ছোটবেলায় আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করত,
“এইযে বাবু তুমি বড় হয়ে কি হবা?”
আমি সাথে সাথে উত্তর দিতাম “বিস্কুটের দোকানদার।”
অবাক হয়ে কেউ কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতাম,
“তাহলে বেশি বেশি বিস্কুট খেতে পারব।”
সে সময় পার করে এসেছি। এখন আর বিস্কুটের
দোকান্দার হতে চাই না।
আজকের দিনে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই সে বলবে,
সে হতে চায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লয়ার ইত্যাদি।
কিন্তু কেউ ভুলেও একবারো বলে না যে সে হতে চায়
একজন শিক্ষক। এর অবশ্য যুক্তি সংগত কারণও আছে। আর
সেই কারণটি হল অর্থ এবং সম্মান। অন্যান্য দেশ
গুলিতে একজন শিক্ষকের যে সম্মান, আমাদের
দেশে তা নেই। আমার জানা মতে আমাদের দেশের একজন
হাইস্কুলের শিক্ষকের সর্বোচচ বেতন ১৫০০০-২০০০০৳।
একটা মধ্যবিত্ত মানুষ হিসেবে জীবন কাটাতে হলেও এ
টাকায় এ যুগে কিছুই করা সম্ভব নয়। অথচ তারাই নিজ
হাতে গড়ে তুলছে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের মত সম্মানের
পাত্রগুলিকে। আর তাদের সম্মানের দিকে কেউ ভুলেও
তাকায় না। মাত্র কয়েক হাজার টাকার বেতন বাড়ানর
দাবি করলেও তাদের দিতে হয় জীবন।
তাহলে আপনিই বলেন, কেউ
কি জেনে বুঝে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাইবে??
অন্যের কথা বাদই দিলাম, আমি অন্তত এই পেশা চাই না।
অনেকে হয়তো আমাকে অনেক জ্ঞানগর্ব
বাণী শোনাবেন, তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। কারণ
বাস্তব জীবণ অনেক কঠিন।
একজন শিক্ষককে যদি একজন কর্নেলের মত সম্মান
দেয়া হত, যদি তাকে এমন বেতন দেয়া হত যে, তিনিও
সমাজে একজন ডাক্তারের মত জীবনযাপন করতে পারবেন,
তাহলে অনেকেই তার “এইম ইন লাইফ” রচনায় ডাক্তার
পেশাটা বেছে না নিয়ে শিক্ষকতাকেই বেছে নিত।
যদি আমাদের দেশের সরকার শিক্ষকদের অন্তত একজন
ফার্স্টক্লাস অফিসারের সম্মান দেন, বেতন বৃদ্ধি করেন
এবং বি সি এস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক পদে নিয়োগ
দান শুরু করেন, তাহলেই আমার মনে হয় এই পেশার মুল্য
অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। আর আমাদের দেশের শিক্ষারও
মান উন্নয়ন হবে।
।
লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কোন কিছু ভুল
লিখে থাকলে ক্ষমা করবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


