ আল্লাহর ইবাদত বা গোলামী করবে আর অবশ্যই তারা সবাই ১দল ভুক্ত হবে এবং তারাই হবে সঠিক দল। আর ঐ ধরনের ১টি দলই নবীর জীবদ্দশ্বায় সর্বসময় ঐক্যের মধ্যে থাকত। সেই সময় এবং পরবর্তী সময়েও যদি কেউ ঐ দলের মধ্যে ফাটল বা বিভেদের সৃষ্টি করত, তবে তার মৃত্যুদন্ড কার্জকর করতে মোটেই বিলম্ব করা হত না। আর একারনেই নবী(সঃ)ইন্তেকালের পরও ২য় খলিফা উমর(রাঃ)এর সময়ে মুসলমানরা গোটা পৃথিবীর অর্ধেক পর্যন্ত শান্তি ছরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল, আর তার প্রধান ১টি কারন হল-১দল ভুক্ত থাকা বা ঐক্য। আর এখনকার পরিস্থিতি হল-মুসলমানরা শান্তি ছরাবে তো দূরের কথা উলটো মূসলমানরাই আছে চরম অশান্তিতে। আর এর কারন ১টাই -মুসলমান আজ খন্ডিত, দলে দলে বিভক্ত ও বিভেদে লিপ্ত। বিভক্তি হল মুসলিম উম্মার জন্য ১টি চরম অভিশাপ। এরফলেই আজ মুসলমানদের সর্বদিক দিয়ে অবনতি এবং অন্যজাতির কাছে পদানত,পরাস্থ ও লাঞ্চিত। এর প্রধান ৩টি কারনের ১ম টি হল-নবী সঃ এর পরে, বিভিন্নজনের দ্বারা ইসলামেরই কিছু উপকার করার স্বার্থে বিভিন্ন ইসলামিক দলের উদ্ভব হয়েছে। আর মোটামুটি ইসলামি জ্ঞান সম্পন্ন মানুষগুলো এসব বিভিন্ন ইসলামি দলে ঢুকে বৃহত্তর মুসলিম উম্মার মাঝে বিভেদের সৃষ্টি করেছে। আর ২য় টি হল-ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষগুলো এসব ইসলামিক দলে না জড়ালেও তারা বৃহত্তর মুসলিম উম্মা থেকে বেরিয়ে একদম কুফরি,মুশরেকি বা মুনাফেকি জীবন জাপন করেছে। আর ৩য় টি হল-যারা সঠিক পথে রয়েছে তারা তাদের সমর্থনুযায়ি অন্যদেরকে দাওয়াতে ব্যার্থ হয়েছে বা পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। এই ৩টির মধ্যে ১ম কারনটিই বেশি ক্ষতি করেছে মুসলমানদের, তাছারা বিভিন্ন ইসলামিক দলের এসব সদস্যরা জানেও না যে তারা ভুল পথে রয়েছে।

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন এসব ইসলামিক দল ইসলামের ক্ষতি করছে বা পরিপূর্ন সঠিক পথে নেই তাই এসব দল করাও নাজায়েজ হবে ? তারকারন, আমাদের নবী (সঃ) তো একটি দল তৈরী করে দিয়ে গেছেনই আর তারাই কেয়ামতের পূর্বেও সঠিক পথে থাকবে এবং তারা অবশ্যই ১দলভুক্ত থাকবে আর তারা শুধুই কোরান হাদিস অনুযায়ী চলবে এবং সেই দল সবসময়ই বিজয়ী থাকবে। তাই সর্বশেষ নবী ইসলাম ধর্মের মাধ্যমে মুসলমানদের দিয়ে আল্লাহরই ১টি বৃহত্তর মহান বিজয়ী দল তৈরি করে যাবার পর আবার নতুন ইসলামিক দল তৈরী করার কোন প্রয়োজনই নেই। আমাদের শুধু দরকার ইসলাম অনুযায়ী চলা আর বৃহত্তর মুসলিম উম্মার সাথে একদলভুক্ত হয়ে ঐক্যে থাকা। তাই আখেরী নবী, আল্লাহ(সুবঃ)এর দ্বারা ১টি দলের উদ্ভব ঘটানোর পর আবারও নতুন যত দলের উদ্ভব হয়েছে বা হবে, তা সবই নাজায়েজ। সব ইসলামিক দলই নাজায়েজ হবার কারন এটাই যে নবী(সঃ)তো ইসলামিক দল তৈরি করেছেনই তারপর আবার কিসের ইসলামিক দল ? আবার অনেকে বলতে পারেন নবী(সঃ) এর ইসলামিক দল ভেঙ্গে যাওয়ায় বা শেষ হয়ে যাওয়ায় অন্যজন আবার নতুন করে ইসলামিক দল তৈরি করেছেন। কিন্তু আমাদের এটা জানা দরকার যে নবী(সঃ) এর দল কখনও একেবারে ভেঙ্গে বা শেষ হয়ে যাবে না সেটা আল্লাহ(সুবঃ) নবী(সঃ) এর মাধ্যমেই জানিয়েছেন। তবে নব্য সৃষ্ট, এসব ইসলামিক দল যারা তৈরি করল তারা কি নবী(সঃ)এর চেয়ে বেশি জ্ঞানী ? বা তারা কোন নবী ? আমাদের এখানে জানা দরকার যে, অতীতে কোন নবীর উম্মত বা দল একদম পথভ্রষ্ট বা নিঃশেষ হওয়া মাত্রই আল্লাহ(সুবঃ) আবার অন্য নবী প্রেরনের মাধ্যমে নতুন দল বা উম্মত তৈরী করে দিতেন। অর্থাৎ নতুন আল্লাহর দল বা ইসলামিক দল তৈরী আল্লাহর প্রেরিত নবী রসুল ব্যাতীত আর কেউই পারে না। যদিও করে তবে তা পল প্রবর্তিত বিকৃত খৃষ্টান ধর্মের মতই বিকৃত হতে বাধ্য। আর শেষ নবীর পর কেউই নতুন ইসলামিক দল তৈরি করতে পারবে না এমনকি ইমাম মাহদী ও ঈসা(আঃ)ও তা করবেন না। তারা শুধুই মুসলমানদের ঐক্যে আনবে মাত্র। তাছারা এসব ইসলামিক দলগুলোতে পুরো ইসলামটাও নেই। উদাহরনস্বরুপঃ নবী(সঃ) যদি বলেন পরিপূর্ণ ইসলাম হল১,২,৩,৪,৫ তবে দেখা যায় কোন ইসলামিক দলে আছে ১ও২ আবার কোন ইসলামিক দলে আছে ৩,৪,৫। অর্থাৎ কোন ইসলামিক দলেই পরিপূর্ণ ১-৫ পর্যন্ত পাওয়া যাবে না বা পুরো ইসলামটাই কোন ইসলামিক দলেরই ভিত্তি নয়। এদিকে ইসলাম হল ১টি পূর্নাংগ জীবনব্যাবস্থা। শুধু তাই নয় নবী(সঃ) দল শুরু করার পর সেই দলের মধ্যে আবারও নতুন দল সৃষ্টি অবশ্যই বিদআতের পর্যায়। ইসলাম পূর্নাংগ জীবনব্যাবস্থা হওয়ায় এতে যেমন কোনকিছু বাড়ানো যায় না ঠিক তেমনি কোনকিছু বাদও দেয়া যায় না, কিন্তু বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলো ইসলামের অনেক কিছুই বাদ রেখেছে তদের সুবিধার্থে। উদাহরণস্বরুপ ইসলাম হল এমন একটি ঔষধের কোম্পানী যেখানে সবার এবং সবধরনের মানুষেরই চিকিৎসার ঔষধ রয়েছে তাই সবাই তার রোগ অনুযায়ী সঠিক ঔষধটি কোন দোকানে না গিয়েই সরাসরি বাছাই করে নিতে পারছে। আর সেই অনুযায়ি বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলো হল এক একটি ছোট ছোট ঔষধের দোকানের মত যেখানে সব রোগের ঔষধ নাও পাওয়া যেতে পারে। আর আমরা জানি যে প্রতিটা ইসলামিক দলেরই আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠাতা রয়েছে। যারা বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করে ও ইসলাম থেকে কিছু নিয়ে গবেষনা করে ইজতিহাদের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ মত অনুযায়ী ইসলামের উপকার করার স্বার্থে বিভিন্ন ইসলামিক দল তৈরি করেছে যেখানে তাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে বেশী। আর তাছারা ১মাত্র মুহাম্মদ(সঃ)ব্যাতীত প্রতিটি মানুষেরই ভুল হওয়া স্বাভাবিক। তাই নবী ব্যাতীত তার উম্মতের মধ্যে, সে যত বড়ই আলেম হোক না কেন ছোট হোক বড় হোক ভুল হবেই সুতারাং বড় বড় বুজুর্গ আর পণ্ডিত যারা বিভিন্ন ইসলামিক দল তৈরী করেছেন তাদের দলও তাদের সেসব ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য। কিন্তু ইসলাম হল একটি সম্পূর্ন নির্ভুল ও নির্ভেজাল ধর্ম, যার কোন খুত নেই এবং স্বয়ং আল্লাহ(সুবঃ)ই মানুষদের চ্যালেন্স করে বলছেন পারলে ইসলামের ১টি ভুল দেখাও। কিন্তু বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলোর প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্যরা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে যে, আমাদের ইসলামিক দলে ১টি ভুলও নেই ? তাই যদি হয় তবে এসব ইসলামিক দলও করা যাবে না। শুধু মানা যাবে নির্ভুল ইসলাম যা নবী(সঃ)করতে বলেছেন। তাছারা দেখা যায় বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলো শুধুমাত্র ইসলামের কোন বিশেষ অংশ বা পার্টকে বাস্তবায়ন করার জন্য গড়ে উঠেছে। কিন্তু ইসলাম হল ১টি পরিপূর্ণ ধর্ম,তাই ইসলামের শুধুই কোন ১ অংশকে ঘিরে দল তৈরি করলে তা ইসলামের মত পরিপূর্ন হবে না বলে তাও করা জায়েজ নয়। তারপরও ইসলামের কোন বিশেষ অংশ বা পার্টকে বাস্তবায়ন করার জন্য যেসব দল তৈরি হয়েছে তাদের সদস্যরা ইসলামের অন্যান্ন অংশের উপর মোটেও গুরুত্ব দেয় না। ফলে তারা ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসাবে মানতে ব্যার্থ হয়। আবার দেখা যায় কেউ ইসলামের ভাল কোন অংশকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে কোন একটি দল তৈরি করে গেলে এবং পরে তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেও বা পরবর্তীতে তা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পরলেও সেই দলের সদস্যরা সেই আগেরটা নিয়েই পরে থাকতে পারে এবং অকারনেই মাতামাতি করতে পারে। কেননা সেই দলের ভিত্তিই যে সেটি, আর সেটি বাদ দিলে তো দলেরই অস্তিত্ব থাকে না। উদাহরন স্বরুপ বলা যায় যেমন-ইসলামের নিয়ম হল ১মে গোপন দাওয়াত, কিছু মানূষ দাওয়াত কবুল করলেই প্রকাশ্য দাওয়াত শুরু করা, এমনকি পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ি আবারও গোপনে শুধুই খুসুসি গাস্ত বা খাস দাওয়াত দেওয়া ইসলামেরই বিধান কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক ইসলামিক দল আছে যাদের প্রতিষ্ঠাতা মারা যাবার পর দলের অন্ধ ভক্তরা এখনও আজক গোপন দাওয়াতই দিয়ে যাচ্ছে । অথচ পরিস্থিতি এখন প্রকাশ্যে দাওয়াত এর আবার ইসলামি বিধান অনুযায়ি বেশী নির্যাতিত হবার সর্বশেষ পর্যায়ে কিতাল শুরু করতে হয় অথচ সেই পর্যায়ে তারা কিন্তু তাদের দলের ভিত্তি অনুযায়ি শুধু দাওয়াতকেই একমাত্র ইসলামিক কর্ম ভাবার পাশাপাশি জিহাদ পরিত্যাগ করে পথভ্রষ্ঠের সামিল হবে। তাই নবী বা নবীর মত কেউ যেমন- ইমাম মাহদী আঃ ব্যাতীত উম্মতের মাঝে অন্য কোন বুজুর্গের তৈরি নব্য বিভিন্ন ইসলামিক দল করলে এসব সমস্যায় পরতে হয়।
আর দেখা যায় বেশির ভাগ ইসলামিক দলই গড়ে উঠেছে শুধুমাত্র ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কেউ এ পর্যন্ত সফল হয় নাই। কারন আল্লাহ(সুবঃ) পবিত্র কোরানে বলছেন- আমরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি তবে তিনি খুশি হয়ে আমাদেরকে দুনিয়াতে উপহারস্বরুপ খিলাফত বা ইসলামিক রাষ্ট্র দিবেন আমাদের নিরাপত্তা এবং ভয় দূর করার জন্য। যেখানে আল্লাহ(সুবঃ)ই বলছেন ১মে দায়িত্ব পালন করতে হবে তারপর পাব উপহার। কিন্তু আমরা যদি কাজ না করে আগেই উপহার কামনা করি বা ইসলামিক রাষ্ট্র আশা করি তবে জীবনেও তা পাওয়া যাবে না এবং এমনটি হয়ও নাই অতীতে। উদাহরণস্বরুপ যেমন গাছ না লাগিয়ে ও পরিচর্যা না করে গাছের ফল আশা করা যেমন বোকামী ঠিক তেমনি দায়িত্ব পালন না করে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখাও তেমন বোকামী এবং কোনদিন সম্ভবই না। তাই আমাদের প্রথমে ইসলাম অনুযায়ী চলা শুরু করতে হবে সমর্থ ও সুযোগ অনুযায়ী। আবার কিছু ইসলামিক দল ইসলামকে সামগ্রিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইসলামকে ব্যাবহার না করে প্রচলিত ব্যাবস্থা যেমনঃ গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র/আমিরাত/জংগীতন্ত্র ইত্যাদি কুফর-তন্ত্র গুলোকেই ব্যাবহার করছে। অথচ ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামকেই ব্যাবহার করতে হবে। তারা বলে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় আগে যেতে হবে তারপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এজন্য কিছু কিছু দল আবার হত্যা-ধংসযজ্ঞসহ আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছে, তারা ইসলাম ও জিহাদের নামে ভুল পথে পা বাড়িয়েছে। আবার কিছু দল অমুসলিমদেরকে বাদ দিয়ে শুধু মুসলমানদের মাঝেই এমনি নরম নীতি প্রদর্শন করছে যে এতে সমাজ, দেশ ও বিশ্বের কোনই পরিবর্তন হচ্ছে না উল্টো পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে উদ্বাহরণস্বরুপ- সারাবিশ্বে দাওয়াতের কাজ করা তাবলীগ জামাতেরা বিশেষ করে ১৯৯৫ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দাওয়াতের কাজ করে করে শুধুমাত্র কিছু বেনামাজী মুসলিমদের নামাজী করার পাশাপাশি দ্বাড়ি-টুপি পরিয়েছে মাত্র কিন্তু যে কালেমা ছাড়া শুধুই নামাজ আর দ্বাড়ি নিয়ে ক্ববরে গেলেও সেগুলোর কোন মুল্যই আল্লাহ দিবেন না। তাছারা সেই কালেমা তাদেরই ১ নম্বর উছুল হলেও তারা কিন্তু এখনও কালেমার সঠিক ব্যাখ্যা সরাসরি বলতে ভয় পায় অথচ আমাদের নবী সঃ ও সাহাবীগনসহ অতীতের সকল নবী-রসুলগনেরই একমাত্র সরাসরি দাওয়াতই ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ/হুকুম দাতা/ আইন-দাতা/প্রধান মাননীয় সত্ত্বা নাই ।
যদিও দাওয়াতে তাবলীগ কোন ইসলামিক দল নয়, এটি একটি ভ্রাম্যমান ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত যেখানে সকল ধরনের সকল বয়সী মানুষকেই ইসলামের বেসিক ইলম শিক্ষার পাশাপাশি দাওয়াত দেবারও প্রশিক্ষন দেওয়া হয় তবুও কালেমাই যেহেতু আসল তাই এই কালেমার সঠিক ব্যাখ্যা ও হাক্বিকত শিখাতে হবে এবং নির্ভয়ে বলতে হবে এতে যত বাধাই আসুক । একমাত্র তাবলীগ ছাড়া বেশিরভাগ বড় বড় ইসলামিক দলই তৈরী হয়েছে ইসলামকে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষেও কিন্তু ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেদের ভুল পদ্ধতি বা অন্যকিছুকে ইসলামের সাথে মিশানোর কোনই অবকাশ নেই( যেমন-ইসলামী গন-তন্ত্র), ইসলাম হল স্বতন্ত্র তাই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামেরই নিজস্ব পন্থায়, কখনই অন্য পন্থায় নয়। আর যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইসলামকে অন্যকিছুর সাথে মিশায় তারা যে শুধুই ব্যার্থই হচ্ছে তা নয় বরং তারা শিরকসহ ক্ববিরা গোনাহগারও হচ্ছে। এটি আল্লাহ(সুবঃ)র দেয়া কুরানের অন্যান্ন স্পষ্ট আয়াতের সাথে সাথে সুরা কাফেরুনও এর ইংগিত বহন করছে এবং নবী(সঃ)কে টাকা পয়সা ও সুন্দর নারীর সাথে মক্কার ক্ষমতাও দিতে চেয়েছিল কাফেররা যাতে তিনি ইসলামের সাথে কাফেরদের রীতিনীতিরও কিছু অংশকে মিশান অর্থাৎ তথাকথিত উদার হোন কিন্তু তিনি ঐ ক্ষেত্রে কোন উদারতা না দেখিয়ে উল্টো আরও চরমপন্থি হলেন কেননা শিরকের ক্ষেত্রে কোনই আপোষ চলবে না তাই তিনি ছাপ ছাপ বলে দিলেন- যদি আমার এক হাতে এনে দাও চন্দ্র, আরেক হাতে এনে দাও সূর্য্য তবু আমি এই সত্য হতে পিছপা হব না। সুতারাং ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার পূর্বে অর্থাৎ মাক্কী জীবনেই কিন্তু নবী সাঃ তাদের সাথে আংশিকভাবেও একাত্বতা ঘোষনা করেননি বরং ইসলামকে স্বতন্ত্র রেখেছেন। তিনি কখনও মনে করেননি যে মক্কার ক্ষমতাটা আগে নিয়ে তারপর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করব সুবিধামত। তাছারা কিছু কিছু ইসলামিক দল আছে যারা ইসলাম কায়েম করার জন্য সু-কৌশল অবলম্বন করতে গিয়ে শিরক করার পাশাপাশি ছলনা বা ধোকার আশ্রয় নিয়ে থাকে এবং তারা এটাকে কৌশল ও জায়েজ ভাবে কিন্তু ইসলামে কোনভাবেই শিরক করা জায়েজ নেই এমনকি সরাসরি যুদ্ধ ব্যাতীত ধোকা বা ছলনারও কোন স্থান নেই বিশেষ করে ইসলামকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তো আরও বেশি। সহি হাদিসে উল্লেখ আছে- যদি তোমাকে মেরেও ফেলা হয় বা আগুনে পুড়েও ফেলা হয় তবু কখনও শিরক করবে না আর আল্লাহ সুবঃ শিরক ছাড়া যেকোন পাপই ক্ষমা করে দিতে পারেন তাই জীবন বাঁচানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হালাল হলেও শিরক কোন অবস্থাতেই হালাল নয় আর মুলতঃ শিরক না করলেই সে জান্নাতের সার্টিফিকেট পায় আর অন্নান্য আমল দ্বারা জান্নাত সজ্জিত হয় মাত্র অর্থাৎ বেহেশতের স্তরের পার্থক্য হয় ।

বিভিন্ন ইসলামিক দলের মাঝে তুলনামূলক ভাল যেকোন একটি করাও যে নাজায়েজ সেটাও আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি তাদের কার্যকলাপ দেখে। লক্ষ্য করে দেখা যায় যতগুলো ইসলামিক দল রয়েছে তাদের কেউ কাউকে দুচোখে দেখতে পারে না, তাদের কারও মধ্যে মিলও নেই , নেই কোন ভ্রাতৃত্ব ,সবাই নিজের দলকে সম্পুর্ণ সঠিক ভাবে, আর অন্যদলগুলোকে ভুল ভাবে, কেউ কাউকে সাহায্য তো করেই না বরং একে অপরকে সতীনের চোখে দেখে। যদিও মাঝে মধ্যে দু- একটি দলের মাঝে সাময়িক জোট দেখা যায় আসলে যারা এসব জোট গঠন করে তারা সকলেই একই তন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত(ইসলামী গণ-তন্ত্র/প্রজা-তন্ত্র) তাই পরকালে তারা আল্লাহর কাছে পথভ্রষ্ঠদের ১ কাতার/জোট হিসেবেই বিবেচিত হবে বলে দুনিয়াতেও তাদের মাঝে কিছু সময় জোট বাঁধতে দেখা যায় যদিও সেই বন্ধনও এমনই দূর্বল এবং ক্ষনস্থায়ী যে তা দেখে মনে হয় না যে এটা কোন মুসলিম উম্মার শিশা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় কোন জোট বা দল বরং তাদের মধ্যে এমনি সম্পর্ক যে তারা পরস্পরকে ভাবে ঘোঁর শত্রু, যার ফলে এসব ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে মারামারি দাংগা ফাসাদ তেমন কোন আশ্চর্য্যের বিষয় না। এথেকে খুব সহজেই বুঝা যায় তারা আসলে কেউই সঠিক পথে নেই। কারন ইসলামের বড় জিনিস হল ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য, এক মুসলমান কোনদিন অন্য মুসলমানের ঘোঁর শত্রু হতে পারে না । এসব ইসলামিক দল যে নাজায়েজ তার আরও একটি কারন হল, এ পর্যন্ত যতগুলো ইসলামিক দল তৈরী হয়েছে তার ১টিও সফল বা বিজয় হয়নি শুধুমাত্র দলের সংখ্যা বৃদ্ধি ছারা। অথচ নবী(সঃ) এর দল মাত্র ১৫ বছরেই বিজয় অর্জন করেছিল আর সেখানে বেশিরভাগ ইসলামিক দলের প্রতিষ্ঠার বয়স ৫০এরও উর্ধে হতে চলল কিন্তু আজও সফল হতে পারল না । তাছারা এসব ইসলামিক দলের হয়ে কাজ করলে ইসলামের খুব কমই উপকার হওয়ার সম্ভবনা থাকে কিন্তু বড় বড় ক্ষতি যে হবে এটা নিশ্চিত। কারন এসব ইসলামিক দলই মুহাম্মদ(সঃ) এর আনিত ইসলাম ধর্মকে কেটে টুকরো টুকরো করে মুসলিম উম্মার মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং দলে দলে বিভক্ত হওয়ার মাধ্যমে ফিতনার সৃষ্টি করেছে। আর এরই সু্যোগ নিয়ে পশ্চিমারা বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে মুসলমানদের শাষন ও শোষন শুরু করেছে। যেসব দেশ তাদের প্রভু মানছে তাদের অবস্থা ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশেরই মতন, যারা কিনা তাদের প্রযুক্তিগত-ধোকার কারনে দুঃখ কষ্টে দিন কাটালেও বুঝতে পারেনা নিজেদের সত্যিকারের অবস্থান বরং কখনও আসল সুখের চেহারা না দেখায় এবং বেশিদিন দুখে-দরিদ্রে থাকার অভ্যাসের কারনে মনে করে-বেশ আছি, সুখেই তো আছি ? আর যারা পশ্চিমাদের পরিপূর্ণ প্রভু মানছে না, তাদের দেশের উপর বোমা হামলা করে হত্যা করছে হাজার হাজার মানুষ বেসামরিক নারী, বৃদ্ধ ও শিশুসহ। আর এগুলো তারা করছে বিভিন্ন ধোকাবাজী সব নাম দিয়ে যেমনঃ সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ, জংগী বিরোধী যুদ্ধ,গন-অধিকারের জন্য/ গন-তন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ ইত্যাদি। আর তাদের এসব ধ্বংস যজ্ঞ আমরা মুসলমানরা ঘরে বসে রেডিও টিভিতে তামাশা দেখছি, আর উহ! আহ! করছি। কেউ কেউ আবার চোখের পানিও ফেলছে, আর ভাবছে চোখ দিয়ে যেহেতু পানি বের হয়েছে, তবে একটু হলেও আমার ঈমান আছে।
যাইহোক এসব বিভিন্ন ইসলামিক দলের কর্মকান্ডগুলোও কিন্তু ১টা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে আর সব ইসলামিক দল নিজেরাই শুধু নিজেদের নিরাপত্তা দেয়, অন্য দলকে দেয় না এমনকি বৃহত্তর মুসলিম উম্মাকেও নয়। তারা মনে করে দুনিয়ায় যেকোন বিপদ-আপদে পরলে তাদের দলই তাদের বাচাবে অন্য কেউ নয়, এমনকি পরকালেও তারা তাদের দলেরই অছিলাতে একই সাথে জান্নাত থাকবে। আর এসব ইসলামিক দল যারা করে তাদের বেশির ভাগেরই ইসলাম সম্পর্কে অতীত কোন জ্ঞান থাকে না এবং পরে তাদের দল থেকে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞানার্জন করে তা বেশীর ভাগই হয় তাদের দলভিত্তিক, ফলে পরবর্তীতে কোরান হাদিসের সহী দলীল পাওয়ার পরও তাদের কাছে নিজেদের দলের কথাই বেশী মিঠা লাগে কোরান হাদিসের চেয়ে। কারন তারা সরাসরি কোরান হাদীস হতে ইলম অর্জনের অনেক আগেই দলের দাওয়াতের মাধ্যমে মোল্লা হয়েছে তাই পৌত্তলিকতার স্বভাব অনুযায়ি পূর্বের ইলমকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরবর্তী সহী কুরান-হাদিসকেই প্রত্যাখ্যান করে বসছে যেটা কিনা সরাসরি জাহান্নামের পথ। তাছারা শয়তান এর কাজ হল পাপ করানো, আর যদি এটা না পারে তখন সে চেষ্টা করে যাতে বেশী নেকী না করতে পারে কেউ। তারপরও শয়তানকে উপেক্ষা করে মুসলমানদের মধ্যে যারা একটু-আধটু ইমানদার হয়ে উঠে, তখন শয়তানের কাজ হয়, তাদেরকে ধরে ধরে বিভিন্ন ইসলামিক দলে ঢুকিয়ে দেয়া, যাতে সে পুরো মুসলিম উম্মার হয়ে কাজ না করে এবং এর দ্বারা সে যেন বড় বড় প্রতিফল না পায়। আর তখন ঐ নব্য ইমানদারটি ছোট ছোট প্রতিফলের জন্য কোন ১টি দলের চক্রে আবদ্ধ হয়ে ঘুরতে ঘুরতে একসময় বড় ধরনের প্রতিফল তো পায়ই না উল্টো ইসলামেরই ক্ষতি করতে থাকে আর পাপী হতে থাকে, অথচ সে সেটা বুঝতেই পারেনা বরং ভাবে উপকার করছি। আর শয়তান ও পশ্চিমারা এসব ইসলামিক দলগুলোও ভারী করে আবার অন্যদিক দিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে লাগিয়ে দেয় বিভেদ, যাতে ইসলামকে দুর্বল ও সহজে ঘায়েল করা যায়। তাই কোন ইসলামিক দলই করা যাবে না, যতই তারা ভাল কথা বলুক বা সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা যত বড়ই আলেম হোক। তাছারা দলের প্রতিষ্ঠাতারা ভালোর উদ্দেশ্যেই নিজের জ্ঞান ও সামর্থনুযায়ী ইসলামের জন্য যদি কিছু করেই থাকে তবে আল্লাহ তাদের মাফ করে দিলেও সত্য জানার পর আজও আমরা যদি তাদের ভুলগুলোই অনুসরন করি তবে আমরাও যে ক্ষমা পাব এর কিন্তু কোনই নিশ্চয়তা নাই। প্রতি শতাব্দীর মুজাদ্দিদের সংস্কার এর বিধান থাকায় যদি কখনও মুসলিম উম্মার মাঝে ইসলামের কোনকিছু অনুপস্থিত দেখা যায় বা তারা কোন পাপের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পরে তবে সেটাকে দূর করার জন্য ও অনুপস্থিত বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ১ আমিরের নেতৃত্বে মুসলমানরা বিভিন্ন ধরনের দল তৈরী করে অরগানাইজেশন বা প্রতিষ্ঠান তৈরীর মাধ্যমে মানুষের সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে সেসব প্রতিষ্ঠান বা দলের নামটাও সেই ধরনের দিতে হবে আর কখনই ইসলামিক নাম দেয়া যাবে না যে নতুন আরেকটি ইসলামিক দল তৈরী হয়ে ফিতনার সৃষ্টি হয় কেননা যে অংশটি মুসলিমদের উম্মাহ এর মাঝে হতে বিকৃত হয়েছে বা কোন বিশেষ অঞ্চলের মুসলিমদের মাঝে অনুপস্থিত রয়েছে অথবা বিদাতে লিপ্ত রয়েছে নামটাও অনেকটা তেমনি দিতে হবে যেমন- প্রায় ১০০ বছর হল সমাজে চলমান মুসলিম উম্মাহ যখন দাওয়াত দেওয়া শুধুমাত্র আলেমদের কাজ মনে করে নিজেরা ফরজ দাওয়াত হতেই উদাসীন থেকেছে তখন মুসলিমদের মাঝে তাবলীগ নাম দিয়ে ১ আমিরের নেতৃত্বে দাওয়াত দেওয়া সকল মুসলিমের জন্যই ফরজ এমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে যদি দলের টেম্পরারী নাম দাওয়াতে তাবলীগ জামাত দেওয়া হয় তবে তেমন সমস্যা হবে কিন্তু এক্ষেত্রে আবার মুসলিমদের বুঝতে হবে যে ১ আমিরের তাবলীগ দল আপাদত হাক্কানী আছে বলেই এই দলের মাঝেই পুরো ইসলামটাকেই খোঁজাও বোকামী কারন পুরো ইসলাম শুধুমাত্র কুরান-হাদীসের মাঝেই সীমাবদ্ধ। এছারাও উপমহাদেশের মুসলমানরা যেহেতু আরবী ভাষা শিক্ষাকে ফরজ মনে করে না আর হুজুররা যেহেতু আরবী শিক্ষাকে অনেক কঠিন হিসেবে পরিচিত করিয়ে ফেলেছে অথচ আরবী ভাষাই বেশী সহজ তাছারা ইংরেজী সহ অন্নান্য কঠিন ভাষাই স্পোকেন কোর্স করতে ১ বছরের বেশি সময় লাগে না বরং কয়েক মাসেই করা যায় সেখানে কোন সচেতন মুসলিম যদি ইসলাম এর উপকারের স্বার্থে উপমহাদেশের মানুষদের ফ্রি আরবী শিখাতে ১ লিডারের কমান্ডে “বিনামূল্যে আরবী ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র” নাম দিয়ে ১টি অরগানাইজেশন তৈরী করে তবেও সেটিও হক্বের উপরেই থাকবে তবে এক্ষেত্রেও মুসলিমদের বুঝতে হবে যে এটি আপাদত হাক্কানী আছে বলেই এটার মাঝেই পুরো ইসলামটাকেই খোঁজাও বোকামী কারন পুরো ইসলাম শুধুমাত্র কুরান-হাদীসের মাঝেই সীমাবদ্ধ, শুধু তা নয় কেউ যদি মুসলিমদের চলমান দলাদলি আর বিভেদ দূর করে সকল দলকেই আপাদত ১ নেতার আন্ডারে আনতে কোন দলের নাম দেয়- ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ তবে সেটিও হক্বের উপরেই থাকবে তবে যাইহোক সকল ক্ষেত্রেই কুরান-হাদীসকে সকলের উপরে স্থান দিতে হবে আর সেই স্কেল হতেই সকল দলকে পরিমাপ করতে হবে আর অবশ্যই এমন ইসলামিক নাম দেওয়া যাবে না যে যা শুনে আম মুসলিম ভাবে যে এই দলের মাঝেই ইসলামের সবই আছে মোটকথা যদি ইসলাম নাম দেয়া হয় তবে পূরো ইসলামটাই সেই দল বা অরগানাইজেশনের ভিত্তি ও উদ্দেশ্য করতে হবে নয়তো ইসলামিক নাম দিয়ে ইসলামেরই কোন জিনিস বাদ দিলে বা অনিচ্ছাকৃত বাদ পরলেও গোনাহগার হবে। আর যদি পুরো ইসলামই দলের ভিত্তি করতে হয় তবে তা তো নবী(সঃ)এর দ্বীনই হয়, এরকম হলে তো আর নতুন করে ইসলামিক নাম দিয়ে নতুন করে দল তৈরী করার কোনই প্রয়োজন থাকে না, তাই শুধু শুধু নতুন ইসলামিক নাম দেবার দরকার কি ?
এদিকে ইসলাম ধর্মই আবার আমাদেরকে দলবদ্ধ হয়ে ঐক্যে থাকতে বলছে। দলবদ্ধ হয়ে না থাকার উদাহরন হল ১টি দল ছারা মেষের মতন যাকে খুব সহজেই শয়তান বাঘের ন্যায় স্বিকার করে নেয়। তাই ইসলামে থাকতে হলে তাকে অবশ্যই দলবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। কেননা ঐক্য একতা ইসলামের বড় একটি বিষয়, তাই বলে দলবদ্ধ হয়ে থাকা মানে বিভিন্ন ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে থাকাকে বুঝায় না বরং বুঝায় সব মুসলমানকে একত্রে থাকাকে, যেমনঃ মুসলমানদের মধ্যে কোন হিংসা বা শত্রুতা থাকা চলবে না এবং পরস্পরকে জান মাল দিয়ে সাহায্য করতে হবে। মুসলমানদের একত্রে মিলেমিশে থাকা, তৌহিদ তথা একত্ববাদেরও একটি অংশ। বর্তমানে যেহেতু বেশীরভাগ মুসলিমই কোন না কোন দলের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেই তাই যারা এখনও কোন দলের নয় বা পরিপূর্ন হক্বের উপর আছে তাদের উচিত আপাদত মুসলিমদের হারানো ঐক্য ফিরিয়ে আনতে মুসলিম -অমুসলিমদের দাওয়াতে পাশাপাশি মুসলিমদের মধ্যে যতগুলি দল আছে, সবগুলো দলই করা এমনভাবে যে ঐসব দলের যেসব দিক ভাল বা সঠিক ইসলামের সাথে মিল রয়েছে শুধু সেসবের সাপোর্ট করা এমনকি পারলে সাহায্যও করা, আর যেসব দিক খারাপ বা সঠিক ইসলামের সাথে মিলেনা সেগুলোর বিরোধিতা করা ও দূরে থাকা অর্থাৎ কোন দলই না করা। আর এসময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন একদলের ভুল অন্যদলের মধ্যে গীবত না করা হয় বরং যে দলের ভুল সেই দলের মধ্যেই তা সংশোধনের জন্য বলতে হবে তাদের ভালদিকগুলোর প্রশংসার পাশাপাশি। তবে এক্ষেত্রে ১টি জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে এরকম দলাদলি শুধু সেই করতে পারবে, যার কোরান হাদিস ভাল জানা আছে যদিও এটারও একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে এরপরে সকল দল হতেই দূরে থাকতে হবে নয়তো পরবর্তীতে আবার ১খলিফার হাক্কানী দল অর্থাৎ ইমাম মাহদীর দলে বায়াত করতে হবে কারন সহী বুখারীতে উল্লেখিত নবী সঃ এর ভবিষ্যৎবানী অনুযায়ি বর্তমান জামানায় সমস্ত ইসলামিক দলই বিভ্রান্তিতে ডুবে থাকবে যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাদের ভাল মনে হবে এবং ভাল ভাল কথা বলবে। আর অবশ্যই প্রতিটা মুসলমানের জন্য ১মে কোরান হাদিসের জ্ঞানার্জন ফরজ। আর বর্তমান যুগে নাজাত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে কি কি করনিয় তা নবী(সঃ)১৪০০বছর পূর্বেই বলে গেছেন। যেমনঃ হুযাইফা(রাঃ) হতে বর্নিত আছে যে, বর্তমান জামানায় পুনরায় অকল্যান আসা সন্মন্ধে নবী সঃ বলেন- হ্যাঁ, আবারও অকল্যান আসবে। তখন জাহান্নামের দিকে কতগুলো আহব্বানকারী থাকবে। যারা তাদের আহব্বানে সাড়া দিবে তাদেরকে তারা জাহান্নামে নিক্ষেপ করে দিবে। আমি(হুযাইফা) বললাম- ইয়া রসুলুল্লাহ! তাদের পরিচয় জানিয়ে দিন। তিনি বললেন- তারা আমাদের গ্রোত্রীয়(শ্রেনীভুক্ত) হবে এবং আমাদের কথার মতই কথা বলবে। আমি বললাম-সেই অবস্থায় উপনিত হলে আমার প্রতি কি নির্দেশ? তিনি বললেন-সেই অবস্থায় অবশ্যই মুসলিমদের জামাত(হাক্কানী) এবং ইমাম(খলিফা বা আমির)কে আঁকরিয়ে ধরবে। আমি বললাম- তখন যদি কোন মুসলিম জামাত এবং ইমাম না থাকে? তিনি বললেন- মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত গাছের শিখর খেয়ে থাকবে তবু সেসব দলকে পরিত্যাগ করে চলবে।-সহী বুখারী। উক্ত ভবিষ্যতবানী সম্বলিত হাদীস হতে দেখা যায় যে বর্তমান প্রায় ১০০ বছর হল মুসলিমদের কোন খলীফা বা খিলাফতও নেই আর এর পরই বিভিন্ন দলের মাঝে সঠিক জামাতও নির্ধারন করা কঠিন । তাই হুজুরদের ও ইসলামের যেসব বিভিন্ন দল আছে সেগুলো হতে দূরে থাকতে হবে, প্রয়োজনে গাছের শিকর খেয়ে হলেও। একমাত্র আল্লাহকে মাওলানা বা অভিভাবক ধরে নিজে নিজে কুরান-হাদীস অনুযায়ী চলার চেষ্টা করতে হবে আর শীঘ্রই বিশ্ব খলীফা ইমাম মাহদী আবির্ভাবের জন্য ও মুসলমানদের সঠিক জামাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আল্লাহ(সুবঃ)এর কাছে দোয়া করতে হবে। আর বিশ্ব খলীফা মাহদী আঃ আগমনের পর তার হাতে বায়াত করে মুসলমানদের জামাতে শামিল হওয়া। মাহদীর পূর্বে অন্য কেউ খলীফা হলে যদি সে একটু অপরিপূর্নও হয় তবু তার কুরান-সুন্নাহ মুতাবেক নির্দেশগুলির পুর্ন আনুগত্য করতে হবে। আর হুজুর সম্প্রদায়ের উচিত তাদের কষ্টার্জিত মাদ্রাসার সিলেবাস গুলি পেছনে ফেলে কুরান ও সহী হাদিস অনুযায়ি চলা। আর ইবাদত ও মানুষকে দাওয়াত দেয়ার বিনিময়ে অর্থ না নিয়ে আরবি ভাষা এবং কুরান-হাদীসের তালিম মসজিদ ও বাড়িতে প্রত্যহ দেয়ার চেষ্টা করা। আর অবশ্যই দুয়ার করা যেন শীঘ্রই মুসলিম উম্মার ১জন যোগ্য খলীফা আল্লাহ সুবঃ নির্ধারন করে দেন, যার মাধ্যমে নবুয়াতের আদলে খিলাফত পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে। আর সেই খলিফার ১ম দ্বায়িত্ব হবে ৩য় খলিফা উসমান রাঃ কর্তৃক সংকলিত(বক্তব্যের ক্রমান্বয় অনুযায়ি সংকলিত, যা শুধুমাত্র সাহাবা ও তাবে তাবেইনদের জন্য ফল দিয়েছিল) যে কুরান আমাদের মাঝে বর্তমানে আছে তাকে ৪র্থ খলিফা আলী রাঃ কর্তৃক সংকলিত কুরানের ন্যায়(অহির ক্রমান্বয় অনুযায়ি সংকলিত করতে হবে এবং তা সবার জন্যই উপকারি হবে ইনশাহ আল্লোহ) সমস্ত কুরান ও সহি হাদিস একত্রে একই কিতাবে লিপিবদ্ধ করা অনেকটা তাফছিরের গ্রন্থের ন্যায় এরপর এই কিতাবের শিক্ষাকে সবার কাছেই পৌছে দেয়া, এরপূর্বে অবশ্য শিক্ষাকারীদের অল্প সময়ের মধ্যেই আরবী ভাষা শিক্ষা দেয়া এবং আরবীকে কমপক্ষে সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ হিসাবে ব্যাবহার করতে থাকা পাশাপাশি প্রয়োজন হলে জীহাদের মাধ্যমেও সত্য ইসলামকে ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় এমনকি পুরো দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করার আপ্রান চেষ্টা করা নবী সঃ এর দেখানো তরিকায়, এক্ষেত্রে নিজস্ব ভুল তরিকার আশ্রয় নিলে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করা কখনই সম্ভব হবে না । আর নিজেরা মুসলিমদের খলিফা নির্ধারন করলে তাঁর নিম্নলিখিত কয়েকটি গুন থাকা আবশ্যক। ১) সন্দেহাতীত ঈমানদার এবং দ্বীনের জন্য জীবন ও সংসারের মায়া ত্যাগকারী,। ২) সমস্ত মুসলিম উম্মার এবং অমুসলিমদেরও প্রধান ও মৌলিক সমস্যাগুলো সন্মন্ধে অবগত থাকতে হবে এবং সকল সমাধান ইসলাম হতে দেয়ার সমর্থ থাকতে হবে ৩) কোন মাজহাব বা কোন দলের তো হবেই না বরং নিজেই মুজতিহাত হবে আর নিজেই নেতৃত্ব চেয়ে নিবে না ৪) পরিপূর্ন আরবী ভাষা জানাসহ রুপকার্থ ব্যাখ্যাকারী ও কুরান হাদীসের পূরোটাই জানতে হবে হফেজ না হলেও ৫) ৪০ বা এর উর্ধ বয়স হতে হবে এবং কুরাইশ বা নবী সঃ এর বংশের হবে এমনকি নবী সঃ কে স্বপ্নে দেখেছে আর সেই স্বপ্নের বিষয়বস্তু হতে যদি বুঝা যায় সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত নয়। যদিও এই ৫নং শর্ত পুরন না হলেও চলবে এমনকি পরিস্থিতি বেশি নাজুক হলে ৪ নং ক্ষেত্রে যদি সে শিক্ষার উপরে থাকে তবু চলবে। তবে সেই বিশ্ব নেতাকে অবশ্যই সকল দল মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যের আহব্বান করতে হবে। আর আমাদের সবারই উচিত তাহাজ্জত এবং দুরাকাত নফল সলাতের মাধ্যমে আল্লোহ(সুব)এর কাছে সঠিক পথ পাওয়ার জন্য সিজদারত অবস্থায় দুয়া করা ১মত। আর সত্যিকারের রিপ্রেজেন্টিভ পেলে তার সম্মুখে বায়াত নেয়া আর মুখোমুখি হবার পুর্ব পর্যন্ত মনে মনে তার জামাতেরই একজন মনে করে সেই অনুযায়ি চলতে থাকা , এমনকি ১ ডিআরকেই টেম্পরারি সুপথ প্রাপ্ত বিশ্বাস করা এবং মান্য করার চেষ্টা করা। আর যেহেতু পৃথিবীতে ১মে নেতা নবী সঃ এসেছে তারপর ৪০ বছর পরে এসেছে নীতি বা আল কুরান এবং তারপরই এসেছে নেতৃত্ব ১মে মদীনায় তারপর প্রায় অর্ধেক বিশ্ব জুরে, তাই ইসলামিক রাষ্ট্র বা খিলাফত পেতে হলে ১মেই আমাদের একজন খলিফা বা বিশ্ব নেতা আসবে তারপরেই ইনশাহ আল্লাহ নীতি বা আল কুরান এর ব্যাখ্যা নিয়ে যেসব ভুল ধারনার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর সঠিক সমাধান আসবে এরপরই কিতালের মাধ্যমে আসবে নেতৃত্ব বা ইসলামিক রাষ্ট্র অর্থাৎ মুসলিমদের ভয় দূর হবে এবং ইসলাম ধর্মকে সর্বদিক দিয়ে মেনে দুনিয়াতেই স্বর্গের উদাহরন সৃষ্টি করা যাবে মুসলমান ও অমুসলিম সবার মাঝেই। আর এরপূর্বে প্রতিটা মুসলমান নিজেকে পুরো দুনিয়ার খলিফা ভেবে কাজ করতে থাকবে যদি সে সমাজের মাঝেই থাকতে চায় আর অবশ্যই সূমদ্রের মাঝে একা হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির ন্যায় আল্লাহর কাছে ফিতনা হতে পানাহ চাইতে হবে তাঁকেই একমাত্র মাওলানা মানার পাশাপাশি। এভাবেই সে এই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেও সঠিক ইসলামের মধ্যে থাকতে সক্ষম হবে ইনশাহ আল্লাহ। আল্লাহ(সুবঃ) আমাদের সঠিক ইসলামের ভিতর থাকার তৌফিক দিন-আমিন

যদি এই লেখায়(অর্থ বা ছাপাজনিত ব্যাতীত)কোন ভুল ধরার সমর্থ কারও থাকে বা মতামত জানাতে চান তবে নিম্নে কমেন্ট করুন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×