দাড়িয়েছিলাম অজস্র আকাশছোয়া বৃক্ষের ভীড় বাঁচিয়ে,
একা একা..
বন্ধুদের আসার অপেক্ষায়;
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বিরক্তি বাড়ছে! হঠাত্ দৃষ্টি আটকে গেলো এক মানবের দিকে তাকিয়ে..
স্তব্ধ হয়ে গেলো সময়,
নিঃশব্দ হয়ে এলো চারপাশ-
স্বপ্নের কুয়াশাচ্ছন্ন পথে যাকে হেটে যেতে দেখেছিলাম
এ সেই!
আমি শ্বাসরোধ করে তাকে দেখতে থাকি,
কি অসম্ভব স্নিগ্ধ শুদ্ধ মানব..
ভালোবাসার মত!
এগিয়ে আসছে সে,
একটু একটু করে দূরত্ব কমছে
আমার এবং তার..
তারপর এতটাই কাছে এলো
তার দীপ্তিময় দেহ,
যে চাইলেই আমি তাকে ছুয়ে দিয়ে
নিশ্চিত হতে পারি সে বাস্তব নাকি ভ্রম!
কিন্তু না
তাকে না ছুয়েই জেনেছি সে বাস্তব..
আমায় পাশ কাটিয়ে তার চলে যাওয়া
কখনো স্বপ্ন হতে পারেনা,
তাই এ হলো বাস্তবতা।
আমি গুনতে থাকি তার ধীর অথচ দৃঢ় পদক্ষেপ,
বিশাল বৃক্ষের ছায়াপথ ধরে
হাটতে থাকা প্রায় অদৃশ্য অবয়বটিকে
যতক্ষন দেখা যায় দেখতে থাকি;
তবু এগিয়েও যাইনা, ভেঙ্গেও পড়িনা..
মনে মনে শুধু চিত্কার করে বলি,
এত বিষন্নতা কেন চারপাশে?
আমি জানি এই পৃথিবীতে এরকম কেউ কেউ থাকে,
যাদের বহুদিন পর পর কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা যায়..
আর হয়তো কখনো তাদের খুঁজে পাওয়া যায়না,
নিজের জন্য তো নয়ই!
তাই হোক নক্ষত্রমানব,
তুমি হারিয়ে যেওনা..
শুধু হঠাত্ এসে এমনি করে
চারপাশে বিষন্নতার রঙ ছিটিয়ে
দেখা করে যেও।