আমরা বাঙ্গালী, আমরা মনেপ্রাণে মৌলবাদকে ঘৃর্ণা করি। আমরা মনেকরি মৌলবাদিদের কোন ধর্ম নেই তারা কেবল ধর্মকে পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিশ্বাস করি। মুসলমান যারা তারাতো গো মাংস ভক্ষণ করতেই পারেন। ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে মাত্র ৪৫ কিঃমিঃ দূরে উত্তর প্রদেশের দাদরি গ্রামে গত ২৮ সেপ্টেমবর যে ঘটনা ঘটে তা হৃদয় বিদারক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে জানানো হয় গোমাংস কেনার অভিযোগে ৫০ বছরের মুসলমান মোহাম্মদ আখলাক কে উগ্র হিন্দুরা হত্যা করে। তার ২২ বছরের ছেলে দানিশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আখলাক কে হত্যার সময় তার ১৮ বছরের মেয়ে সাজিদা কে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। ভারতকে মনে করা হয় পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সংখ্যা লঘু আর সংখ্যা গরিষ্ট্যের মধ্যে ভেদা ভেদ থাকা মোটেই কাম্য নয়। হালাল খাদ্য খেতে জীবন দিতে হয়, কোথায় আজ মানবতা ? মন্দিরের পুরহিত মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে হিন্দু মৌলবাদিদের জড়ো করে প্রকাশ্যে আখলাক কে ঘর থেকে বের করে হত্যা করেন। পুলিশ পুরহিতকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেন। আখলাককে হত্যার দায়ে এ পর্যন্ত পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন। বিজিবির সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব সিং নগর বলেছেন যারা আখলাককে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন তারা হলেন "নিষ্পাপ শিশু"। তিনি আরও বলেন আখলাক হত্যা হচ্ছে "বাচ্চাদের উত্তেজনার ফল"। সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র রাজনৈতিক ব্যক্তির সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দেয়া মন্তব্য।
আবারো সেই উত্তর প্রদেশের আজমনগরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিফ বিতর্ক। সেখানে বোরখা পরিহিত অবস্থায় মন্দিরে গোমাংস ছোড়ান সময় হাতে নাতে ধরা পড়েন হিন্দু মৌলবাদি আরএসএস কর্মী। উদ্দেশ্য একটাই সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দিয়ে সংখ্যা লঘু মুসলমানদের নির্যাতন করা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তা স্পষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১