somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কক্সবাজারে কোথায় ভ্রমন করবেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পৃথিবী ভ্রমন করুন
স্রষ্টার অপার মহিমা অবলোকন করুন
সৃষ্টির বৈচিত্রময় সৌন্দর্য
উপভোগ করুন

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
সৈকতে একসঙ্গে সাগর, নদী, পাহাড় আর সমুদ্রের দ্বীপ দেখতে চান? বাংলাদেশের একটি জায়গায় তা সম্ভব। চলে আসুন কক্সবাজারে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১২০ কি:মি:। সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালুর আঁচলে । কক্সবাজর শহরে ঢুকতেই কানে বাজবে উত্তাল সাগরের গর্জন। । পশ্চিম দিকে উঁকি দিলে নজরে পড়বে বিশাল সাগর। নরম বালুচরে নেমে দেখবনে লাল রঙের রাজকাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ, গভীর সাগরে মাছ ধরে জেলেদের ফিরে আসা। সাগরের বিশাল মায়াবী গোধূলী ও সুর্যাস্ত, রাতের নিস্তব্ধতায় এক অন্য জগতে হারিয়ে যাবেন। সূর্য্যস্নান কিংবা সমুদ্রস্নানে নিজেকে বিলীন করে দিন নীলাভ প্রকৃতিতে। খোলা জীপে, স্পীড বোটে বা ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানো আর সমুদ্রের বালির বিছানায় দাঁড়িয়ে শামুক-ঝিনুকের সাখে লোকোচুরি খেলতে খেলতে উপভোগ করুন অনাবিল আনন্দ। কক্সবাজার নাজিরার টেক থেকে শুরু করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত উক্ত বীচ। কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে উক্ত বীচ অবস্থিত। বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার তাইতো নব বধুরুপে সেজে আপনার পথ পানে চেয়ে আছে । এখানে উপভোগ করুণ আর্ন্তজাতিক মানের হোটেল মোটেলের আতিথেয়তা ও সেবা। উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের ওপর ছেলেমেয়েদের জলক্রীড়া (সাফিং) দেখে মন সতেজ করতে হলে যেতে হবে কলাতলী পয়েন্টে। সৈকতের পাদদেশেই বিশাল ঝাউবাগান। উচুঁ পাহাড়ের ওপর ৩০০ বছর আগে স্থাপিত জাদিরাম মন্দির, ক্যাং, বার্মিজ মার্কেট মনোমুগ্ধকর রাডার ষ্টেশন, লাইট হাউজ এবং নাজিরাটেক শুটকিপল্লী ও ঝিনুক মার্কেট ঘুরে আসতে পারেন।

অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য সোনাদিয়াদ্বীপ

মহেশখালীর দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত সোনাদিয়া একটি ছোট্র বালির দ্বীপ। দূর থেকে দেখতে প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের মতো। কিন্তু সোনাদিয়ার সৌন্দর্য আলাদা। পাহাড়, সবুজ ঘন প্যারাবন পেছনে ফেলে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে যেতে হয় এই সোনাদিয়ায়। কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপের অবস্থান। ঐতিহাসিকরা এটিকে সোনালী দ্বীপ বলেছেন। প্রতিবছর শীতের মওসুমে এখানে হাজার হাজার অথিতি পাখির ভিড় জমে, তাই এটিকে অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্যও বলে। সোনাদিয়ার নরম বালুচরে দাঁড়িয়ে সকালে সূর্যোদয় ও বিকালে সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাগর থেকে ধরে আনা তরতাজা মাছ বালুচরে কেটেকুটে রোদে শুকিয়ে শুটকি করার কান্ডকারখানা স্বচক্ষে দেখা এবং কম দামে লাক্ষা, কোরাল, মাইট্যা ও লইট্যা কেনার সুযোগ রয়েছে। এদ্বীপ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন শুটকি রপ্তানি হয়। মৎস্য আহরণ ও অথিতি পাখির জন্য এদ্বীপ বিখ্যাত। সোনাদিয়া থেকে স্পিডবোটে করে মহেশখালীতে ঘুরে আসতে পারেন। মহেশখালী চ্যানেলের তীরে মৈনাক পর্বতের ২৮৮ ফুট ওপরে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আদিনাথ মন্দির। একটু দূরে পাহাড়চূড়ায় রাখাইন স¤প্রদায়ের জাদি। রয়েছে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি।
স্বপ্নের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন

বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবালদ্বীপ হচ্ছে কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি এ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। টেকনাফ উপজেলার এ প্রবালদ্বীপটি অবস্থান বঙ্গোপসাগরের মধ্যে। টেকনাফ থেকে প্রায় ৮ মাইল দক্ষিণে বঙ্গেপসাগরের মাঝখানে প্রবাল দ্বীপটি অবস্থিত। জিঞ্জিরা, দক্ষিণ পাড়া, গলাছিরা ও চেরাদিয়া এই চারটি দ্বীপ নিয়ে ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ’ গঠিত। এর প্রাচীর নাম নারিকেল জিনঞ্জিরা, পরবর্তীতে বৃটিশ আমলে এ দ্বীপকে সেন্ট মার্টিন নাম করণ করা হয়। ভূ-তাত্বিকদের মতে দ্বীপটির বয়স ২০ লক্ষ বছর। এদ্বীপের মূল আকর্ষণ সামুদ্রিক কাঁকড়া, কাছিম. প্রবাল, মুক্তা আর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রাকতিক এ্যাকুরিয়াম। অনেকের মতে এখানে জীবন্ত পাথরও রয়েছে। আমাদের উষ্ম আতিথেয়তায় অত্যাধুনিক বিলাসবহুল জাহাজ ও প্রমোদতরী দিয়ে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে উত্তাল-পাতাল ঢেউয়ের দোল আর সাগরের নয়াবিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আপনি পৌছে যাবেন সেন্ট মার্টিনে। নাফ নদীর পাশ দিয়ে একদিকে মায়ানমার আর অন্যদিকে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আর এর মাঝখানে পানির উপর ভেসে চলেছেন আপনি। নদীতে ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার। বঙ্গেপসাগর এবং নাফ নদীর মোহনায় ডুবো চরে গাংচিলের ঝাঁক ও পানির উপর দিয়ে ফ্লাইং ফিশের ফ্লাই করা দেখে আপনি অবাক চোখে শুধু তাকিয়েই থাকবেন! দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপে রাত কাটানোর বিরল অভিজ্ঞতার অধিকারী হতে পারেন। নিঝুম নিস্তব্ধ রাতে সেন্ট মার্টিনের পাথুরে সৈকতে দাঁড়িয়ে চাঁদনী রাতে হাজার তারার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলবেন ইস! কি সুন্দর আমার এ প্রিয় দেশ। আরো দেখতে পারেন প্রবালদ্বীপের পাথরের গর্তে প্রাকৃতিক এ্যাকুরিয়ামে নানা রঙের মাছের ছুটোছুটি। আপনার চিরকাঙ্খিত প্রবাল দ্বীপ এবং ছেঁড়াদিয়ার নির্জনতা আপনাকে বিমোহিত করবেই।
মানচিত্রের শেষ বিন্দু ছেঁড়াদ্বীপ

সামুদ্রিক প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে দেশের মানচিত্রের শেষ বিন্দতে এর অবস্থান। সেন্ট মার্টিন থেকে পূর্ব দিকে ট্রলার বা স্পিডবোট করে যেতে হয় বাংলাদেশের মানচিত্রের শেষ কিন্দু ছেঁড়াদ্বীপে। সময় লাগে আড়াই ঘন্টা। এখানে কোনো লোকবসতি নেই। পুরোপুরি সংরক্ষিত এলাকা। এই দ্বীপের চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রবাল-শৈবাল, শামুক-ঝিনুক। এসব মনভরে উপভোগ করা যায়, কিন্তু আহরণ বা সংগ্রহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্বচ্ছ নীল জলের এই দ্বীপে দেখা মেলে নানা বৈচৈত্রের মাছের। স্পিডবোট দিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে মুহুর্তেই ঘুরে আসা যায় প্রকৃতিক সৌন্দর্যের এ দ্বীপকে।

অমর প্রেমের স্মৃতিময় টেকনাফ

কক্সবাজার হতে ৮৫ কিলোমিটার পাহাড়ি আকাঁ বাঁকা পথ দিয়ে টেকনাফ পৌছাতে আপনার সময় লাগবে ২ ঘন্টা ২০ মিনিট। ‘নাফ’ নদীর টেকে অবস্থিত বলে উপজেলার শহরের নাম টেকনাফ। এই টেকনাফ থানা প্রাঙ্গণে মগ জমিদারকন্যা ‘মাথিন’ আর পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্রাচার্যের অমর প্রেমের সাক্ষী ‘মাথিন কুপ’। দেড় কিলোমিটার দূরে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসতে পারেন। নাফ নদীর তীরে নেটং (দেবতার পাহাড়) পাহাড়ে রয়েছে ঐতিহাসিক বিট্রিশ বাংকার। বার্মিজ মার্কেট থেকে আপনি নানা ধরণের আকষনীয় দেশী-বিদেশী পণ্যসামগ্রী কিনে নিতে পারেন অথবা রাত কাটাতে পারেন টেকনাফে নে-টং পাহাড়ের উপর অবস্থিত মোটেল নে-টং এ। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন দমদমিয়া নেচার পার্কের মনোমুগদ্ধ কর পাহাড়ী ছরা।

পাহাড়-ঝরনার হিমছড়ি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে দক্ষিণ দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে ১০ কিলোমিটার গেলে পাহাড়ঘেরা অপরূপ ‘হিমছড়ি’ । কক্সবাজার শহর হতে মেরিন ড্রাইভ সড়কে সমুদ্র আর পাহাড়ের মধ্যদিয়ে প্রাণচঞ্চলতায় জীপে কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে অনায়াসে বেড়িয়ে আসুন ঝর্ণাধারা প্রবাহমান হিমছড়ি। হিমছড়ির পাহাড়চূড়ায় ওঠার জন্য কয়েক শ ফুট উঁচু পাকা সিড়ি রয়েছে। পাহাড়ের ওপরে বসে নিচের গ্রাম ও সমুদ্র দেখতে ভালো লাগে। মনে হবে বিশাল সাগরের ওপর আপনি দাঁড়িয়ে আছেন। হিমছড়ি যাওয়ার একটু আগে পাহাড়চূড়ায় দেখতে পাবেন ‘দরিয়ানগর’ পর্যটন পল্লি। এই পল্লির উঁচু পাহাড়ের নিচে রয়েছে এক কিলোমিটার দীর্ঘ কয়েক শ বছরের পুরনো একটি সুডঙ্গপথ। রয়েছে একাধিক আদিগুহা ও ঝরনা। ইচ্ছে করলে এই রুপময় পাহাড়ে রাত কাটাতে পারেন। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেখানে ভ্রমন করে সাগর ও পাহাড়ের দ্রশ্য উপভোগ করতে পারেন।
পাথুরে সৈকত ইনানী
হিমছড়ি ঝরনা স্পট থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাথুরে সৈকত ইনানী। কক্সবাজার সৈকতে বালু ছাড়া কিছু নেই। কিন্তু ইনানী সৈকতে পাথরের সারিবদ্ধ স্তুপ। বিশাল সাগরের জলরাশি যখন বীর বিক্রমে সৈকতের পাথরগুলোর উপর ঝাপিয়ে পড়বে তখণ আপনি বিমোহিত না হয়ে পারবেন না। মুগ্ধ বিস্ময়ে অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকবেন সৈকতে ঐশ্বর্যের মতো চছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শামুক, ঝিনুক আর নানা রঙের পাথরের বাহার। পাথুরে সৈকতে হাটাহাটি করে এসব সংগ্রহ করার মজাই আলাদা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই পাথরস্তুপের কারণে সৈকতের নামকরণ হয় পাথুরে সৈকত।
প্রাণী বৈচিত্রের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

গরিন অরণ্যে ভালুক, সিংহ, অজগরসহ নানা জীবজন্তু স্বচক্ষে দেখতে হলে যেতে হবে ডুলাহাজারায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। সাফারী পার্ক হলো সরকার ঘোষিত এলাকা যেখানে বন্যপ্রাণীদেরকে তাদের প্রাকৃতিক ভাবে প্রতিপালন করা হয়। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি বন্য প্রাণীর বংশবৃদ্ধি ও অবাধ বিচরণের সুযোগ রয়েছে, রয়েছে শিক্ষা, গভেষনা ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ । সাফারী পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে ভিন্নতর। চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তু আবদ্ধ অবস্থায় থাকে আর সাফারী পার্কে মুক্ত অবস্থায় বিচরন করে। এর আয়তন ৯০০ হেক্টর। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে ডুলাহাজারা রিজার্ব ফরেষ্টে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিতবনাঞ্চলে সাফারী পার্ক অবস্থিত। কক্সবাজার জেলা সদর হতে উত্তরে পার্কটির দূরত্ব ৫০ কি:মি: এবং চকরিয়া সদর হতে দক্ষিণে ১০ কি: মি:। এখানে রয়েছে হাজারো প্রজাতির জীবজন্তু ও নানা ধরণের পশু-পাখি এবং হরেক রকমের গাছ পাল। া সাফারি পার্ক স্বচক্ষে দেখা আপনার কক্সবাজার ভ্রমনকে সার্থক ও আনন্দময় করে তুলবে। হরিণ, কুমির, সিংহ, হাতি, বাঘ, সাপসহ নানা ধরণের বন্য প্রাণী আপনাকে আনন্দ দেবে, প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত নির্জন উঁচুনিচু টিলা, প্রবাহমান ছড়া, হ্রদ, বিচিত্র গর্জন এর সু-উচ্চ ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক বৃক্ষ চির সবুজ বনের জানা-অজানা গাছ-গাছালি, ফল-ভেষজ উদ্ভিদ, লতার অপূর্ব উদ্ভিদ রাজির সমাহার ও ঘন আচ্ছাদনে গড়ে উঠেছে সাফারী পার্ক। অভ্যন্তরীন বেষ্টনীর ভেতরে বাঘ, সিংহ ও তৃণভোজী প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাস করে। পার্কের ভেতরে অনায়াসে বাঘ-সিংহসহ অন্যান্য প্রাণী পর্যবেক্ষন করার জন্য এখানে রয়েছে দেশের একমাত্র প্রাণী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। যা আপনার সামনে তুলে ধরবে সুন্দরবনসহ দেশের পুরো বন বিভাগের চিত্র। পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণী জাদুঘরে রয়েছে অসংখ্য জলজাত প্রাণীর সমাহার। আরো রয়েছে সেই আটলান্টিক মহাসাগরের সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ধরাপড়া ডলফিন। আরো রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বিভিন্ন প্রজাতির কাছিম, হাজারো রকমের বিরল গাছপালা আরো অনেক প্রাকৃতিক জীবজন্তু রয়েছে।

রম্যভূমির বৌদ্ধ নিদর্শন

এটি রামকোট বনাশ্রমের পার্শ্বের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ৯০১ বাংলা সনে স্থাপিত। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সময় পথে পড়ে রম্যভূমি রামু। কক্সসবাজার হতে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এ রম্যভূমি। সড়কের দুই পাশে সুদৃশ্য সারি সারি রাবার বাগান। যা আপনার চোখকে জুড়িয়ে দেবে। এখানে রয়েছে শত বছরের পুরাতন বৌদ্ধ মন্দির রামকুট এবং এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি। মায়ানমারের কারিগর দ্বারা মূর্তিটি নির্মান করা হয়। মূতিটির দৈর্ঘ্য ১০০ ফিট এবং উচ্চতা ৬০ ফিট। রামুর শ্রীকুলস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে ছেংখাইব ক্যাং (বৌদ্ধ বিহার টি) অবস্থিত। এ বেীদ্ধ বিহারে নানা রকম নক্সা খচিত আসন ও কাঁচের পাত্রে সংরক্ষিত ১০টিরও রেশি পিতল এবং আরো অনেক শ্বেত পাথরের মূর্তি শোভা পাচ্ছে। সব মিলে রামু থানায় ২৩টি বৌদ্ধ বিহারে শতাধিক বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। রাম উপজেলার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নে উখিয়ার ঘোনায় একটি রহস্যময় গর্ত রয়েছে। যার শেষ কোথায় কেউ জানে না। তাই একে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছে অনেক কিংবদন্তিী। স্থানীয় জনগণ একে ‘আধাঁর মানিক’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। রামুতে প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের মধ্যে রামু রাবার বাগান ভিন্ন আমেজের অপরূপ দর্শনীয় স্থান। ২৮,৮৮৬ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থার পরিকল্পনায় স্থাপিত কক্সবাজার জেলা তথা বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ রাবার বাগান। ঘুরে আসুন প্রকৃতির সাথে মিতালি করে। এছাড়া ঘুরে আসতে পারেন আইসোলেটেড নারিকেল বাগানে, রাুম চেূমুহনী হতে দক্ষিণে ৫ কি: মি: দূরে রাজারকুলের পাহাড়ে মনোরম পরিবেশে ২৫০ একর জায়গায় এটি অবস্থিত। বাগানে নারিকেল গাছের সংখ্যা প্রায় ৯,১১২টি।

নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ

এটি একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমাহার। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ। এর উপর দিয়ে লেকের এপাড় ওপাড় যাওয়া যায়। কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি গাড়ি যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায় এবং দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়। কক্সবাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূরত্ব ২৮ কি:মি:। প্রাকৃতিক এ বৈচিত্র দর্শনে জুড়িয়ে যাবে আপনার চোখ। ঝুলন্ত ব্রীজের উপর চড়ে মনে হবে, আপনি পানির উপর ভাসছেন।
দ্বীপ থানা কুতুবদিয়া
কুত্বু আউলিয়া নামে কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ থানা কুতুবদিয়া। এ দ্বীপটি পরিচিত প্রাচীন একটি বাতিঘরের জন্য। সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য ১৮২৮ সালে নির্মিত হয়েচিল এ বাতিঘরটি। টিপ টিপ জ্বলা আলো দিয়ে সমুদ্রের জাহাজগুলোকে পথ না দেখালেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এ ছাড়া এ দ্বীপের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান হলো কুতুব আউলিয়ার মাজার, শাহ আব্দুল মালেক মহিউদ্দিনের (রা:) দরগা শরিফ, দ্বীপের তিন দিকে বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত। আমাদের দেশের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে এখানকার সৈকতের একটা বড় ধরণের পার্থক্য খঁজে পাওয়া যায়।

প্যাকেজ সমূহ ঃ
কক্সবাজার - সেন্ট মার্টিন - কক্সবাজার ঃ ১ দিন।
কক্সবাজার - সেন্ট মার্টিন - কক্সবাজার ঃ ২ দিন ১ রাত।
ঢাকা - কক্সবাজার - সেন্ট মার্টিন - ঢাকা ঃ ২ দিন ৩ রাত। (রাত্রি যাপন কক্সবাজার)
ঢাকা - সেন্ট মার্টিন - ঢাকা ঃ ২ দিন ৩ রাত। (রাত্রি যাপন সেন্ট মার্টিন)
বিশেষ প্যাকেজ
কক্সবাজার - মায়ানমার - কক্সবাজার (৩ দিন ২ রাত)
কক্সবাজারের প্যাকেজ
কক্সবাজার শহর
হিমছড়ি - ইনানী
সী - ভিউ পার্ক দরিয়া নগর
সাফারী পার্ক - রামু রামকোর্ট
রামু বৌদ্ধ বিহার
নাইক্ষ্যংছড়ি
সোনাদিয়া- মহেশখালী
কুতুবদিয়া
সেবা সমুহ
অভিজ্ঞ গাইড সার্ভিস
সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ টিকেট
রুম বুকিং (কক্সবাজার - সেন্ট মার্টিন)
কর্পোরেট ট্যুর
রেন্ট-একার
বিমান টিকেট
এসি বাস টিকেট
সেমিনার পার্টি
এছাড়াও রয়েছে
বান্দরবান, রাঙ্গামাটিসহ ভ্রমনের বিশেষ ব্যবস্থা।
সফ্ট মিডিয়া ট্যুরস
কক্সবাজার অফিস ঃ নীচ তলা, কে এফ সি রেষ্টুরেন্ট,
ব্লক # এ, প্লট # ৮, হোটেল মোটেল জোন, কলাতলী রোড, কক্সবাজার।
মোবাইল : ০১৮১৩-০৮০৫৪১, ০১৭২৪-৪৩৭৭১৭, ০১৮২৯-৩৬৬৪৫৪, ০১৯৩২-৮৮৬৯৩৫,
০১৮১৫-৩৩৪৩৪২, ০১৮১৯-৫৪৫৩৫১
ই-মেইল ঃ [email protected], [email protected]
ফেসবুক ঃ http://www.facebook.com/softmediatours

৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×