---- ২য় ভাগ//--
ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর ক্লাশ শুরুর প্রথম দিনে প্রথম ক্লাশে এক ছেলের সাথে তার পার্শ্বের ছিটে বসা কয়েকজন ছাত্রের সাথে নতুন পরিচয় হল । পরস্পর কুশলাদি বিনিময়ের পর সে জানল তারা সিনিয়র কিন্তু ফার্ষ্ট ইয়ার ফেল করায় নতুন করে আবারও এই ইয়ার করবে। কিছুক্ষন আলাপ করার পর তাদের কথার ভাবভংগি দেখে ছেলেটি বুঝতে পারল এরা অবশ্যই নাস্তিক গোছের একটা কিছু হবে। তাদের সম্পর্কে আরও জানতে পারল যে, ১ম জন ছাত্রলীগের ছোটখাট নেতা ২য় জন হিন্দু, সে কোন দলই করে না কিন্তু লীগ সাপোর্ট করে আর ৩য় জন পুর্বে বিএনপি এর সাপোর্টার ছিল কিন্তু জামাতের সাথে ঐক্য করার পর সে আর বিএনপিকে দুচোখে দেখতে পারে না । বর্তমানে সে বাসদ করে । এদিকে ভার্সিটির নিউ স্টুডেন্ট ছেলেটি আবার মুসলমান আস্তিক। এদের কথাবার্তায় প্রায়ই ধর্মকে অবমাননাকর ভাষ্য থাকায় সে বুঝল যে এদের তিনজনের মধ্যে দুজন মুসলমান, অপরজন হিন্দু আবার দলও আলাদা আলাদা করে কিন্তু একটি জায়গায় এক তা হল তিনজনই নাস্তিক। কথাবার্তার এক পর্যায়ে লীগ নাস্তিক ছেলে বলল- আমার সবচাইতে বড় পরিচয় হল আমি একজন বাঙ্গালী। তাই শুনে বাসদের নাস্তিক ছেলে বলল- না! তোর কথা ঠিক হল না। তোর সবচাইতে বড় পরিচয় হল তুই একজন মানুষ। আর এটাই হল রাইট, তুই কোন জাতের বা ধর্মের এটা কখনো মানুষের আসল পরিচয় হতে পারে না। একথা শুনে হটাত আস্তিক ছেলেটি বলল- আচ্ছা ভাই বেয়াদবী না নিলে একটা প্রশ্ন করি? -- লীগ নাস্তিকঃ হ্যা! বল ।
আস্তিক ছেলেঃ যেটার মাধ্যমে আপনি অটোমিটিক্যালি বাহ্যিকভাবে অন্যের কাছে পরিচিত হচ্ছেন সেটা কিভাবে আপনার আসল পরিচয় হয়।
হিন্দু ছেলেঃ তার মানে?
আস্তিক ছেলেঃ তার মানে আপনি যে মানুষ সেটা তো সবার চোখেই পরছে।
বাসদের নাস্তিকঃ চোখে পরছে মানে তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ একটু এক্সপ্লেইন করবে?
আস্তিক ছেলেঃ আপনি যেহেতু রক্তে মাংশে গড়া একজন মানুষ কোন গরু ছাগল না, সেহেতু সবাই দেখতেই পাচ্ছে আপনি একজন জলজ্যান্ত মানুষ, তারপরও নিজেকে মানুষ বলে অন্যের কাছে পরিচয় দেয়া একধরনের হাস্যকর ব্যাপার হল না ?
লীগ নাস্তিকঃ কিভাবে হাস্যকর ?
আস্তিক ছেলেঃ মনে করুন একদল বান্দর এসে আপনাকে যদি বলে আমাদের পরিচয় হল আমরা সবাই বান্দর তবে কেমন হবে? আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন তারা বান্দর সুতারাং এগুলো হল আযগোবি উত্তর যেমন- কেউ আপনাকে যদি প্রশ্ন করে কোথায় থাক? উত্তরে যদি বলেন, বাসায় থাকি বা খাটের উপর থাকি, ঠিক সেরকমই হাস্যকর উত্তর হল আমার পরিচয় মানুষ। বাসদের নাস্তিকঃ তবে আমাদের প্রথম পরিচয়টা কি হওয়া উচিত?
আস্তিক ছেলেঃ আমাদের প্রথম পরিচয়টা কি হওয়া উচিত- আমি আসলে কি ধরনের মানুষ? এছারা নারী বা পুরুষ, ধনী বা গরিব এবং সাদা বা কালো এগুলো বলা যেমন অযৌক্তিক ঠিক তেমনি বাঙ্গলাদেশের ভিতরে বাস করে নিজের ১ম পরিচয় বাঙ্গালি বলাটাও অযৌক্তিক। মৃত্যুর পর আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে কি উত্তর দিবেন, বাঙ্গালী না মানুষ বলবেন?
বাসদের নাস্তিকঃ মৃত্যুর পর আমাদের আবার কে পরিচয় জিজ্ঞাসা করবে?
আস্তিক ছেলেঃ কেন! আপনি পরকালে বিশ্বাস করেন না?
বাসদের নাস্তিকঃ পরকালে বিশ্বাস! হি হি হি এটাতো বোকারাই করে, শোন, সিনিয়র ভাই হিসাবে তোমায় কিছু উপদেশ দেই, এসব মিথ্যা কাল্পনিক বিশ্বাসের উপর যদি তুমি থাক তবে কখনও লাইফে সাইন করতে পারবে না বুঝলে, আমরাও কিন্তু আগে তোমারই মত এসব অন্ধ বিশ্বাসিই ছিলাম, গডরে অনেক ডাকছি কোন ফল পাইনি, আর তাছারা তোমার কমন সেন্সটা কি বলে হুম, যাকে কোনদিন দেখি নাই শুনি নাই তাকে কোন যুক্তিতে আমরা মানব?
আস্তিক ছেলেঃ হে হে হে! যেটাকে কোনদিন দেখি নাই শুনি নাই বলেই কি সেটাকে অস্তিত্বহীন মানব? আপনি জানেন এমন অনেক কিছুই আছে আমাদের চারপাশে যা আমরা কোনদিনই দেখিনি এবং শুনিওনি কিন্তু বিজ্ঞান আগের তুলনায় একটু উন্নতি হওয়ায় হয়তোবা আমরা সেসব জিনিসের অস্তিত্ব বুঝতে সক্ষম হচ্ছি ঠিকই ভাবে আমরা ঈশ্বরকেও স্বচোক্ষে দেখতে পারব মৃত্যুর পর আমাদের আত্মার উন্নতির দরুন। তাছারা আপনি তো জানেন মানুষের যেমন শোনার জন্য শ্রাব্যতার পাল্লা আছে ঠিক তেমনি চোখ দিয়ে দেখার জন্য দৃষ্টির সীমা আছে, তাই ইচ্ছে করলেও আমরা সবকিছু দেখতে ও শুনতে পারছিনা। আর আপনি বললেন গডরে অনেক ডেকেও ফল পাননি, এখানে আপনার বোঝা উচিত ছিল গড আপনাকে কি বলছে, তাকে ডাকাডাকির পাশাপাশি কর্মও ভালভাবে করতে বলেছে নাকি শুধুই ডাকাডাকিই করতে বলছে, আর তাকে না ডাকলেও তো শুধুই দুনিয়াতে ফল পাওয়া সম্ভব । আর আপনি লাইফে সাইন করার কথা বললেন, অথচ আপনারা নাস্তিক হয়েও তো তেমন একটা সাইন করতে পারছেন না উলটো এক বছর ফেল মারলেন, রাগ করবেন না প্লিজ, আপনারা আমার সিনিয়র আমি তো আপনাদের দেখেই শিখব। আর আপনারা যদি দুনিয়াতে খুব বেশি সাইন করেই ফেলেন তবু তো সেটা মৃত্যুর পরের জীবনে কি সাইন বয়ে আনবে, সবছেরে আপনাকে মরতে হচ্ছেই, তাছারা যে বিশ্বাসকে আপনি কাল্পনিক মিথ্যা বলছেন সেই বিশ্বাসই কিন্তু মৃত্যুর মতন পরম সত্যের সংগে আপনাকে পরিচয় করে দিচ্ছে।
লীগ নাস্তিকঃ হুমম তোমার কথায় যুক্তি আছে।
বাসদের নাস্তিকঃ আমরাও আগে তোমারই মত বিশ্বাসিই ছিলাম। কিন্তু………
আস্তিক ছেলেঃ মানুষের বয়স বারার সাথে সাথে বুদ্ধিও বারে কিন্তু আশেপাশের পরিবেশ এবং বই পুস্তকের ধরন অনুযায়ি দুই ধরনের জ্ঞান অর্জন হতে থাকে একটি হল সত্যের জ্ঞান বা পজিটিভ নলেজ অন্যটি হল নেগেটিভ জ্ঞান। এর মধ্যে কোনটা নেগেটিভ আর কোনটা পজিটিভ সেটা মানুষ নির্নয় করে তার ব্যাক্তিগত পছন্দ অনুযায়ি কখনই সত্যতার ভিত্তিতে নয়, এজন্যই পৃথিবীতে সাধারনত দুই ধরনেরই লোক পাওয়া যায় আর তারা নিজ নিজ বিশ্বাস ও জ্ঞানকেই সঠিক ভাবে অন্যটাকে নয়। আর সব মানুষের মাঝেই কম বেশি দুই ধরনেরই জ্ঞান থাকে যার মধ্যে পজিটিভ জ্ঞান বেশি সে হয় বিশ্বাসি আর নেগেটিভ কিন্তু তার দৃষ্টিতে পজিটিভ এরা হয় অবিশ্বাসি আর আমার মনে হচ্ছে আপনার মধ্যে পজিটিভ জ্ঞানের চাইতে নেগেটিভ জ্ঞানের আধিক্য বেশি হয়েছে বিধায় আপনি আজকে অবিশ্বাস করতে পারছেন কিন্তু পুর্বে আপনার সত্য জ্ঞান বেশি ছিল তুলনামুলকভাবে তাই আমার মতন বিশ্বাসি ছিলেন। তাই আপনাদের উচিত পজিটিভ বা আপনাদের দৃষ্টিতে নেগেটিভ জ্ঞান তথা ধর্মের জ্ঞানটা জানা উচিত আর তা নিয়েও নিরপেক্ষভাবে যাচাই বাছাই করে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা উচিত কারন সত্য অবশ্যই ধরা পরবে যদিও সত্য মিথ্যা দিয়ে ঢাকা থাকে।
লীগ নাস্তিকঃ বাব্বা এত কথা জান?
হিন্দু নাস্তিকঃ আমার দুটা প্রশ্ন আছে যদি জবাব দিতে চাও তাহলে বলব, কারন এই প্রশ্নের উত্তর কেউই ঠিকমত দিতে পারে নাই।
আস্তিক ছেলেঃ আগে প্রশ্নটা শুনিই তো, তারপর দেখা যাবে?
হিন্দু নাস্তিকঃ মুসলমানরা মৃত্যুর পর যদি দেখে খ্রিষ্টান ধর্ম বা ইহুদি ধর্ম ঠিক তবে তাদের কি হবে বা এগুলো ঠিক না হয়ে যদি হিন্দুদের দেব দেবী গুলো সত্য হয় তখন কি উপায়? আর মুসলমান ধর্মই যদি ঠিক হয় তবে এই ভারত বর্ষে কেন নবী আসল না, শুধুই আরব বিশ্বে কেন আসল, আমরা তাহলে কিভাবে বুঝতাম যে ইসলাম ধর্মই ঠিক?
আস্তিক ছেলেঃ ওহ ! এটা তো কমন প্রশ্ন। ১মত ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, হিন্দু বা বৌদ্ধ এগুলো সবই একই স্রষ্টার প্রেরিত ধর্ম এবং একটি নির্দিষ্ট জাতির উপর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই বলবত থাকত তারপর পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবার সাথে সাথেই নতুন নবী বা অবতার প্রেরিত হত আর সব ধর্মই আল্লাহর ই ছিল কিন্তু পরে মানুষ বিকৃত করে ফেলায় নতুন ধর্ম দিয়েছেন এভাবে অনেক ধর্ম এর সৃষ্টি হয়েছে শেষে । যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নয়নের পরই সারা বিশ্বের জন্য কেবল একটি ধর্মই দিয়েছেন, এখন আর অন্য ধর্ম দিবেন না কারন আমরা এখন কিয়ামতের নিকটবর্তী। তাই আপনি হিন্দু ঘরে জন্মালেও বেদ পড়ে এক ঈশ্বরের ধারনা পেতে পারতেন , সব শেষে কল্কি অবতার বা মুহাম্মদ সা আগমনের কথা জানতে পারতেন বৌদ্ধ ধর্ম এতেও ইসা মাসিহ(যিসু)এর এবং নবী সা এর আগমন এর ভবষ্যতবানি আছে?? ইসা মাসিহা বলা হচ্ছে মুতিয়া আসবে এবং নবী সা কে বলা হচ্ছে সর্বশেষ বুদ্ধ হিসাবে। আর খ্রিস্টান ধর্মে তো বলাই আছে যে আমার পরে যে আসবে সে হবে আহমদ আর অসংখ্য দেব-দেবীকে মানুষেরা ভুলবশত পুজা করে কিন্তু তারা আসলে জিন জাতির একটা অংশ,এটা নিজের জ্ঞানেই তো চিন্তা করতে পারেন যে , একটি দেশে যেহেতু ২ রাজা সম্ভব নয় তাই পুরা বিশ্বের রাজা বা প্রভু এতগুলো হয়েও যেহেতু দুনিয়া ধংস হচ্ছে না তাই প্রভুও একজনই আর সত্য ধর্মও একটাই। অর্থাৎ ভারতবর্ষে যাদেরকে নবী হয়ে আসার প্রমান মিলে তারা হলেন-রাম,কৃষনা,গৌতাম বুদ্ধ প্রমুখ।
বাসদের নাস্তিকঃ এইছেলে তুমি কি জান বর্তমানে পৃথিবীতে দুহাজারের মত ধর্ম আছে? আবার একধর্মের সাথে অন্য ধর্মের মিলও তেমন নেই,তুমি কি বলছ এর সবগুলোই সঠিক? হা হা হা বড় বিনোদন পাচ্ছি তো তোমার কথায়।
আস্তিক ছেলেঃ দুহাজারের মত ধর্মের সবগুলোই যে সরাসরি ঈশ্বর প্রেরিত তা বলছি না তবে মূলে কিন্তু সবগুলোই ঈশ্বর প্রেরিত যেমনঃ সব ধর্মই কিন্তু কোন এক মহাশক্তির কাছে নত হতে বলে, ভাল-মন্দ নির্ধারন করে, কর্মের পরিনামের ভয় দেখায়, জীবন ধারনের জন্য বিধি বিধান বাতলায়,পুরস্কারের কথা বলে এবং সব ধর্মই কিন্তু মৃত্যুর মতন মহাসত্য সন্মন্ধে মানুষকে সচেতন করে। আর নুহের মহা প্লাবন জাহাজ তৈরী ও শেষযুগে শেষ নবীর আগমনের কথা প্রায় সব প্রধান ধর্মের সাথেই মিলে যায়। দুহাজারের মত ধর্মের ভিতর অনেক ধর্ম আছে সরাসরি ঈশ্বর প্রেরিত, বাদ বাকী ঐসব ঈশ্বর প্রেরিত ধর্মকে ঘিরে কিছু স্বার্থপর লোভী মানুষ শয়তানী প্ররচনায় যেসব উপধর্ম তৈরী করেছে সেগুলোই একমাত্র ভ্রান্ত আর ইসলাম ব্যাতীত সরাসরি ঈশ্বর প্রেরিত পেছনের সব ধর্মই বিভিন্ন হারে মানুষের দ্বারা বিকৃত । এজন্যে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে অনেক ধর্ম যেহেতু বিকৃত বা ভেজাল হয়েছে তাই সবগুলো ধর্মই ভেজাল ও ভ্রান্ত? আপনাকে সহজ ১টি প্রশ্ন করি বাজারে যে জিনিসটির ভেজাল বের হয় সেটা দেখে কি আপনা এই বিশ্বাস জন্মাবে যে , ঐ জিনিস বলতে যত পন্য আছে সবই ভেজাল? বরং ভেজাল যেটার আছে খাটিও সেটার আছে বরং খাটি জিনিসটি আগে বের হবে, জনপ্রিয় বেশী হলেই ভেজাল টা বেরোয় পরে। ভেজাল দেখে যে বলবে খাটি জীবনেও ছিল না সে আসলে গরু। আর বুদ্ধিমানরা ভেজাল দেখে বলবে তবে খাটি কোনটা? কিন্তু নাস্তিক বলদরাই কেবল বলে-আহ হা ! তাহলে খাটি বলতে এই জীবনে কিছুই নেই…ভুল …সবই ভুল…ভুল সবই ভুল।
লীগ নাস্তিকঃ ওকে তা না হয় বুঝলাম । কিন্তু অন্য ধর্মের যারা আছে তারা বুঝবে কিভাবে কোনটা সঠিক?
আস্তিক ছেলেঃবাজারে গিয়ে সামান্য জুতা কিনতে গিয়ে ঠিকই বেছে বেছে ভাল জুতা কিনেন অথচ ধর্ম গুলোর ক্ষেত্রে বাছাবাছি না করে যদি পেছনের বিকৃত ও ভুল ধর্মের উপর আপনার মরন হয়, আর একারনে যদি আল্লাহ আপনাকে সাস্তি দেয় তবে কিন্তু অবিচার হবে না কারন আপনাকে ভালমন্দ বুঝার বুদ্ধি শুধু জুতা কেনা বা রুজি রোজগার চালাবার জন্যই তো আর দেয়া হয়নি বরং এরসাথে ধর্ম এবং পাপ পুর্ন বিচার করার জন্যেও দেয়া হয়েছিল। আপনি আসল ক্ষেত্রে তা না খাটিয়ে যদি ব্যার্থতার পরিচয় দেন তবে ব্যার্থতার সাস্তি তো পাবেন ই ।
ঠিক এমন সময় ক্লাশে স্যার লেকচার দেয়ার জন্য ঢুকল, আর তাদের মজার তর্কেও ভাটা পরল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৪