সমাজে টাকার হিসেবে মানুষ এবং পরিবারের ভাগ দেখা যায়......
নিম্নবিত্ত
নিম্নমধ্যবিত্ত
মধ্যবিত্ত
উচ্চবিত্ত
আমি এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।এই শ্রেণীর মানুষের একটা মুখোশ থাকে।আর এই মুখোশ কে নামকরণে না বলা যায় ধনী না গরিব!সব সময় দেখাতে হয় আমাদের আছে ভুরি ভুরি। আর এটাই মধ্যবিত্ত জীবন।
কিন্তু বাস্তব জীবনের ছোট, বড় সুখ দুঃখের প্রকৃত ভাগিদার এই এরাই!
আমার মনে পড়ে স্কুল জীবনে আমি সর্বদা হেটেই বাসায় আসতাম। আর আমার তথাকথিত বান্ধুবী আমায় সুধাত "এত হাটো কেমনে?" ২ মিনিটের রাস্তায় ও তাহার রিকশা সহায়!
একবার আমাকে এক প্রশ্ন করা হয়েছে ..What's the name of your favourite restaurant? উত্তরে আমি বলেছিলাম আমার মায়ের রান্না । সারাজীবন এ কেএফসি নামক খাদ্য খানায় একবারই পদচিহ্ন ফেলেছিলাম আর পরিবার মিলে কোথাও খাওয়া হয়না, ইচ্ছেও হয়না। হ্যা ভাই তুই ই ঠিক! আমি আসলেই ঢং করি।কারন আমি সত্য বলি।
আমার কলেজের অত্যন্ত সুন্দরী ছাত্রী আমার ভাঙ্গা ফোনকে আঙুল দেখিয়ে বলতো "এই ফোন এ এফবি চালায় মজা পাও কোনো?" দায়সারা উত্তর দেয়া ছাড়া আর উপায় আছে?
আসল কথা সেখানে না আসল কথা ঐ মধ্যবিত্তে।আমি এমন একজন পিতার মেয়ে যে মাঠে গরু ও চড়িয়েছে, ধান ও কেটেছে, স্নাতকোত্তর পদবিও অর্জন করেছে। তাতে কি তার সম্মান কমে গিয়েছে?
বিশিষ্ট জ্ঞানী ও গুণী দের ধারনা আমি একজন হতাশাবাদী মানুষ!অথচ আমার আদর্শ হলেন আমার মা আর বাবা।আদর্শ খুঁজতে বাহিরে যেতে হয়না আমার।
যত বড় হয়েছি বায়না বেড়েছে, বেড়েছে আবদার।একদিন বাবাকে বলেছিলাম "একটা টেবিল কিনে দাও, তোমার এই মান্ধাতা আমলের টেবিল ভাল্লাগেনা। " বাবা সেদিন বলেছিলো "টেবিল টা পুরনো আমি চাইলে কি তোকে নতুন একটা দিতে পারতাম না?" তবে এই টেবিল এ পড়ে আমি বড় হয়েছি এতদূর এসেছি,আমি চাই তুই ও তাই করবি"।এর থেকে বড় আশির্বাদ বাক্য আর প্রয়োজন পরেনা।
এ সংসারে একটা ফুরোতেই আরেকটা লাগে,এখানে যেমন সুখ ও থাকে তেমনি দুঃখ ও । ধনীরা সুখের কোলেও বসে থেকে বোঝেনা সুখ কি আর গরীবেরা দুঃখকে পূজনীয় করে জীবন ব্যাপিত করে।আর মধ্যবিত্তের সংসারে সুখ,দুঃখ,আবেগ,কান্না, হাসি একসাথে মিলে মিশে এককার হয়ে থাকে।
বাবা যে কথাটা সব সময় বলে "শোন মা মনে রাখিস জীবনে কষ্টে অর্জিত সব কিছুই তো র জীবনের শেষ অবধি পর্যন্ত তোকে পরিপূর্ণ করে যাবে।"
কষ্টে কেনা সুখ গুলো কেউ কেরে নিতে পারেনা, সুখ চিরস্থায়ী হয়ে থেকে যায়।