বর্তমানে পিয়াজ একটি জাতীয় সমস্যা ,মাঝে মাঝেই এমন কিছু সমস্যা আমাদের জাতীয় জীবনে হানা দেয়।এ সমস্যাগুলোর সমাধান চাইলেই আমরা নিজেরাই করতে পারি নাই , তা না করে আমরা অজান্তে নিজেরাই সমস্যাটাকে আরো ভয়াবহ রুপ দেই।
যেমন বাজারে একটা জিনিসের চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকলেই সমস্যার শুরু হয় এটা আমরা অলমোষ্ট সবাই জানি।এও জানি উৎপাদন কম হলে এক ধরনের মুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজি করে বাজারে ঐ জিনিসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।কিন্তু যেটা জানিনা সেটা হলো আমি ,আপনি ,আপনার মা বাবা ,চাচা ,মামা অল মোষ্ট আমরা সবাই মিলেও একটা সিন্ডিকেট গড়ে তুলি অজান্তেই এবং সমস্যাটাকে আরো প্রকট করি।যখন শুনি দাম বাড়তে পারে অথবা শুনি উৎপাদন কম হয়েছে তখনই আমাদের বেশীরভাগ পরিবার ২/৩ মাসের জন্য (সবাই না) একবারে কিনে রাখি যেটা তার নরমাল চাহিদার ৩/৪ গুন বেশী, চাহিদা বাড়ে তুলনায় জোগান আরো কমে যায় যার পরিপ্রক্ষিতে বাজারে সংকট আরো ঘনীভূত হয়।
এতো গেলো সংকট যাতে না বাড়ে তার আলাপ ,সংকট কিনতু কমানোরও রাস্তা আছে ধরি বাংলাদেশে ১৬ কোটি লোক , ৬ জন করে মেম্বার ধরলে পরিবার আছে ২,৬৬,৬৬,০০০ , প্রতি পরিবার প্রতিদিন ৩ টা (average) করে পিয়াজ কম কনজিউম করলে প্রতিদিন ১ লাখ ৪০ হাজার মণ পিয়াজের চাহিদা কমে যায়।চাহিদা কমে গেলে দাম বাড়ার চান্সও অনেক কমে যায়, কয়েকদিন একটু ধৈর্য্য ধরলেই বাজারে নতুন পিয়াজ চলে আসবে তখন যারা মজুদ করে রেখেছিলো বেশী দামের আশায় সেই অসৎ ব্যবসায়ীরা হায় হায় করবে ,আর বড় বড় ২/৪ টা এরকম ধাক্কা দিতে পারলে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা পুরা সোজা হইয়া যাইবো। তাদের সোজা করতে কিন্তু আমরাই পারি ,না করে উল্টা তাদের হাতের পুতুল হয়েই থাকি ,খুব খেয়াল কইরা ।।