প্রানপণে ভালোবাসার অভিনয় করেছি
তবুও পারিনি..
তুমি খুঁজেছো ঠিক কোথায় আমার উদাসীনতার জন্ম,
অনুসরণ করেছো লুকিয়ে রাখা দীর্ঘশ্বাসের গোপন ঠিকানা
আর পেতে চেয়েছো আমায় ঘিরে রাখা আদ্যন্ত ভালোবাসা।
তারপর একদিন
তোমার ইট কাঠ পাথরের হাতে
কাঠমল্লিকার অবৈধ গন্ধ
বুঝলাম ভালোবাসা মানে হয়তো
দূষিত নগরে হঠাত্ করেই প্রকৃতির অসহ্য পবিত্রতা;
তাই তোমাকে সূত্র দিতে মন চাইলো!
ভালোবেসো পরে, আগে আমায় চেনো
পা বাড়ালেই পাবে
বাতাসের রাজপথ.. হাটতে থাকো
আকাশ-বাড়িতে যেতেই খুলে যাবে
মেঘের জানালা
দেখবে তোমার চারপাশে অপার্থিব মেঘদল
এখানেই জন্ম নেয় আমার উদাসীনতা।
তোমার স্পর্শে ঝরে পড়বে
সহস্র জলকনা.. ছুয়ে দেখো
পর্বতের চোখ ভিজিয়ে বর্ষার জল
দলবেধে জড়ো হয় নদীতে
সেই নদী যেখানে সমুদ্রে মেশে সেখানেই
আমার সত্ত্বা লুকিয়ে রাখে দীর্ঘশ্বাস।
সমুদ্রের খুব গভীরে ঝিনুকের মুক্তোয়
মেশে শঙ্খের ভালোবাসা.. অনুভব করো
তার নিঃসঙ্গ ভালোবাসাকে সঙ্গ দেবে বলে
আমার হৃদয় সজ্জা পাতে সমুদ্রে
আমি হয়ে যাই সমুদ্রের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা
এখন চিনেছো আমায়?
আমার স্বপ্নের সূচনায় অথবা বাস্তবতার সমাপ্তিতে
প্রকৃতির জন্য ভালোবাসা...
আর তাই
তুমি কোনদিনই আমার প্রথম ভালোবাসা হবেনা!!
***এই নগরীতে প্রতিটা দিন বেঁচে থাকি আগামীকালের ভোরবেলা দেখবো বলে, সেইসব মুহূর্তেরা লুকিয়ে থাকে পথের আনাচে কানাচে। আমাদের দিনরাত্রির যত আনন্দ বেদনা, গল্প কবিতা সব জমা হয় এই নগরীর কার্নিশে। আর তাই এই কবিতাটি ঢাকা নামক চেনা অথবা অচেনা শহরের জন্য***
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭