ক্ষ্যাপা বাউলের কথা আর কে শোনে !
সেই যে তিনি বলেছেন- পরের জায়গা, পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই...
আমি তো সে ঘরের মালিক নই ।
তারপরও ঢাকা সেনানিবাসের একটি বাড়ি নিয়ে দেশে কি হুলস্থুল কান্ড। হরতাল, অবরোধ, সংঘাত, সংঘর্ষ, নৈরাজ্য, অস্থিতিশীলতা, হানাহনি , অপরাজনীতি, আরো কত কি ঘটছে।
এতসবের পরও বোধহয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার অত সাধের বাড়িটি আর ফেরত পাচ্ছেন না। ক্ষীন আশাটুকুও নিভে গেছে সোমবার আদালতের রায়ে।
ঢাকা সেনানিবাসের বাড়ির দখল নিয়ে আইনি লড়াইয়ে চুড়ান্তভাবেই হেরে গেছেন খালেদা। বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিলের বিরুদ্ধে আবেদন সোমবার খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
শুনানীতে ঘটেছে রহস্যজনক ঘটনা। আদালতের বারবার তাগাদা স্বত্বেও খালেদার কৌসুলী টি এইচ খান আদালতে ৯০ মিনিট সময় নিয়ে লিভ টু আপিলের উপর শুনানী করেননি।
১৬৫ কাঠা জমির উপর আলীশান এই বাড়িটি ছাড়া নিয়ে কত কান্ড !
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর পরিচালক বলেছেন, সেনা সদস্যদের জাতীয় দুশমন আখ্যায়িত করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ি ছাড়েন খালেদা।
অন্যদিকে ১৩ নভেম্বর কাঁদতে কাঁদতে (আহা ! বাংলার দু:খী জনগণের জন্য যদি কোনদিন একফোঁটা চোখের পানি ফেলতেন !) বাড়ি ছেড়ে গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা বলেন, তাকে নাকি এক কাপড়ে বের করে দেয়া হয়েছে। এতে তিনি অপমানিত, লজ্জিত !
সেই বাড়িটি পরদিন সাংবাদিকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। চোখ ধাঁধানো, রাজকীয় সাজসজ্জা।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টও এমন বাড়িতে থাকেন কিনা সন্দেহ।
সেই বাড়ি ছাড়তে কার মন চায়।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নেয়। এবার বোধহয় গুলশানের বাড়িও ছাড়তে হবে খালেদাকে। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, সেনানিবাসের বাড়ি হারিয়ে খালেদা বলেছেন তিনি বাস্তহারা। তাহলে গুলশানের বাড়িটিও হারালে তিনি কি বলবেন ?
সর্বহারা !!!