somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনের মত এক কাপ চা

১৭ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক কাপ চা-ই তো চেয়েছিলাম
কারন জুটিয়ে ফেলেছি টিউশনি।
ঘনো ঘনো চা-য়ের স্বভাবটা
বাড়াতে হবে জানি।
চানাচুর-পুড়ির রুচি নেই
তবু আন্টি খাটির কোরে দিয়ে গেলো।
" শুভা! এগুলো নিয়ে যাও
বরং আরেক কাপ চাঁ দাও
তবে......আরেকটু কম চিনি।"

পুরুষালি দাড়ি-টা রাখতে পারলে
আরেকটু স্যার স্যার দেখাতো.....
হোম-ওয়ার্ক গুলো-ও ঘড়ি দেখে
সাবমিট হতো।
" শুভা! তুমি ছট-ফট করো বেশি,
আমি বলছি ধীরে সুস্থে অংক করো!
আচ্ছা,
তোমার নিতু দিদি কই? শুনলাম সেও নাকি বি.বি.এ করছে
আমারি মতই?
আ...চ্ছা, তাকে ডাঁকো দেখি।"

( কেনো সার?)

" হমমম..... মানে যেহেতু আমরা একই লাইন, ট্র্যাক গতি
সাথে বি.বি.এ অভিযানে। তার চেয়েও মজা কথা,
তুমি যতক্ষণে রবার্ট ফ্রস্ট-এর কবিতা টা পুরো-গুদাম
ঘিলু-কোশ-য়ে কপি-পেস্ট করে নিবে....ততক্খণে নিতু-র সাথে
ক্যারিয়ার-টক্-আলাপন শেরে নেয়া যুতসই হতো বটে।
তবে তারই সাথে তোমার দিদির দারুন ভারি চা
পাওয়া যেতো যদি।"

এক কাপ চা-ই তো চেয়েছিলাম।
নিতু ঘড়ে আছে জানি।
নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়ে এবার...চোথুর্তবার চা বানাচ্ছে,
না জানি কত টুক দিবে চিনি!

কিন্তু এর আগে তিন বারই চা ,
পিরিচ মুখ ......হাত চেপে কাপ.... ঢেকে
ছোট-আধ-চামচ
নিশপ্রাণ-হায়-বুক-কতো-কেনো-দীর্ঘ-শ্বাসে,
কাপ ও-টা আন্টি নিয়ে এলো।
তবে আশায় আছি.....আছি-রে
হয়তো এবার নিতু নিজিই নিজে-কে নিয়ে শামনে এসে দারাবে,
আজকাল মনের মতো বৃষ্টি হচ্ছে জগতে
তবু হঠাৎ স্যার হোয়ে যাওয়া
যুবক টা কি অতৃপ্ত থাকবে?

বরং শুভাই রয়েছে শান্ত,
গোটা গোটা অক্ষরে কবিতাটির শারমর্ম লিখছে এবারের পর্বে
আর শান্ত হয়ে আদুল্লখতায় বার্বি-ঘ্রান-খিদে-টিফিন কাল-সময়ে
উকিঁ ঝুকিতে আমার ছট-ফট কর্ম-টা-ও দেখছে সাথে
সাথে।

নিতুর হাত থেকে এবার, হাজার-এক সত্যি পরে,
সত্যি যবে
চা-য়ের কাপটা নিবো.......ও মা
ফোশ্‌কে পরে গেলো!!!
তাবৎ স্যার, নাকি সে
আমি-ই শুধু এরোকম এলোমেলো?

বৃস্টির কারনে জগত স্যাঁতস্যাঁতে,
নিভু-নিভু-ভোঁতা-নিরোশ
বশ-হতে-ভার-গাল-চর্বি-ঘুম-ঘুমে-হা-মুখ-মুখে-প্রায়
আল্বসে-কি-রম-রেশ-জরো-যত-হতে-কর্মবিমুখে....
ভেবেছিলাম শেজে গুজে আসবে নিতু
মাসকারা-লাইন-রেখা
মৃদু-ঘনো-কাশ-ঝপ-ঝার
চোখ কোনে টার দিঘি-পাশ-প্রশারিত
টুক দুটো আনমনে খুব-করে-ছুঁয়ে।
আর ওমন বেপরোয়া, ভাজহীন,
কুসুম কপালে নাভি-গোল
টিপ-মু্ই ঠিক খুব বেছে
বেছে সাবধানে পরে
আসবে নিতু-সুস্থ শুধু শাবলিল ভীরু ক্রমে
এক দুই টিন পা-গুতে নরম লাজুক আলত্বো ভারে
তালু পাতা মাটি
মারবেল তরে যার পরে।
হট-সাওয়ার-নল নিচে ভিজে সে বেপরয়া তরিঘরি তয়ালেতে মুছে
ভেবেছিনুম আসবে নিতু আহা মনের মত
এক কাপ চা পেয়ালা হাতে।
শুভা জানিবে এ কথা আর কবে এ-জনমে
তক্ষনই
আর কাপ টা ফোসকে পরে গেলো। আহ্হারে।

বরং। কেবলই বরং
বিদঘুটে কৃষ্ণ-পোরা এক যুবতি
শিরিশ কাগজ ঘোসে ত্বক
ভিটামিন, হরলিক্স,হলুড-বেশন..লাক্স অভাবি
সেই যুবতি চায়ের পেয়ালা নিয়ে সামনে দারায়,
কনো ক্রমের শ্বালিনতা মলায়েম নারি ভাজ আদুরের
নেই তার বাটিক সুতি সালোয়ার ভুসনে। এবং
আরও শুভা ওকে নিতু আপু বলে ডাকতেই...
হ্যা কি ওটা সত্যি
এযুগ থেকে নয় শুধু
সেই কবেকার। আর
হাত থেকে কাপ টাও নির্বদ
ফোসকে জেতে পারলো।
তুই ব্যাটা মোকলেস
এত বড় কথাকার।
এ জগতে তাবৎ স্যার
নিশচয়ই
আমার মত এত-টা কোদু কদাকার ইডিয়েট হয়-নি
না কক্খনও হবে।

এক কাপ চা-ই তো চেয়েছিলাম।
আমরা যারা বিকেলের ধুমপান ছেরে
টিউশনি করাতাম তারা সকলেই প্রথমে ভিশন রকম
চা-য়ের ভক্ত ছিলাম।

তবে আমি এখনও আছি
আছে বৃস্টির ঋতু
যদিও কল্পনা থেকে পুরো ভিন্ন
ভিন্ন পুরো নিতু।
আমি এখনো পুরুষালি দাড়ির অপেক্ষায় বসে আছি;
প্রথমবার নিতু কে দেখছি।
শুভা পড়ছে আমি এখোনো অমনোজগে পড়াচ্ছি।
নিশপ্রাণ হায় বুক কত কেনো দীর্ঘ-শ্বাসে.......

যতবার চা য়ে ঠোঁট, ঠোটে চুমুক নিতে আসি
এ-কি-রে
তুই কত বড় মিথ্যুক
নিতুর বয়েশটা যে ততই কমে আসে?
গা-য়ের রং-টাও-তো দেখো ঠিক স্বাবধান হতে
বেড়াল ছানা লক্ষী দুটি বেড়ালিনি মণি
ফুটি ফুটি বলে এই
ফুটি......ফুটছে একটু ক্রমে ক্রমে।
মাসকারা সুরমা নেই। নেই তার।
দলছুট আজ কি শুধু
তুমি সে কবে
কার।
চায়ে ঠোট, ঠোঁটে চা পুরি
" শুভা!
টাইম্জ-আপ পেন-ড্রপ ডাও ওটা দেখি কটা ভুল ধরি।"
ফুস-ফুস-নিবু-নিবু-নিশ্প্রাণ
হায়-বুক কি করি।
ফক্কা ময়দান...আমি কবে আর.....আর জানি?
নিতু বড় এত স্বাবধানি?
এই দেখ
মাকুন্দা সার ব্যাটা হাফ-টাইম-পর ।পরে
এই যাহ্ বল পিটে নেট-এ গোল
দ্যেখ তবে হলো হলো কি রে?

বোঁচা নাকে ফুল-কাঁচ নেই ছোট, স্রেফ-সুই ফুটো।
যদিও মুখোমুখী নিতু.....মনের মত হয় নি
এই ছি
ছি বোকা শুভা কি ভাববে ওটা
আমি অবলিলায় শুধু নিতু কেই দেখছি।
আমিও বোঁচা।
কি?

চায়ে ঠোট ,ঠোটে-তে চা পুরি...হে মোর শুভা-শুভা মনি
জানিবে কি সে তা..এ-জনমে তক্ষনি ... স্যার ব্যাটা
তোর দিদির টেংরি গাম-বুট ল্যাং খেয়ে
পলটি খেয়ে চিৎ গেছে....সে ফক্কা ময়ডানে,
..হে মোর শুভা......শুভা মনি
জানিবে কবে..এ-জনমে আর নয় তক্ষনই ... স্যার ব্যাটা
দুই মোটে নয়...তয় সপ্তাহে চার দিন রাখিবে
এ বাড়িতেই স্রেফ টিউশনি।

হে মোর শুভা.....শুভা মনি।
কোন জঙ্গলের ঘনো কাজল-দিঘি পারে সেরম
দুটি হরিণি.......যায় চলে যায় তার
চলে।
ঘড়ে ফেরার উচিৎ-প্রবণ-মনোবল কোন মনে তবে
হঠাৎ ওরা পথ বেঁকে....ছিলো থেমে।
সেই ওপার থেকেই তীকনো চিকন......সে কোন চাহুনিতে
ইন্টারনেট-বিনে-
বঙ্গে-মিশে-গঙ্গা-বুড়ির-ফকলা-মাড়ি-পাটি-মধ্যযুগের-
পুরান-এক-কাব্য কোহে ছিলো নিশ্চুপে।
আর তাবৎ সার-মানুষ গুলো সকলেই কি এভাবে সবাই
টিউশনি বাতিল দিতে.....
ওই জঙ্গলের কাজল-দিঘি-পারে-বসে,
এ-যুগের ধর্ম কর্ম গৌতম-টাঁক-টাঁকে-ঠুসে....
নশ্বর জীবনের-দলিল-গ্যান-বর্নলিপি-হলিউড-গেইমবয়-
সোনালী-বেন্দরে-কমিক-পর্ন-নেট-হটমেইল-চ্যাট-শুভা
সব কিছু ত্যাগ করে
আনমনে
কোন ধ্যানে থাকে।
সত্যি কি থাকে?

এ আর এমন কি? টিউশনি জুটিয়ে
এক কাপ চাই তো চেয়েছিলাম আমরা সকলেই।
তবু কে যেনো গৌতম-দোষে-টেঁকো-সেই-মাথায় কড়া নারছে
বলে উঠে....
সপ্তাহে দুইদিন শুভাদের বাড়ী টিউশনি,
তো গোটা সপ্তায় মোটে দুইদিন
এই বিদঘুটে নিতুর দ্যেখা পাচ্ছি।
এক কাপ চাই তো চেয়েছিলাম।
জগতে আমি
বা নিতু
নিশ্চয়ই দুজনেই
মনের মত হঠাৎ
বৃস্টি হয়ার কারনেই
হয়তো এরকম এতটা
অপ্রস্তুত
ছিলাম।





০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×