এটা আমার জমিন। জমিনের মালিকানা নিয়ে অনেক কাল মামলা ছিল জমি দখল নেয়া মানুষ রুপি জানোয়ারদের সাথে। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত এই মামলা গড়িয়েছে। অবশেষে,আমার পক্ষে রায় হওয়ায় এই জমিন এখন আমারই। মামলায় পরাজিতরা , যারা যুগের পর যুগ এটা নিজেদের ভেবেছে , তাদের আর কোন থাকার জায়গা না থাকায়- কান্নাকাটির জন্য মানবিক কারনে এখানে বসবাসের অনুমতি দিয়েছি। থাকতে দেয়া মানে জমিনের অধিকার দেয়া নয়। মাঝে মাঝে এরা এটা ভুলে গিয়ে জমিনের মালিক হবার পুন:স্বপ্ন এখনো দেখে। এখন কি এদের জমিনের মালিকানা ছেড়ে দেব ? প্রশ্নই ওঠে না। আমি এতটা উদার নিজেকে ভাবি না এখনো।
যারা এদের প্রতি সদয় হতে বলেন - আমি নিশ্চিত তাদেরও কোন নিজস্ব কোন জমিন নেই বা ছিলও না । তারাও ওই ওদেরই মত ।
মুদ্রা
দেশে অনেক খ্যাতনামা প্রবন্ধকার, নিবন্ধকার ও সমালোচক আছেন। খুব নামি এরা। একনামে চিনবেন সবাই যারা একটু সমাজিক বা লেখালেখি করেন । বঙ্গবন্ধু কি কি ভুল করেছেন, রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার, সিরাজ সিকদার হত্যা, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ইত্যাদি বিষয়ে এরা খুব সুনিপুণ ভাবে লিখে থাকেন। শব্দ চয়ন , লেখার গঠন ও সূত্র অসম্ভব রকমের মজবুত। কিন্তু ওনারা এটা বলেন না - ৭৫ পরবর্তী কতজন মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার বিভিন্ন অভ্যুথানে খুন হয়েছেন । কর্নেল তাহেরের ফাঁসি, তারেক রহমানের দুর্নীতি , ছাত্রদলের সন্ত্রাস এ বিষয়গুলো তাদের লেখায় খুজে পাইনা।
আর একদল আছেন , যাদের লেখায় থাকে , শহীদ জিয়ার ভাংগা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জির কাহিনি, তারেক জিয়া, মামুন এর বিভিন্ন দুর্নিতির ঘটনা , বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্রদলের সন্ত্রাস ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু এদের লেখায় থাকে না : শেখ হাসিনার আর একটি নতুন বিমানবন্দর , তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান , ট্রানজিট , সীমান্ত হত্যা , ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও চাঁদাবজি এবং যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিকী বিচারের ওয়াদা ।
আমার কারো লেখাই পড়তে ইচ্ছে করেনা।
জ্ঞান
বুর্জয়া , পেটি বুর্জয়া , মুৎসুদ্দি , শ্রেণীশত্রু , বিপ্লব ও প্রগতিশীল এইসব শব্দ আমার ভালো লাগে না। আমি নিতান্তই একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের চিন্তা চেতনায় বন্দি। সব ধরনের সম্ভাবনা থাকা সত্বেও এই শব্দগুলোর ধারকদের গন সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমানতা লক্ষ্য করা যায় না। আমরা যারা অতি সাধারন, আমাদের জ্ঞানহীনতার এর একটা কারন হতে পারে। জ্ঞান নামক অপার্থিব বস্তুটি যে শুধু তাদেরই আয়ত্তে ।
সাধারণের সাথে সাধারন হয়েই থাকতে চাই।
পাগল নামা
ছোট বেলায় শোনা কাহিনি এটা ।
মদন নামে এক পাগল ছিল । সে এলাকায় পাগলা মদন নামে পরিচিত ছিল। এলাকায় আসার পরে সে কোনদিন গোছল করেছে, এমনটা কেউ দেখেনি। গায়ের দুর্গন্ধে কেউ কাছে টিকতে পারতো না। স্বভাবতই তাকে সবাই এড়িয়ে যেত। নিদেন পক্ষে এড়াতে না পারলে, নাকে রুমাল বা হাত চেপে সবাই দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেত। সবার নাক চাপা দেখে পাগল মিটিমিটি করে হেসে বিড়বিড় করে বলতো "পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে তোদের এমন কষ্ট পেতে হত না। "
আসলে পাগলা মদন নিজের গায়ের দুর্গন্ধে ছোট বেলা থেকেই অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিল। নিজের দুর্গন্ধ সে পেতনা । সে ভাবতো সবার গায়ে দুর্গন্ধ তাই নাক চাপছে ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬