জমাত বিম্পি জমানায় ছাত্রদল ও জমাত শিবির মিটিং মিছিল করত পুলিশ নিয়া ।
এল আওয়ামীলীগ ।
এল নুতন দিন ।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল মিটিং করত র্যাব ও পুলিশ নিয়া । নুতন করে পুলিশের সাথে যোগ হল র্যাব । প্রায় ষোল বছর এমন মিছিল মিটিং উন্নয়ন করে ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগের আপা, কওমী জননী, ধান কন্যা দিল্লী পালালেন । তার আত্মীয় স্বজন কাছের মানুষ সবাইকে পালাবার সুযোগ করে দিয়ে নিজে পালালেন । রেখে গেলেন কিছু পালাতে না পারা নেতাকর্মী, নিরীহ সমর্থক ও
পিতা মুজিবরের কবর ।

জমাত শিবিরের বিটিম হিসেবে ছাত্রলীগে পদ পদবী পাওয়া গুনগান গাওয়া করে কোটা আন্দোলন দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া এনসিপি । ১৬ বছর হাসিনাকে ফেলানো যায় নাই । ২০১৮ সালে শিশু কিশোরের আন্দোলনে হাসিনার নড়বড়ে অবস্থা হয়েছিল । সে যাত্রায় হাসিনা বেচে যায় । মাইকেল বেভানের মত ক্রিজ আকরে থাকে ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেমন সবসময় দুবাই, আফগানিস্তান, হংকং এর সাথে হারে হঠাৎ করে ইনডিয়া, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, ইংল্যান্ডের সাথে জেতে । বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হঠাৎ জেতার মত এনসিপি সারাদেশের মানুষকে হাসিনার বিরুদ্ধে দাড়া করাতে পারে । হাসিনার অতি কথন, পুলিশের খুন, সাথে আমেরিকান এমবেসীর ইউউইডের ফান্ডিং এ জিতে যায় এনসিপি । পেয়ে যায় রাস্ট্র ক্ষমতা ।

এবারে এনসিপির নেতারা ঘোরেন পুলিশের সাথে মিলিটারী ও ট্যাংক নিয়ে । অস্ত্রের ম্যাগজিন থাকে তাদের ট্রাভেল ব্যাগে । আবার আমলীগ ছাত্রলীগ ক্ষমতায় এলে তারা তখন ঘুরবে ভারতীয় র ও কমান্ডো নিয়া । তারপর আবার আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলে এনসিপি প্লাস বা এনসিপি প্রো কোন দল ক্ষমতায় এলে তারা ঘুরবে আমেরিকান সিল সৈন্য, কমান্ডো নিয়া । কাতার, দুবাই, বাহরাইন, ওমান, সুদি আরব যেভাবে রাজতন্ত্র আমেরিকান সোলজার দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে । তেমন আর কি?


বিম্পি জমাত জমানায় খালেদা চিকিৎসা করতেন সুদি আরবে । বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিকিৎসা করতেন লন্ডনে । তার মেয়ে হাসিনা তিনি চিকিৎসা করতেন আমেরিকা, লন্ডন । হাসিনার সমাজকল্যান মন্ত্রী মহসীন তাকে এয়ারএমবুলেন্সে সিংগাপুর নিয়ে বাচানো যায়নি । আবার ওবাইদুল কাদের দেবী শেঠীকে ভাড়া করে এনে এয়ারএমবুলেন্স সহ তাকে সিংগাপুরে পাঠিয়ে বাচানো যায় । আমলীগের স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া তাকে চিকিৎসা করানো হয় মাউন্ট শিনাই হাসপাতাল আমেরিকাতে ।

বিম্পির রুহুল কবীর রিজভী, মির্জা ফখরুল তারা চিকিংসা করেন সিংগাপুরে । ওদিকে জমাতের গুরু মওসুদী তিনি চিকিংসা নিতে গিয়েছিলেন বাফেলোতে । সেখানেই তিনি মারাও যান । হেফাসুদে ইসলামের শফি হুযুর তিনি চিকিৎসা নিতেন ম্যালয়শিয়া ও ভারতে । সে সময় বেশ চাউর হয়েছিল ময়লানা শফি যখন ভারতে একি সময়ে সানি লিওন ও ভারতে । সানি লিওন বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিল কিন্তু শফি হুযুর দেন নাই । কিন্তু দুজন একি সময়ে ভারতে ছিলেন । সানি লিওন ভারতে আছে আমি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবনা ময়লানা শফি তেমনটা বলেন নাই । ধান্দা ও সুবিধার বেলা সবাই এক লাইনে । সেটা ময়লানা বা পর্নস্টার যেই হোক ।

বাংলাদেশের জনগন ঠাকুরগায়ের রিকশা চালক ৯ ঘন্টা রিকশা চালিয়ে রংপুর মেডিকেলে আসে সন্তানের চিকিৎসা করাতে । কদিন আগে আর এক ভিডিওতে দেখা গেল ছিনতাইকারীরা জনগনের ম্যানিব্যাগ টাকা পয়সা মোবাইল নেবার পর গায়ের জামাও খুলে নিচ্ছে ।
এদিকে সদ্য দেশস্বাধীন করা নেতাদের সিকিউরিটি হিসেবে আছে ট্যাংক । তাদের নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দিলে তারা ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন ।
জনগনের জন্য আগে যা ছিল এখনো তাই । ডু মেরে যাওয়ার মত ।

একদা শবেবরাতে কনষ্টেবল আতিয়ার আর এএসআই মতিয়ারের ডিউটি বাংলা মটরের পুলিশ ফাড়িতে । ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব জনাব পিংকির বাড়ি যেমন বগুড়া তেমন কনষ্টেবল আতিয়ার ও এএসআই মতিয়ারের বাড়িও বগুড়া ।

কনষ্টেবল আতিয়ার : ওস্তাদ একটা বরাতের রাত নমাজ কালাম তো কিছু পড়া হলনা । বরাতোত যে কি লেখা হবি?
এএসআই মতিয়ার : চিন্তা করিস না । আল্লাহ ডু মারা যাবি ।
কনষ্টেবল আতিয়ার : তাই ক্যাংকা ?
এএসআই মতিয়ার : ওয়ারেন অফ প্রেসিডেন্সি বুঝিস ?
কনষ্টেবল আতিয়ার : ওয়ারেন হেষ্টিং না কিবা? সেটা তো ইতিহাসত পড়চিলাম ছোট থাকতে । সেটার সাথে বরাতের রাতের কি সম্পর্ক?
এএসআই মতিয়ার : ওরে পাগলা ওয়ারেন হেষ্টিং নয় । ওয়ারেন অফ প্রেসিডেন্সী ?
কনষ্টেবল আতিয়ার : তাই কি?

এএসআই মতিয়ার : তাই হল প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, প্রধানবিচারপতি কার পরে কেটা তার গড়ে লিস্ট ? আল্লাহর বরাত শুরু হবি ওয়ারেন অফ প্রেসিডেন্সী হিসেবে । বুচ্ছ ।
পয়লা প্রসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী স্পীকার এইভাবে । তারপর মনে কর হামার গড়ে আইজি সাহেব আসপি, ডিআউজি স্যাররা আসপি এসপি স্যাররা আসপি তারপর ওসি স্যারা তারপরে হামরা । হামার গেরে সিরিয়াল আসতে আসতে মনে কর ভোর ভোর হবি ।
বরাত লেকা ফেরেস্তারা আল্লাহক কবি আল্লাহ ভোর হতিচে তো কি করমো বাকীটির?
আল্লাহ ফেরেস্তারহোরক কবি ডু মারা যা
মানে তোর হামার বরাত গত বছরের নাকানি হবি । গত বছর যেংকা আছিল এ বছরও সিংকা;
বুচ্ছ বিষয়টা ?
কনষ্টেবল আতিয়ার : তার মানে আপনি কচ্ছেন নামাজ কালাম পড়া আসলে কোন লাভ নাই ?
এএসআই মতিয়ার : এইতো বুচ্ছ বিষয়টা;
কনষ্টেবল আতিয়ার : দামী কতা কচেন বাড়ে । আপনার মত ইংকা দামী কতা পিংকি কাকাও কয় বারে?

https://www.facebook.com/share/p/1SXSXRW4gB/