অনেক রাত মাতাল হয়ে
সুস্থ মানুষের মতো অভিনয় করেছি
তোমার সাথে,
আবার অনেকগুলো সুস্থ হয়েও
নেশাতুর মাতালতায়।
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
আয়াত: 16
সময়ের আবর্তে
ছোট হয়ে গেছে ছেদন দাঁত।
অনেকটা সময় তো কাটিয়ে দিলাম
নিরামিষ সব্জিতে।
আজ হয়ে যেতে পারে
খানিকটা রসনা পূজা অনায়াসে।
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
আয়াত: 17
ধারালো তীব্রতায় কেটে নেই
শকুনের তীব্র নোখ,
কেটে রাখি প্রতিদিনের সভ্যতার ইচ্ছায়।
আবার ছিঁড়ে ফেলি হিস্রতায়
লাল ঘুড়িটা নীল নখের বীষে।
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
আয়াত: 18
পঙ্খিরাজে চড়ে ছুটে গেছি
ঠিক যেমন স্বপ্নে দেখো তুমি।
আর দৈত্যের প্রাণভ্রমর হয়ে
ডুবে থেকেছি সমুদ্রতলে।
এক নিঃশ্বাসের ডুবে
নিষ্ঠুরতায়, ঘৃণায় হত্যা করেছি ভ্রমর আবার।
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
আয়াত: 19
আমি গীস্ম হয়ে জ্বলেছি হিংসায়,
বর্ষা হয়ে কেঁদেছি অঝরে,
শরতের মেঘে মেঘে ভেসে গেছি স্বপ্নে তোমার,
হেমন্তের নতুন ধানে মেতেছি তোমার সাথে উৎসবে,
শীতের ঝরে পড়া পাতা হয়ে
ঝরেছি তোমার পায়,
মিনতি-করুণায়।
বসন্তের ভ্রমর হয়েও
শুধু গোলাপের সাথে বেঁচে ছিলাম অতঃপর।
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
আয়াত: 113
............................
.........................................
তবে বলো,
তুমি আমাকে আর
কোন কোন রূপে দেখতে চাও?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০০৭ রাত ১২:৫০