বিছানার সাথের জানালাটি খোলা। বাইরে প্রবল বাতাস। ধূলি উড়ছে অথচ বুঝা দায়। পাটি বিছানো চকিতে গা এলিয়ে দিলাম। বুঝলাম সারা বিছানা বালুতে গিজ্ গিজ্ করছে।যে দিকে কাত হই সারা গা শির শির করে। আর সহ্য করতে পারলাম না। অন্ধকারে হাতড়িয়ে বিছানাটা আচ্ছা করে ঝাড়লাম। আবার শুয়ে পড়লাম। পিঠ ততক্ষণে শুকিয়েছে। লেগে থাকা বালুগুলো আবার শিহরণ তুলছে। তাছাড়া পাটির ফাঁকে ফাঁকে যে বালুগুলো রয়ে গেছে, সেগুলো আস্তে আস্তে অনুভূতি দিচ্ছে। আমার দু' চোখে তন্দ্রা, সারা শরীর আলস্য ভরা। তাই জ্বালা পেয়েও বিছানা ছেড়ে উঠছি না। শুয়ে থেকেই শরীরে হাত বুলাই, বালুগুলো বিছানায় পড়ে, শরীরটা একটু আরাম বোধ হয়; তন্দ্রা ঘনীভূত হয়। একটা গড়ান দিতেই আবার বালু ঠেকে। আবার পিঠ ঝাড়ি, আবারো বিছানাতেই পড়ে। তন্দ্রা ও অলসতার সুযোগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালু কণাও টিকে থাকে জ্বালা দেয়।
বাংলাদেশের শত্রুরাও এমনি ভাবে টিকে আছে।
জনগণ তন্দ্রা ভাঙো, ঐক্য গড়ো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৫