১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন,
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার পর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় কারাগারে। স্বাধীনতাকামী জনতা দীর্ঘ নয় মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতেও বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তখন থেকেই বিশ্ব নেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে মুক্তি দিতে। বাঙালি জাতির মহান এক বিজয়ের ফলেই বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফিরে আসেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডন-দিল্লি হয়ে তিনি ঢাকায় পৌঁছান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার দিনটিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আজ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিকেল তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া সকাল সাতটায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারা দেশে সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল আটটায় বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচি পালিত হয়।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে। এরপর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




