আমাদের জীবনটা জীবনই থেকে যায় সারাজীবন , লাইফ আর হয় না সিনেমার নায়ক নায়িকাদের মতো। সিনেমাতে যেমন একেবারে শেষের দিকে নায়িকা প্লেনে চড়তে যাচ্ছে এমন সময় নায়ক ছুটে এসে ফিরিয়ে নিয়ে যায় নিজের জগতে । তারপর পর্দায় উঠে "THE END" ।এরপর কেউ কিছু না বললেও আমরা আম দর্শক জনতা বুঝে নেই এরপর থেকে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকবে। অথবা নায়ক নিউইয়র্কের টিকিট হাতে বিমানবন্দরে বিমানের অপেক্ষায় , হঠাৎ কি হলো হাতের টিকেট ছিড়ে ফেলে দেয় বাতিল হয়ে যাওয়া লটারীর টিকেটের মতো । তারপর সোজা নায়িকার বাসায়। তারপর আবার সেই "দ্য এনড", আমরাও বাকীটা বুঝে নেই। আর বাস্তব জীবনে আমাদের সেই ডিরক্টরের বড় অভাব, সম্মানের সহিত শুন্য পার্স নিয়ে আমরা প্রথম প্রথম নৈতিকতা, প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে অনেক ঝাঝালো বানী দিলেও এক সময় মেনে নেই নিয়তি নামের কড়া পারফেকশনিষ্ট ডিরক্টরের ডিরেকশন।আরো ভালো আরো ভালো করতে করতে আমরা লম্বা রেসে নেমে ভুলে যাই নিজেদের কথা । লেখক হতে চাওয়া লোকটি হয়ে যায় শেয়ার ব্যবসায়ী , ডাক্তার হয়তো চেয়েছিলো শিল্পী হতে , যে প্রফেসর হতে চেয়েছিলো সে এখন বাংকের কেরানী । একটা জায়গায় সবাই সমান , আরো ভালো করার জন্য সবাই সমান গতিতে দৌড়াচ্ছে , আর একটু সুখ ,আরো একটু পাওয়া হোক নিজেকে সম্পূর্ন হারিয়ে। তবুও একটু দু:খবোধ হয় না আমাদের। দিন শেষে বুঝি যতই জোরে দৌড়াই না কেনো কিছু কিছু জিনিস মিস হয়ে যায় যা অনেক বেশীই দরকার ছিলো , কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে যায়। আর কড়া ডিরেক্টর সাহেব কাহিনী চেন্জ করে নিউইয়র্কগামী আর সিডনী গামী দুইটা বিমানকে হিথ্রোতে ল্যান্ড করায় না। কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হুট করেই "THE END" চলে আসে বন্ধু ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৩০