শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে শুভ খানের একটা পোষ্ট দেখলাম। পোষ্টটি পড়ে ভাবলাম এ বিষয়ে আরো কিছু বিষয় ব্লগারদের সাথে শেয়ার করা প্রয়োজন। কারন আমাদের প্রত্যেক পরিবারেই শিশু আছে এবং শিশু জন্ম নিবে। মায়ের দুধ খাওয়ানো বিষয়ে এই ম্যাসেজগুলো মনে রাখলে উপকৃত হবেন আশাকরি...........
১। প্রসবের পরপরই নবজাতককে মায়ের কাছে রাখতে হবে এবং নরম ও শুকনো পরিম্কার কাপড় দিয়ে মোছানো ও মোড়ানোর পরপরই মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করাতে হবে। কোনক্রমেই এক ঘন্টার বেশী দেরী হতে পারবে না।
২। মায়ের দুধ নবজাতক ও ছোট শিশুকে বিপদজনক অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। মায়ের দুধ খেলে মা ও শিশুর মধ্যে বিশেষ বন্ধন তৈরী হয়।
৩। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস খাদ্য এবং পানীয় হিসেবে কেবল মায়ের দুধই সবচে ভাল খাবার। এ সময় শিশুর অন্যকোন খাবার বা পানীয় যেমন মধু, চিনির শরবত,সরিষার তেল দিয়ে শিশুর মুখের ভেতরটা মোছানো ইত্যাদি উচিত নয়। এমনকি এই সময়ে নবজাতককে পানি দেবারও প্রয়োজন নেই।
৪। ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের বুকে বেশী দুধ তৈরী হয়। শিশুকে দিনেও রাতে এবং চাওয়া মাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। দৈনিক কমপক্ষে ৮ বার।
৫। শিশুকে বোতলে খাবার খাওয়ালে এবং মায়ের দুধের বিকল্প, যেমন পশুর দুধ বা প্রক্রিয়াজাত দুধ খাওয়ালে তার অসুখ বিসুখের ঝুকি বেশী। কোন মায়ের পক্ষে সন্তানকে নিজের দুধ খাওয়ানো একবারে সম্ভব না হলে তখন চেপে বের করা মায়ের দুধ অথবা মায়ের দুধের বিকল্প কোন খাবার পরিস্কার বাটিতে বা কাপে করে তাকে খাওয়াতে হবে।
৬। কোনো মা বাড়ির বাইরে কাজ করলে যতক্ষন তিনি শিশুর সাথে থাকবেন ততক্ষন শিশুকে যত ঘনঘন সম্ভব বুকের দুধ খাওয়াবেন। আর মা যদি সন্তানের কাছ থেকে দূরে চলে যান তাহলে তিনি বুকের দুধ একটি পরিস্কার পাত্রে চেপে রেখে যাবেন। যাতে অন্যরা তা সন্তানকে নিরাপদে খাওয়াতে পারে।
৭। ছয় মাস বয়সের পর শিশুর নানা ধরনের বাড়তি খাবার প্রয়োজন। তবে দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে। কারন মায়ের দুধ শিশুর শরীরে পুষ্টি,শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরীর জন্য গুরত্বপূর্ন।
৮। শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ দিলে মায়ের পুনরায় খুব তাড়াতাড়ি গর্ভধারনের সম্ভাবনা খুব কম থাকে। কারন শিশু জন্মের পর নিয়মিত বুকের দুধ পান করলে মায়ের মাসিক দেরীতে শুরু হয়। তবে অনেক সময় মাসিক শুরু না হলেও মা গর্ভধারন করতে পারে। সুতরাং এটার উপর মায়েদের নির্ভর করা ঠিক হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৪২