somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামি গণতান্ত্রিক দলের ইতিহাস

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


-------১ম অংশ------
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন ওয়া সালামু আলা রসুলিহী । সমস্ত প্রসংশা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আর তাঁর নামেই শুরু করছি ।নবী সাঃ এর ওফাতের পর সাহাবী রাঃ গনের খিলাফত বা ইসলামিক রাষ্ট্র ছিল নবুয়তের আদলে হক্কানী খিলাফত ব্যাবস্থা অর্থাৎ একদমই পরিপূর্ন ইসলামিক দেশ এরপরে পরিপুর্ন হক্কানী না হলেও প্রায় ৩টি(উমাইয়া,আব্বসী,উসমানীয়)বংশের খিলাফতের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামিক রাষ্ট্র টিকে ছিল এমনকি মুসলিমদের আমির বা খলিফাও বর্তমান ছিল। ইসলাম ধর্মে ফরজ হল- মুসলিমদের একজন খলিফা থাকতেই হবে এমনকি খলিফাবিহীন ৩ দিনের বেশী মুসলিম উম্মার থাকা জায়েজ নেই, নবী সাঃ নিজে বলে গেছেন- বনী ঈসরাইল বংশে এক নবী মারা গেলে অন্যজন নবী আসত কিন্তু এই উম্মতের জন্য হবে খলিফা, আমার পরে আর কোন নবী নেই তবে অসংখ্য খলিফা আসবে, অন্য বর্ননায় নবী সাঃ বলেন- তোমাদের মাঝে কোন হাবশী কৃতদাসও যদি খলিফা হয় তবু তার আনুগত্য করবে, খলিফা যতই খারাপ হোক না কেন যতক্ষন পর্যন্ত সে নামাজ পড়বে ও রাষ্ট্রে নামাজ চালু রাখবে ততক্ষন পর্যন্ত তাকে অপসারনও করা যাবে না, এমনকি সে দ্বীন ইসলাম সম্মত কোন আদেশ করলে তা সমস্ত মুসলিম উম্মাকে অবশ্যই মানতে হবে । আর ইতিহাসে আমরা তাই দেখি যে একজন খলিফা মারা যাবার পর অথবা শত্রুর দ্বারা হত্যা করার পর পরই ৩ দিনের বেশি বিলম্ব না করেই আরেকজন খলিফার হাতে বায়াত হয়েছে, এই বায়াত হল ফরজ বায়াত, এমনকি নবী সাঃ বলে গেছেন- কেউ যদি মারা যায় এই অবস্থায় যে তার উপর সেই যুগের খলিফা/আমিরের বায়াত ছিল না তবে সে জাহেলীয়াতের উপর মৃত্যুবরন করল। আর এজন্যই ১৯২৪ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ তুরস্কে কিন্তু মুসলমানদের খিলাফত/ইসলামিক রাষ্ট্র এবং খলিফাও বর্তমান ছিল।
খলিফা মানে হল প্রতিনিধি আর এই প্রতিনিধি হল স্বয়ং নবী সাঃ এর প্রতিনিধি অথবা বলা যায় নবীর অবর্তমানে নবীর প্রতিনিধিই ইসলামের খেদমত করবে ও নেতৃত্ব দিবে এবং মুসলিমদের নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করবে অনেকটা পিতা যেমন সন্তানদের দেখভাল করে অনেকটা সেরকমই । ইসলামের এই খিলাফত ব্যাবস্থা থাকার কারনেই বিগত ১০০ বছরের পূর্ব পর্যন্ত মুসলিমরা ছিন্নভিন্ন হয় নাই, বর্তমানের মত ইয়াতিম মজলুমেও পরিনত হয় নাই। ইহুদি-খ্রীষ্টানরা নবী সাঃ এর ওফাতের পর হতেই এই খিলাফত ব্যাবস্থা এবং সর্বদাই খলিফা/আমির/ইমাম/নেতা থাকার সিস্টেমটা ধংস করার জন্য অনেক চক্রান্ত করেছে কারন এই সিস্টেমের মাধ্যমেই আল্লাহ সুবঃ ইসলাম ধর্মসহ মুসলিমদের ওটুট রাখার ব্যাবস্থা করেছেন আর তাই এই সিস্টেমটাই ইহুদি-খ্রীষ্টানদের কাছে সবচেয়ে বড় হুমকি ছিল কারন মুসলিমদের কোন একজন আমিরকে মেরে ফেললে সংগে সংগেই অন্যজন আমিরুল মুমিন হয়ে যেত, সাহাবীদের জামানাতেই আলী রাঃ এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তারা এই এক ইমামের নেতৃত্বে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করত আর এজন্য তাদের অনেকেই কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়েও চক্রান্ত করত ইসলাম অনুযায়ি যাকে বলা হয় মুনাফিক আর মুনাফিক হয়েই তাদের চাল চালতে সুবিধা হত বেশি। এমনকি তারা মুসলিম উম্মাকে শীয়া-সুন্নী প্রধান দুই দলে বিভক্ত করে দেয় এরপূর্বেও সাহাবীদের মাঝেই জামাল ও সীফফিনের মত বড় বড় যুদ্ধ পর্যন্ত লাগিয়ে ছারে।তবু তারা এই ১ খলিফার খিলাফত সিস্টেমটাকে ধংস করতে পারে নাই, এমনকি তারা আব্বাসী-উমাইয়াদেরকে সমূলে নির্মুল করে, আহলে বাইয়াতদের হত্যা করে দেশান্তর করে , আব্বাসী খিলাফতকে সমূলে নির্মুল করে তাতারীদের দ্বারা তবু তারা মুসলিমদের ফরজ খিলাফত ব্যাবস্থাকে সরাতে পারেনি। তাই তারা ব্যাপক পরিকল্পনা এবং চেষ্টা করে মুসলিমদের ধর্ম শিক্ষাকে নিজেরাই নিয়ন্ত্রন করে গোজামিল ঢুকিয়ে শিক্ষিত ধর্মীয় মূর্খ বানানোর পাশাপাশি স্বয়ং খলিফাদেরকেই পরিপূর্ন পথভ্রষ্ট বানানোর চাল শুরু করে এবং তুরস্কের উসমানীয় খিলাফতকালে তারা পরিপূর্ণ সফলও হয়। তখন বিশ্বে মুসলিমদের দুই প্রান্তের রাজত্ব ছিল, এক তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যে আর ছিল ইন্ডিয়াতে, যেহেতু ইন্ডিয়ার সাধারন মুসলিম এবং সেখানকার শাষকরা ছিল মাওয়ালী মুসলিম(অনারব মুসলিম যারা কিনা ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ আরবী হলেও সেই আরবী ভাষাই না শিখে বরং কিছু দুয়া সুরা অর্থ না বুঝেই মুখস্ত করে কোনমতে কাজ চালাত তাই ধর্ম সম্পর্কে তারা ছিল অনেকটাই অজ্ঞ) এদেরকে আরবরা ২য় শ্রেনীর মুসলিম ভাবত, তাই হিন্দুস্থানের মুসলিমদের ঈমানের জযবাহও কম ছিল আর ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে ইহুদী-খ্রীষ্ট্রানরা বৃটিশদের মাধ্যমে হিন্দুস্থানের মুসলিমদের কাছ থেকে শাষন ব্যাবস্থা কেঁড়ে নেয় আর এরপরই সেখানে বৃটিশরাই ভুল ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য মিশরের আজহার মাদ্রাসার ন্যায় ১মে কলকাতায় আলীয়া মাদ্রাসা এবং পরে দেওবন্দ কওমী খারেজী ইত্যাদী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য আলেম ওলামা বানিয়ে মুসলিমদের ভুল ইসলাম দ্বারা ব্রেইন ওয়াশ করে ।এসব মাদ্রাসার মাধ্যমে অনেক ভুল ধারনা ঢুকানোর মাঝে একটি বড় ভুল ধারনা যেটি ঢুকায় তা হল- নবী সাঃ এর পরে শুধু ৪ খলিফাই খিলাফতে রাশেদা এরপর থেকে আর মুসলিমদের খলিফা নেই আর এরপরে খলিফা কাউকে বললেও গুনাহ হবে, বরজোর বলা যেতে পারে মুসলিমদের শাষক বা আমির, এরা যেহেতু নামমাত্র খলিফা আর রাজতন্ত্রের ন্যায় শাষক তাই এদের আনুগত্য করা ঠিক না বরং ইসলাম সম্পর্কে মাদ্রাসা পাশ হুজুররা যে সিদ্ধান্ত দেয় তারই আনুগত্য করতে হবে সর্বসাধারনের । আর এভাবেই সাধারন মানুষের খলিফার প্রতি আনুগত্যের অনিহা বানিয়ে অন্যদিকে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের এজেন্ট হিসেবে তুরস্কের খলিফাদের বসিয়ে দুর্নীতি করিয়ে খলিফা সম্পর্কেই মুসলিমদের মন বিষিয়ে তুলে ১ম দিকে এরপর ১ম বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে ইসলামের খিলাফত তুরস্ককে একদমই দূর্বল করে দেয়, এরপর মুসলমানদের খিলাফত ব্যাবস্থাকে দুনিয়া হতে চিরতরে ধংস করতে চায় কিন্তু তখনও অনেক সচেতন মুসলিম ছিল যারা ভাবত খলিফা ও খিলাফত থা্কা মুসলিমদের জন্য ফরজ তাই তারা ইন্ডিয়াসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে খিলাফত আন্দোলন শুরু করে। তখন পশ্চীমারা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দেখল যে তারা নিজেরাই যদি বাহির থেকে মুসলিমদের এই খিলাফত ব্যাবস্থাকে শেষ করে তবে সচেতন মুসলিমরা তুরস্কে না পারলেও অন্য কোথাও ঠিকই নিজেরা নিজেরাই নতুন করে আবারও অন্য কাউকে খলিফা মেনে নিয়ে বায়াত করে আবারও খিলাফত সিষ্টেম ফিরে আনতে এক আমিরের নেতৃত্বে গ্লোবাল জিহাদ শুরু করবে ফলে আবারও পশ্চিমারা অতীতের ন্যায় হুমকির মুখে পরবে, কেননা উমাইয়াদের পতন এবং আব্বাসীদের পতনের সময়ও মুসলিমরা এভাবে নিজেরা নিজেরাই খলিফা বানিয়ে শুধু জিহাদই যে শুরু করেছিল তাই নয় বরং অনেক দেশ দখলও করে ফেলেছিল আর তার বদলৌতেই মুসলিমরা উসমানীয় খিলাফত পেয়ে বিশ্বে আজও মাথা উঁচু করে আছে, তাই অতীতের মত যেন আর ভুল না হয় তাই তারা উসমানীয় খিলাফত বা অটোমান সম্রাজ্যকেও সম্পূর্ন শেষ করতে বেশ কয়েকটা প্লান করে যেন মুসলিম উম্মাহ খলিফা আর খিলাফতকে ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা বরং এগুলোকে স্বর্নালী ইতিহাস হিসেবেও মনে না রাখে। যেমন-
১) স্বয়ং খলিফাদেরকেই নিজেদের এজেন্টে রুপান্তরিত করা ।
২) মুসলিম বিশ্বে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করা- একঃ সেক্যুলার শিক্ষা। এখানে মুসলিমদের সন্তানরা শিক্ষা নিয়ে ধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্নই অজ্ঞ হবে আর তারা সরাসরি এজেন্ট হিসেবে সমাজে অবদান রাখবে। দুইঃ সম্পূর্নভাবে দুনি্যা বিমুখ অসংখ্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে তাদের পরিকল্পনা মাফিক সিলেবাসভিত্তিক ধর্ম শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করে এসব মাদ্রাসা হতে পাশকৃতদের আলেম, মাওলানা ইত্যাদি টাইটেল দিয়ে সর্বসাধারনদের ব্রেইন ওয়াশ করতে এসব হুজুরদেরকে সমাজে ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
৩) মুসলিমদের ঐক্য বিনষ্ট করতে মুসলিমদেরকে বিভিন্ন দল ও মাজহাবে বিভক্ত করা হয় এবং মুসলিমদের মাঝের মতবিরোধকে আরও উস্কে দেওয়া হয় ।
৪) সন্নাসী ও সুফিবাদী ইসলামকে ব্যাপকভাবে প্রমোট করা হয়।
৫) ধর্মীয় চেতনাকে পেছনে ফেলে মুসলিমদেরকে দেশাত্ববোধ আর জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করা হয়।
৬) জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে বৃহৎ খিলাফত রাষ্ট্রকে ভেংগে ছোট ছোট রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করা হয়, এজন্য ১মেই বৃটিশ এজেন্ট সৌদদের মাধ্যমে মুসলিমদের প্রানকেন্দ্র মক্কা-মদীনা তথা হিজাজ অঞ্চলকে মূল খিলাফাহ রাষ্ট্র হতে পৃথক করা হয় এবং গোটা আরব বিশ্বে বৃটিশ মদদপূষ্ট ছোট ছোট রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয় আর তুরস্কসহ মুসলিমদের অন্নন্য এলাকা যেমন- ইন্ডিয়াকে ভাগ করে খন্ড খন্ড গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভাগ করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
৭)মুসলিমদের খিলাফতকে চিরতরে শেষ করতে পশ্চীমাদের খুবই প্রভুভক্ত এবং নাস্তিক এজেন্ট মুস্তাফা পাশা কামাল আতাতূর্ককে এবারে এজেন্ট করা হয় আর তাকে ১মে সেনাবাহিনী প্রধান বানিয়ে মূল ক্ষমতা হাত করে পরে খলিফা পদে বসিয়ে স্বয়ং খলিফার দ্বারাই খিলাফত রাষ্ট্রের বিলুপ্তি করা হয়, কারন অন্য কারও দ্বারা খিলাফত শেষ করতে চাইলে মুসলিমরা তা মানবে না এবং আবারও তা ফিরিয়ে আনতে পারে তাই স্বয়ং খলিফার হাত দিয়েই খিলাফত শেষ করলে বেশিরভাগ মুসলিমই তা মানতে পারে আর ১৯২৪ সালে সত্যি সত্যি তাই হয়।
৮) যেহেতু সব মুসলিমই তো আর অসচেতন না তাই তারা ঠিকই বুঝবে যে এটা আসলে চক্রান্ত করে মুসলিমদের খিলাফতকে ধ্বংস করা হচ্ছে আর মুসলিমদের ১জন খলিফা থাকা ফরজ আর অবশ্যই ইসলামিক রাষ্ট্র খিলাফতও থাকতে হবে মুসলিমদের মূল আশ্রয়স্থল হিসেবে। মোটকথা সচেতন মুসলিমরা ঐ দুটিকে(খলিফা এবং খিলাফত)আবারও পূনঃস্থাপন করতে চাইবে তাই পুর্ব হতেই যদি ধোকাবাজীর মাধ্যমে ঐ দুটির রিপ্লেসমেন্টের ব্যাবস্থা তারাই করে দেয় তবে কেল্লা ফতেহ! সুতারং পশ্চীমারা তাই করে অর্থাৎ মুসলিমদের নতুন ফলস খলিফা বানায় এবং নতুন ফলস ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরী করে। এজন্য তারা সর্বশেষ ইন্ডিয়াতে গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে সম্পূর্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা বিমুখ সুফিবাদী টাইপ খলিফা বানায় এবং তাকে দিয়ে অসংখ্য ইসলামিক বই লেখায়, মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক প্রচারনাও চালায় এবং অনেক প্রশংসাও কুড়ায় কিন্তু খুব বেশি সারা পাওয়া যাচ্ছিল না বিশেষ করে যখন সে নিজেকে খলিফা হিসেবে জাহির করছিল, তখন বৃটিশরা কাদিয়ানীকে মুসলিমদের মাঝে হিরো বানানোর জন্য আরো ব্যাপক পরিকল্পনা করে, তারা খুব ভাল করেই জানত যে মুসলিমদের মাঝে শেষ যুগে একজন হিরোর আগমন ঘটবে খলিফা হিসেবে হাদিসে যাকে ইমাম মাহদী বলা হয়েছে হয়েছে তাকে সকল মুসলিমই মানতে বাধ্য তাই তারা গোলাম আহমদকে ইমাম মাহদী সাজাতে চাইল কিন্তু ইমাম মাহদীর বেশ কিছু নিদর্শন আছে সেগুলোর বেশিরভাগই না মিললে আবার কেউ মানতে চাইবে না অতীতের মতন, তাই তারা জ্যোতির্বিদ্যার মাধ্যমে দেখল যে আর কয়েক বছরের মধ্যেই রমজান মাসে আংশিক ধরনের চন্দ্র-সূর্য্য গ্রহন ঘটতে যাচ্ছে আর অনেক হাদিসে ইমাম মাহদীর নিদর্শন হিসেবে এটাকে উল্লেখ করা আছে তাই তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে ইমাম মাহদী হিসেবে দ্বার করাতে সফল হল আর বাদবাকী অনেক নিদর্শনকে সে রুপকভাবে ভূল ব্যাখ্যা করতে লাগল অনেকেই মাহদীর সাথে ঈসা আঃ এর আসার কথা বললে সে এবার বুঝাতে লাগল যে যিনি মাহদী তিনিই ঈসা অর্থাৎ দুজনেই একই ব্যাক্তি সুতারাং তার এই ভুল ব্যাখ্যাও অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য হতে লাগল তাই সে অনেকের কাছ থেকেই খলিফা হিসেবে বায়াত নিতে থাকল, মোটকথা যারা খিলাফতের চেয়ে খলিফার গুরুত্ব বেশি দিত তাদের অনেকেই গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর খপ্পরে পরল কিন্তু বাদ-বাকী অনেকেই যারা খলিফার চাইতে ইসলামিক রাষ্ট্র বা খিলাফত তথা মুসলিমদের ক্ষমতাকে গুরুত্ব বেশী দিচ্ছিল তাদেরকে বলা হল- এবারে হিন্দুস্থানেই খিলাফত কায়েম করতে হবে, মুসলিমদের জন্য আলাদা ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান কায়েম করতে হবে। ব্যাছ! তখনি হাজারো মুসলিম তাদের এই ফাঁদে আরও বেশি পা দিল। যে মুসলিমরা বৃটিশদের বিরুদ্ধে ১ম যুদ্ধ শুরু করে এবং হিন্দু –মুসলিম পাশাপাশি থাকতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে এবং দেশ বিভাবজনে ঘোঁর বিরোধিতা করে, সেই মুসলিমদেরই বিশাল একটা অংশ যখন জানতে পারল ইন্ডিয়াতে আলাদা ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে তখন তারা অতীতের খিলাফত আন্দোলন বাদ দিয়ে এবারে পাকিস্তান গঠনের আন্দোলনে যোগ দিয়ে বৃটিশদের ধর্মীয় ভিত্তিতে দেশ বিভাজনে সহায়তাও করল আবার পশ্চিমাদের আসল প্লানও বাস্তবায়িত হল যে- মুসলিমদের খিলাফত রাষ্ট্রের প্রতিস্থাপক হিসেবে মুসলিম উম্মাহকে ফলস ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান উপহার দেওয়া, এমনকি উসমানীয় খিলাফতের পতাকার অনুকরনে পাকিস্তানের পতাকাও চাঁদ তাঁরা দেয়া হল যদিও অজানা কোন এক কারনে সৌদীর পতাকার ন্যায় পতাকার রঙ সবুজ দেয়া হয় ।তাই পশ্চিমাদের তৈরী ফলস খলিফা- গোলাম আহমদ কাদীয়ানী আর ফলস খিলাফত পাকিস্তান পেয়ে মুসলিম উম্মাহর ফরজ খলিফা আর খিলাফত ব্যাবস্থাকে ফিরিয়ে আনার মূল জজবাহই হারিয়ে ফেলল।
৯) সবচেয়ে মারাত্বক আর বড় ধরনের প্লান খিলাফত বিলুপ্ত করার অনেক আগেই করা হয়। মুসলিমদের কাছে কুরান হাদিস যেহেতু ঠিকই আছে তাই যেকোন সময় তারা সচেতন হয়ে তাদের এসব ধোঁকাবাজি ঠিকই বুঝতে পারবে যে- গোলাম আহমদ কাদিয়ানী আসলে ভন্ড বৃটিশের দালাল আর পাকিস্তান আসলেই কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নয় বরং এটি সম্পূর্ন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র যাকে তারা ইসলামিক রাষ্ট্র ভেবে ধোঁকায় পরেছে ইত্যাদি সব বুঝতে পেরে তারা আবারও একত্রিত হয়ে ইসলামিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারে তাই ১ম দিকে খিলাফত বিলুপ্ত করার সাথে সাথেই ফলস খলিফা আর খিলাফত তো দেওয়া হবেই তারপরও যারা এই ফাঁদেও পড়বে না তাদেরকে বিভিন্ন সুফিবাদী পীরের ফাঁদে ফেলে পীরদের দ্বারা মুরিদদের বুঝানো হবে যে তারাই হল নিজ নিজ খানকার খলিফা আর তাদের কাছে খলিফার ফরজ বায়াত না করলে সে জান্নাতে যেতে পারবে না আর এসব খলিফারুপী পীররা যে আদেশ করবে তা মুরিদদের জন্য মানা ফরয, তাই মুরিদেরা ১মত বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবে না, জিহাদ রহিত হয়ে গেছে আর তাদের পীর খলিফা যেহেতু আছেই তাই এসব পীরের খানকাই হল ইসলামি খিলাফত সুতারাং মুরিদদের আর আলাদা ইসলামিক রাষ্ট্র খিলাফা গঠন করার দরকার নেই, পশ্চীমাদের মদদপূষ্ট এসব পীররা কুরান হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষদের ব্রেইন ওয়াশ করে মুরিদ বানিয়ে রাখবে কিন্তু মূর্খ আর নিম্নশ্রেনীর মুসলিমরাই বেশিরভাগ এসব পীরদের খপ্পরে পরবে, বাদবাকী অনেক শিক্ষিত মুসলিম ঠিকই সচেতন থাকবে আর এরাই আবারও ইসলামিক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য সকল মুসলিমদেরকে একত্রিত করতে ইসলামিক দল তৈরী করতে পারে তাই এই ধরনের মোটামুটি শিক্ষিত শ্রেনীরাই সবচেয়ে বড় হুমকি হবে আর এদেরকেও যদি কোনভাবে রিপ্লেসমেন্টের ব্যাবস্থা করা যায় তবে আর কোন রিস্কই থাকে না।তাই তারা অনেক গবেষনা করে খিলাফত বিলুপ্ত করার অনেক আগে হতেই নতুন এক মতাদর্শের মুসলিম তৈরী করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে, যাদেরকে বলা হয় মোডারেট মুসলিম। খিলাফত ধ্বংসের সাথে সাথেই যেমন ফলস খলিফা আর খিলাফতের ব্যাবস্থা করা হবে ঠিক একইভাবে খিলাফা বিলুপ্তির পর পরই মুসলিমদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে তারা নিজেরাই এবার মোডারেট মুসলিমদের দ্বারা ফলস ইসলামিক দল তৈরী করবে এমনভাবে যে সেই দলের বড় বড় নেতাসহ দলের সদস্যরাও বুঝতে পারবে না যে এসব দল আসলেই ইসলাম বিরোধী শক্তি পশ্চিমাদের নিজ হাতে তৈরী করা ফলস ইসলামিক দল। কিন্তু যেকোন দল তৈরী করতে এবং এর নতুন মতাদর্শ তৈরী করে প্রচারনা করতে অনেক সময় লাগে তাই তারা অনেক এজেন্ট তৈরী করে এবং তাদের দ্বারা মুসলিমদের মাঝে প্রচারনা তৈরী করতে অনেক লেখালেখি, পত্র-পত্রিকা ইত্যাদি প্রিন্ট মিডিয়াসহ মৌখিক প্রচারনাও শুরু করে, আর এগুলো শুরু হয় সর্বপ্রথম মিশর হতে। আর এই দেশ সর্বদাই ইসলাম বিরোধী শক্তির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সেই সাহাবা রাঃ দের যুগ হতেই, এমনকি খারিজি, ফাতিমীসহ সকল প্রকার ভ্রান্ত মুসলিমদের সৃষ্টিই যেন এই দেশ হতে করা হয়। ইসলামের ৪র্থ খলীফা হযরত আলী রাঃ কে হত্যা করা থেকে শুরু করে মুসলিমদের মাঝে ছরানো বেশিরভাগ ফিতনাই ফেরাউনের দেশ মিশর হতে শুরু হয়। তাই এবারও মিশরেই মোডারেট মুসলিম তৈরীর কার্যক্রম শুরু করা হয় অনেক পূর্ব হতেই । বিভিন্ন এজেন্টের মধ্যে ১৮৪৯ সালে মিশরের সুবরা খিট এ জন্ম নেয়া মুহাম্মদ আবদুহ যে কিনা ছিল একাধারে ইহুদীদের গুপ্ত সংগঠন ফ্রী-মেসন এর উঁচুস্তরের সদস্য , ইসলামিক স্কলার , থিংকার এবং লেখক তারই একান্ত শীষ্য ছিল সালাফী স্কলার সৈয়দ মুহাম্মদ রশিদ রিদা সেও ইসলামী রিফরমার এবং লেখকও , যাইহোক এরা সহ আরও অনেক এজেন্টের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মিশরেই মোডারেট মুসলিম তৈরীর কার্যক্রম শুরু করা হয়, বিশেষ করে রশিদ রিদার ইসলামী ম্যাগাজিন আল মানওয়ার পড়ার পাশাপাশি এই দুজনের মতাদর্শে এবং সহযোগিতায় মিশরে হাসান আল বান্না মডারেট মুসলিম এর কার্যক্রম প্রসারণে মূখ্য ভুমিকা পালন করে এবং পশ্চিমাদের বড় এজেন্টে পরিনত হয় যারফলে তাকে দিয়ে ১৯২৪ সালে খিলাফত ধ্বংসের মাত্র ৪ বছরের মাথায় ১৯২৮ সালেই আল ইখইয়ানুল মুসলিমুন/মুসলিম ব্রাদারহুড নামে ফলস ইসলামিক দল গঠন করে, যাদের কিনা ইসলামি রাষ্ট্র গঠনই প্রধান উদ্দেশ্য।মধ্যপ্রাচ্যেই ১ম মোডারেট মুসলিমদের উত্থান করা হলেও ইন্ডিয়াতেও এই মতাদর্শ ব্যাপকভাবে ছরাতে মুহাম্মদ আবদুহ ও মুহাম্মদ রশিদ রিদা এর মতই পাঞ্জাবের শিয়ালকোটের উর্দু কবি, লেখক, দার্শনিক, গবেষক মুহাম্মদ ইকবালকে নিয়োগ দেয়া হয়, সেই ইন্ডিয়ার মুসলিমদের মাঝে মডারেট মুসলিম ও গনতান্ত্রিকভাবে ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের মতাদর্শ ছরাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে শুধু তাই না নব্য এই ফলস মুসলিম গঠন করতে তারা শেষ পর্যন্ত এক ইহুদীকে মুসলিম পর্যন্ত বানায় এবং সে তার সারাটা জীবন মুসলিমদের ব্রেইন ওয়াশে কাটিয়ে দেয়, সে আর কেউ নয় আমাদের মাঝে খুবই খ্যাত মুহাম্মদ আসাদ, সে মুসলিমদের ব্রেইন ওয়াশ করতে কুরান শরীফের অনুবাদ করে যেটা এখনও মডারেট মুসলিমদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। যাইহোক সর্বশেষে ইন্ডিয়াকে ভাগ করার পর মাত্র কয়েক বছর পূর্বে ১৯৪১ সালে আবুল আলা মওদুতী মিশরের হাসান আল বান্নার ইখইয়ানুল মুসলিমুন এর অনুকরনে জামাতি ইসলামি নামের আরেকটি ফলস ইসলামি দল প্রতিষ্ঠা করে। আবুল আলা মওদুতীও কিন্তু ইন্ডিয়ার মুহাম্মদ ইকবাল এবং মিশরের হাসান আল বান্নার অনুসারি। সে মুসলিমদের ব্রেইন ওয়াশ করতে তাফহীমুল কুরান নামে কুরানের তাফসীর পর্যন্ত করে, এভাবেই এদেরকে মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রচারনা চালাতে অনেক সাহায্য করা হয় অবশেষে যারা একটু সচেতন ছিল তাদের মাঝেও এই ফলস মডারেট ইসলামি দলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। পশ্চিমারা এদেরকে এমনভাবে কুরান হাদিস দিয়েই ব্রেইন ওয়াশ করায় যে – এদের মাধ্যমে কখনও এক খলিফার নেতৃত্বে খিলাফত সিষ্টেম যেন আর না ফিরে আসে আর এরা সকলেই নববী পদ্ধতিতে খিলাফত ফিরিয়ে আনার ঘোঁর বিরোধী হয়, তারা খিলাফত বলতে শুধু সাহাবীদের খোলাফায়ে রাশেদাকেই বুঝে আর সেগুলোও তাদের মতে পুরান আমলের সিষ্টেম যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অকেজো তাই এদের মূল মতাদর্শই হল পশ্চিমাদের দেয়া নতুন সিস্টেমের মাঝে থেকেই নতুন ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করা, এক্ষেত্রে এরা নতুন একটি শিরকী কুফরী বিদাতী মতাদর্শ পশ্চিমাদের মাধ্যমে পেয়েছে আর তা হল- ইসলামি গনতন্ত্র। মোটকথা এরা পশ্চিমাদের নিজ হাতে তৈরী এমনি প্রোডাক্ট যে এদের মূল কাজটাই যেন পশ্চীমাদের সব হারাম জিনিসকে কিছু ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামের নামে হালাল বানানো এবং মুসলিমদের মাঝে তার ব্যাপকভাবে প্রচলন ঘটানো। এই মডারেট ইসলামি দলগুলো পশ্চিমাদের এমনি এজেন্ট যে এরা তাদেরকে দুইভাবে সাহায্য করছে- ১মত সমাজিক অবক্ষয় দেখে যারা ইসলাম কায়েম করতে চাইবে তারা মুসলিমদের কুরান-সুন্নাহ ভিত্তিক মুল খিলাফত সিষ্টেমে না গিয়ে বিভিন্ন ইসলামি গনতান্ত্রিক দলের মাধ্যমে রিপ্লেসমেন্ট হবে ফলে আর সত্যিকারের ইসলাম কায়েম হবার কোন সম্ভাবনাই থাকবে না। ২য়ত মুসলিম বিশ্বে পশ্চিমাদের বিভিন্ন হারাম কর্মকান্ডকে এরা ইসলামি নাম দিয়ে হালাল করে মুসলিমদেরকে তা করাবে ফলে ইসলাম বিরোধীদের অন্নান্য সুযোগ সুবিধাও এরা মুসলিম এজেন্ট হিসেবেই করে দিবে উদাহরনস্বরুপ মুসলিম বিশ্বে সুদভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক এসব মডারেট মুসলিমদের দ্বারাই করা হয়, উল্লেখ্য যে মুসলিম ব্রাদারহুড,ইন্ডিয়ার জামাতি ইসলামীসহ সকল ইসলামি গণতান্ত্রিক দল, ইরানের খোমেনীর দল, হিজবুল্লাহ, হামাস এবং তুরস্কের ইরোদোগান এরা সকলেই পশ্চিমাদের সেই মডারেট ফলস ইসলামি দল যাদের সর্বচ্চ নেতারা সকলেই গুপ্ত সংঘটনের সিক্রেট সদস্য । তাই পশ্চিমাদের নিজ হাতে তৈরী এসব ইসলামি গণতান্ত্রিক দল সত্যিকারের ইসলামি খিলাফত ব্যাবস্থার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি এসব অসংখ্য মডারেট টুপিওলাদেরও নির্বাচন করতে দেখে আম মুসলিমও ভোট দিয়ে সরকার গঠন ইসলামে হালালই জানবে একারনে অনেকেই দেশে আপাদত আয়-উন্নতির জন্য সেক্যুলার দলকেই ভোট দিবে কেননা মডারেট মুসলিমদের তুলনায় সেক্যুলার কোন দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি। এভাবে পশ্চিমাদের পাঁতানো বিভিন্ন চক্রান্তের কোন না কোন একটিতে মুসলিমরা পরবেই এরপরও অল্পকিছু মুসলিম যারা তাদের খপ্পরে না পরে তাদের বিরুদ্ধে থাকবে সেটা হোক জিহাদ বা অন্যকোন মাধ্যমে তাদেরকে কঠর হস্তে দমন করে সমাজে তাদেরকে খারাপ হিসেবে প্রচারণা চালালে তাদের আর কোন সমস্যাই হবে না।
বিশ্বে মুসলিমদের ক্ষমতা হতে চিরতরে শেষ করতে উপরোক্ত ৯ টি পরিকল্পনার পাশাপাশি আরও অনেক পরিকল্পনাই তারা করেছে এবং এসবের পরিপূর্ন বাস্তবায়ন করে আজ পশ্চীমা শক্তি বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর মুসলিমরা হয়ে গেছে মজলুম জাতি। তবে তাদের করা প্লানের মাঝে ৯ নং প্লানটি বেশি মারাত্বক মুসলিম জাতির জন্য কারন ধর্মহীন কোনকিছুকে সহজেই চেনা যায় কিন্তু ধর্মীয় মোড়কে গণতন্ত্রকে ইসলামি গণতন্ত্র বলে হালালরুপে উপস্থাপন করে মুসলিমদের ধোঁকায় ফেলা আরও বেশি ক্ষতি।কিন্তু এটাই সত্য যে বিগত প্রায় ১০০ বছর হল এসব মোডারেট মুসলিমরা ইসলামি গণতন্ত্র এর নামে মুসলিম সমাজে আজও বিষবাস্প ছরিয়ে আসছে। এদের লেখনী, কড়া বক্তব্য, জ্বালাময়ী ওয়াজ নসিহত, দলের কর্মকান্ড আর মিছিল সমাবেশ দেখে যে কেউই ধোঁকায় পরে যায়। এদের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হচ্ছে এদের মতাদর্শের পিছনে এরা কুরান-হাদিসের সহী দলীল দিয়ে মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করে এবং মিডিয়াতে এরা পশ্চিমাদের মদদে ভালই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে কিন্তু এতকিছুর পরেও যাদের কুরান-হাদিসের গভীর জ্ঞান আছে তারা কিন্তু বরাবরই এদেরকে কুরান হাদিসের দলীল দিয়েই ভুল প্রমান করে আসছে এজন্যই দেওবন্দী কওমী ধাঁচের আলেম-ওলামা যাদের কিনা কুরান-হাদিসের পাশাপাশি আরবী গ্রামারের উপরও ভাল জ্ঞান তারা কিন্তু পূর্ব হতেই এদের বিভ্রান্ততা মানুষের সামনে প্রকাশ করে আসছে কিন্তু মডারেটদের পেছনে পশ্চিমাদের সহায়তায় মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যম থাকায় তারা সর্বদাই এক কদম এগিয়ে থেকেছে যারফলে বেশিরভাগ মুসলিম এদের খপ্পরেই বেশি পরে ইসলামি সমাজ চাইতে গিয়ে। এখন আসল কথা হল- কে ভ্রান্ত পথভ্রষ্ট আর কে হক্বের উপরে আছে এটা জানার একটাই উপায় আর তা হল কুরান-হাদিসের কষ্টি পাথরে তাকে ভালভাবে যাচাই করা, উপরে সংক্ষিপ্তভাবে এসব ইসলামি গণতান্ত্রিক দলের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে আর এখন দেখতে হবে কুরান হাদিসের আলোকে যে- আসলেই ইসলামি গণতন্ত্র এর কোন অস্তিত্ব ইসলামে আছে কিনা ? তবে পাঠকের জন্য আরও সুবিধা হবে যদি এসব দলীল জানার পাশাপাশি নিচের কয়েকটি লেখায় একটু চোখ বুলিয়ে নেন-
১) এক বাক্যে ধর্মের ব্যাখ্যা। Click This Link
২) ইসলামে কি রাজনীতি আছে ? Click This Link
৩) ইসলাম ও ইসলামিক দলগুলো।
https://www.somewhereinblog.net/blog/Islamichintabid/30156878(ইন্টারেনেট হতে সামহোয়্যার ব্লগে গিয়ে এগুলো সার্স দিলেও পাওয়া যাবে) ------- এই লেখার বাকিটুকু ইনশাহ আল্লাহ পরের অংশেই সমাপ্ত হবে।(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×