somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তমনা ব্লগিং নিয়ে কতিপয় ভাবনা ; পর্ব - ০২

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুক্তমনা ব্লগিং নিয়ে কতিপয় ভাবনা ; পর্ব - ০১

আজকের পর্বটি ফেসবুকের এক ভাই সালমান সাইদ ভাইয়ের লেখা হতে কপি করা । লেখাটি এত চমৎকার হয়েছে যে ভাবলাম লেখাটি আমার ব্লগে শেয়ার করি । কমপক্ষে ফেসবুক থেকে ব্লগে লেখাটির গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে । লেখাটির শিরোনামও চমৎকার । "আমি কিভাবে মুসলিম হলাম (কতটুকু যুক্তি, কতটুকু বিশ্বাস)" । নিচে লেখাটি হুবহু দিয়ে দিলাম ।

আমি একসময় নাস্তিক ছিলাম ।

অনেক ছোট তখন । ক্লাস ফাইভে বা সিক্সে পড়ি, তখন থেকে । ধর্ম বই আর রুপকথার বই একরকম লাগত । মনে হত এসবই মানুষের মনগড়া । "মুহাম্মাদ, মূসা কিংবা ইবরাহীম বলে কেও কোনদিন আসেনি পৃথিবীতে ।"

সায়েন্স ফিকশান পড়তাম । জাফর ইকবালের বেশির ভাগ । নানারকম দর্শন খেলা করত মাথায় (আমি ছোটবেলা থেকেই অলস আর ভাবুক )

তাহলে কি কোন মহাজাগতিক প্রাণী আমাদের তৈরি করেছে ? এমন কি হতে পারে তারা এক সমষ্টিগত প্রাণী যারা বহু হয়েও এক ? আর আমরা পরীক্ষামূলক গিনিপিগ । আমাদের থেকে আরও উন্নত কিছু তৈরি হতে যাচ্ছে অনাগত ভবিষ্যতে ।

অথবা মনে হত এই পৃথিবীতে আমিই সব । কেননা সবকিছু আমাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে পৃথিবীর । আমি যেখানে নেই সেখানে আসলে কিছুই ঘটছেনা ।বাকি সবকিছু প্রগ্রামড, কেবল ইচ্ছাশক্তি আছে আমার ।

কৈশোরে বুঝলাম আসলেই মুহাম্মাদ নামে কেও এসেছিল । ইতিহাস খুব পরিষ্কার । তারপর থেকে নেই আছের দ্বন্দ্ব । সংশয় । ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কিনা, এই প্রশ্ন আমাকে অনেক কাঁদিয়েছে । লিটারেলি বলছি, কাঁদিয়েছে । কলেজ জীবনে আমার লেখা একটা গদ্য বা কবিতার মত আছে তালাশ-১ (পাবলিক শেয়ার দেয়া আছে) ফ্রেঞ্চ দার্শনিক জ্যাক্স লাকার থেকে একটা দর্শন ধার করে লিখেছিলাম । কবিতাটা এখন পড়লেও বুঝতে পারি, ঐ সময়কার কষ্ট কেমন ছিল । কতটা ভয়াবহ ছিল এই সংশয় ।

আমার জীবনটা খুব বেশি আপস এন্ড ডাউনসে ভরা । বিশেষ করে ক্যারিয়ার । আপ-ডাউন একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে । আপের ঠিক পরেরটা ডাউন । ডাউনের ঠিক পরেরটাই আপ । ২০০৯ সাল । তেমনি এক ‘ডাউনের’ মুহূর্ত চলছিল । ভয়াবহ ডিপ্রেশন, যেমন করে কবিদের হয় । তেমনি এক সময়ে হঠাৎ করে নামায পড়বার ভুত চাপল মাথায় । দেখিনা কি হয় । কয় ওয়াক্ত, কয় রাকাত পড়েছিলাম মনে নেই । তবে ঐ রকম সুন্দর নামায মনে হয় আমি আমার জীবনে আর কখনও পড়েছি বলে মনে নেই । আমি বলেছিলাম “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন, ইয়া কানা’বুদু ওয়া ই’ইয়া কানাস্তাইন । ইহদিনাস সিরতল মুস্তাকীম” অর্থ তখন বুঝতাম কিছু কিছু ।

“বিচার দিনের মালিক, আমরা শুধু তোমার পূজাই করি আর তোমার কাছেই যাবতীয় সাহায্য চাই । আমাদের সরল পথ দেখাও” আমাদের সরল পথ দেখাও ।

তবু সংশয় কাটলনা । এরপর অভিনব এক ‘আপ’ এর মুহূর্ত আসলো । বুয়েটের পরীক্ষায় টেকার কল্পনাও ছিল না । টিকে গেলাম কিভাবে যেন । প্রতিজ্ঞা করলাম ইসলাম নিয়ে পড়বই । সারফেস জ্ঞান হলেও নিজে যাচাই করে দেখবো সত্য মিথ্যা । তখনও কিন্তু আমার স্পষ্ট বিশ্বাস ছিল ধর্মগুলো মানুষের বানানো । আর আমার কাছে প্রায় যাবতীয় ইসলামিক কর্মকাণ্ডই হাস্যকর ছিল । আমি শুধু নাস্তিক ছিলাম না । আজকের থাবা বাবার মত না হলেও আসিফ মহিউদ্দিন বা তসলিমার লেভেলের কাছাকাছি ব্লাসফেমি ছিল আমার ভেতরে । দুঃখের বিষয় বুয়েটে ক্লাস শুরুরু আগে প্রায় ছয়মাস অবসর পেলাম গবেষণা করার ইসলাম নিয়ে । কিছুই করলাম না ।

বুয়েটে ঢোকার পর আরেক জীবনের গল্প । হল আমার কোনদিন ভালো লাগেনি । আমি ভালোবাসি নিয়মমাফিক জীবন । দেশের সেবা করবার ব্রত নিয়ে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিও করেছি কিছুকাল । তারপর হয়ে গেলাম ফুল টাইম ন্যাশনাল লেভেলের ব্রিজ প্লেয়ার । একেবারে যাকে বলে ইয়াংস্টার । সময় বয়ে গেল । ধর্ম, দর্শন আর কবিতা ধুয়ে মুছে গেল ৫২ কার্ডের বিস্তর কম্বিনেশন আর সম্ভাব্যতার অংক কষতে কষতে ... ... ...

আরেকটি ডাউন সাইডের দরকার ছিল জীবনের । সেটি আসল ২০১২ সালে । শেষের দিকে । তিন বছরের মাথায় আমি আমার প্রতিজ্ঞার কথা মনে করলাম । কোন এক রাত দুটোয়; আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিনের বারান্দায়, একটি ভাঙা টেবিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম । এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত (আমার জন্যে ) "জীবনকে গুছিয়ে ফেলতে হবে ।" ঐ সময় তাবলীগ জামাতের ভাইদের গোছানো জীবন আমার মননে দাগ কেটেছিল ।

পড়তে লাগলাম । মওদুদির তুলনামুলক সংস্কৃতির বই না, গাযযালীর দর্শনের সমারোহ না, সাঈদ কুতুবও না । আমি টেক্সট বই পড়া মানুষ, নোট বইতে আমার তখন চলত না । কুরআন পড়তাম । বুঝতাম না । বাংলা পড়তাম । ভালো লাগত না । তারপর, কবে ঠিক মনে নেই, ইংরেজি পড়া যেদিন শুরু করলাম সেদিন মজা পেতে লাগলাম । ফার্স্ট হ্যান্ড মজা । কোন শায়েখ নেই, তাফসীর নেই । শুধু শব্দার্থ আর সহীহ ইন্টারন্যাশনালের টুকটাক ব্যাখ্যা । আর পড়তাম উইকিপিডিয়া । বদর-উহুদ-খন্দক । অনেক জীবনী, অনেক তথ্য । নামায পড়তাম অল্প অল্প । সম্ভবত জীবনকে সাজিয়ে ফেলবার মানসিক ব্যয়াম মনে করে । তারপর, তারপর একটা আয়াত পেলাম ... ... ... সূরা ইউনুস-৯০-৯২ ।

এই আয়াতটি আমি আগেও পড়েছি । তখন দাগ কাটেনি মনে । অথবা এখন যখন পড়ি তখন মনে হয় এ আর এমনকি আয়াত । এর চাইতে ভয়াবহ জিনিস আছে আল্লাহ্‌র কিতাবে । কিন্তু তখন দাগ কেটেছিল । মন কে ছিড়েছিল, টুকরো করেছিল । হৃদয়কে অণু পরমাণুতে ভেঙে ফেলে জোড়া দিয়েছিল নতুন করে :

ঈশ্বর ডুবন্ত ঈমান আনা ফেরাউন কে বলছেন : সূরা ইউনুস আয়াত ৯২ (রেফারেন্সটা আমার তখন থেকেই মুখস্থ)

"So today We will save you in body that you may be to those who succeed you a sign. And indeed, many among the people, of Our signs, are heedless"

আমি পাগল হয়ে গেলাম । এই আয়াতের ব্যাখ্যা কি দেয়া যেতে পারে সেটা অনেক পরের কথা । প্রথম কথা এই অনুবাদ কি আসলেই সঠিক আরবীর অনুবাদ । ফেরাউনের মমি আবিষ্কারের পর হুজুরেরা এর অনুবাদ পরিবর্তন করেনি তো ? আরবী যতটুকু পারতাম শব্দ মিলাতে চেষ্টা করে দেখতাম ... ... ...

নাহ, বুঝিনা ।

অথবা এও তো সম্ভব যে কুরআনে নতুন আয়াত সংযোজন করে দেয়া । কুরআনের ইতিহাস নিয়ে লেগে গেলাম । সংকলনের গলদ ধরবার চেষ্টা করলাম । যেটা পেয়েছিলাম তা হল এই আয়াত আর উসমানী কুরআনের আয়াত এক । উসমানী মুসাফ হল সেই মুসাফ যা উসমান (রা) মৃত্যুর সময় পড়ছিলেন মানে হল সেই সপ্তম খৃষ্টাব্দের বিষয় যখন ফেরাউনের মমি থেবসের গুপ্ত কবরখানায় কবর চোরদের ধোঁকা দিতে দিতে ব্যস্ত ।

এইখানে থেমে যাওয়া উচিত । কিন্তু আমি পুরো সত্যটা বলতে পছন্দ করি । আমার মাথায় শেষ যে যুক্তি আসলো তা হল মিশরীয়রা যে মমি করত তা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানতো । তারপর একটা লাম্পসাম হিসাব নিকাশ করে লিখে দিয়েছে যাতে মানুষ একসময় কাওকে না কাওকে খুজে পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে ভাববে মুহাম্মাদের বাণী ঠিক । আমি এরপর রসূল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন নিয়ে লাগলাম । কোথায় সমস্যা ? এই লোক কি করে মমির খবর পেল ? কোথায় মক্কা থেকে এই লোক কখন বেরিয়েছিল ‘ইকর, বিসমি রব্বি’ পড়বার আগে ? দেখেছিলাম তার জীবনের একটি অংশের খুব বেশি ইতিহাস নেই । সেটা হল ২৫ বছর থেকে ৪০ বছর বয়স । কাজেই এই সময় গুহায় যাবার নাম করে বাইবেল, ইতিহাস ইত্যাদি পড়া অস্বাভাবিক কিছু না ।

তারপর থামলাম; হৃদয়কে প্রশ্ন করলাম,, “ এটা কি সত্যি হতে পারে যে একই সঙ্গে একটা লোকের সব কথা সত্যি হয়ে যাবে, আর একটাও মিথ্যা হবেনা । অথবা আমি কি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বড্ড একপেশে জেদের আশ্রয় নিচ্ছি না ? কোন স্পষ্ট বিষয়কে অস্বীকার করবার জন্য ঐতিহাসিক দলিল ছাড়া মনগড়া কল্পনার আশ্রয় নিচ্ছি নাতো”? আমি ইতিহাসের সৎ ছাত্র, তাই আমার হৃদয় হুমায়ুন আজাদ হতে পারেনি ।

ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে গেলে মিনিমাম দলিলের প্রয়োজন হয় । এটা ইতিহাসের একটা এটিকেট । আমি রসূল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের উপর উইলিয়াম মুরের মত লোকেদের কমেন্ট পড়েছি কয়েকটা ইভেন্টে । মুরেরা ছাগলের মত কোন বিষয় বলে দেন না শুধু কল্পনা প্রবণ হয়ে । শুধু একটা পসিবিলিটি বাকি থাকে । তা হল মুসলিমদের লম্বা শাসনের ইতিহাস । এই দীর্ঘ ইতিহাসে চতুর মুসলিম শাসকেরা মুহাম্মাদের মিশর ভ্রমণের ইতিহাস বেমালুম চেপে গেছে । যদিও ফেরাউনের মমি তৈরি হয়েছিল তারও ১৬০০ বছর আগে আর আমি আদৌ নিশ্চিত নই ঐ সময় মিশর গেলেই মমির খবর পাওয়া যেত কিনা । তারপরও বলছি । মুসলিম শাসকেরা কেন এই মিশর ভ্রমণের ইতিহাস গোপন করবে ? মা আয়িশার চরিত্রে কালি লাগানোর চেষ্টার ইতিহাস তো তারা গোপন করেনি । মা আয়িশা নিজে বর্ণনা করেছেন সদর্পে যে উনি সকালবেলা এক বেগানা পুরুষের সাথে মদীনায় ফিরেছেন আর সারারাত পথেই ছিলেন । মুসলিম শাসকেরা সেই ইতিহাস গোপন করেনি যখন বলা হল মুহাম্মাদ নিজের পালিত ছেলের বউ আর চাচাতো বোনের রুপের প্রেমে পড়ে, চার স্ত্রীর জায়গায় পঞ্চম গ্রহণ করতে চায় । অথবা যখন সূরা নাজমের আয়াত পরিবর্তনের ইতিহাস; যা নিয়ে The Satanic Verses নামে সালমান রুশদি একটা নভেল লিখে বিখ্যাত হয়ে গেছে । আর কবে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু 'আলাইহি সাল্লাম হাওয়া খেতে গিয়েছিলেন নীল নদেরও পশ্চিম তীরে, সেই ইতিহাস আব্বাসীয়রা একেবারে মাটিচাপা দিয়ে দেবে ?**********

আমি ততদিনে ইসলামের আরও অনেক বিষয়ে অভিভূত হয়ে নিজের প্রতি একটি সুবিচার করেছিলাম । যুক্তি মানুষকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাবেই যেখানে প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনে অসংখ্য কারণ দাঁড় করানো যায় । কিন্তু যুক্তি দিয়ে যুক্তি প্রয়োগের শিক্ষা একমাত্র এই পৃথিবীর মালিক দিতে পারেন । কুরআনের এমন অসংখ্য আয়াত, ভবিষ্যদ্বাণী আছে যেগুলি দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে এটি মানুষের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয় কিছুতেই । আমি এখানে ছোট্ট একটি উদাহরণ আনলাম মাত্র । ইসলামিক রাষ্ট্রের ধারণা কোন ইউটপিয়ান বিষয় নয় । ইস্লামের প্রায়োগিক দিক গুলো শুধু সুন্দর নয়, বেস্ট । কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য আমি এখনও যে বুঝি তা না, তখন বোঝার প্রশ্ন ছিল না ।

এই কথাটা আমি খুব বিশ্বাস করি । মাই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদিল্লাল্লা ।

ওয়া মাইইয়ুদলিলহু ফালা হাদিইয়ালা ।

"Whomsoever Allaah guides, none can leave astray. And whomsoever Allaah leaves astray, none can guide."

আমি শুধু একটি কিতাবের উপর ঈমান এনেছিলাম আর তার মালিকের প্রতি । আত্মসমর্পণ করেছিলাম যুক্তিতে হেরে গিয়ে । শুধু জেনেছিলাম এই কিতাব এই বিশ্ব সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত, যিনি লালন করেন সমগ্র সৃষ্টিকে । আর আমাকে মানতেই হবে এর কথা । অনন্যোপায় নেই । এই কিতাব আমাকে শিখিয়েছিল তার রব কেমন তা। এই কিতাব জানিয়েছিল কিভাবে অনস্তিত্বের জগত থেকে আমি সালমান অস্তিত্বে আসলাম । আমার হাদিসের প্রতি বিশ্বাস ছিল না, কিতাব আমাকে শিখিয়েছিল যে সে যে মানুষের উপর অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা সত্য ।

আমি শূন্য থেকে ইসলামকে শিখেছি । এখানে আমার জার্নির শেষ নয় তবে গল্পটার শেষ । এরপর আছে আকীদাগত দ্বন্দ্ব, মাযহাব, কিতালের মত তীব্র মতপার্থক্যের বিষয়গুলো । আমি আমার নিজের কাছে এবং আমার রবের কাছে সৎ থাকবার চেষ্টা করেছি চিরকাল । ভয় পেয়েছি । ঠিক যাচ্ছি তো । সাহায্য চেয়েছি । আমার কাছে থাকা তথ্য দিয়ে সবকিছু যাচাই করে যেটা ভালো মনে হয়েছে সেদিকে গেছি ।

ইসলামের কোন বিষয়টি আমাকে বিমোহিত করে এখন ?

দুইটি জিনিস । এর একটি বলব । বাকিটা বলতে গেলে অনেক বুঝিয়ে বলতে হবে ।

ইসলামকে নতুন করে আবিষ্কার করা যায় প্রতিমুহূর্তে । ইসলামের বিধানগুলোর প্রায়গিক যৌক্তিকতাকে দিন কে দিন নতুন নতুন করে উপলব্ধি করা যায় । এটি আমাকে আজও ইসলাম কে নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে ।

শেষকথা : ইসলাম পৃথিবীতে আজব দর্শন হিসেবে গণ্য হয়েছিল । এখনও হচ্ছে । গ্যালিলিও, মার্ক্স কিংবা নেই ঈশ্বরবাদের জনকদের তৈরি করা এই সভ্যতার মধ্যগগনে এসে, আমার মতন ছেলেরা ইসলাম গ্রহণ করে, এটিই আমার কাছে বড় তাজ্জব ব্যাপার মনে হয় । আমি বড় হয়েছি যেসব বই পড়ে অথবা কাল আমার ছেলেমেয়েরা যা পড়ে বড় হবে তার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে নাস্তিকতার বীজ । এগুলো আর কে কতটা বোঝে জানিনা, আমি বুঝি । এইজন্যই আমার চারিদিকে নাস্তিকতার ভিড়, সংশয়ের তীব্রতা, যুক্তি আর পালটা যুক্তির মারামারি ।

আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে এই ফিতনা থেকে রক্ষা করুন । যৌক্তিকভাবে যুক্তি প্রয়োগের তৌফিক দিন । আমাদের সন্তান ও তাদের সন্তানদেরকে রক্ষা করুন জাহান্নামের আগুন থেকে । কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র ওয়াদা সত্য আর কেয়ামত সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই । আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র কিতাবে এমন কিছু আছে যা শুধু চিন্তাশীলদের জন্য সংরক্ষিত । শেষে এসে একটু ভাব নিলাম । আল্লাহ্‌ মাফ করুন ।

লেখাটির অরিজিনাল লিঙ্কঃ আমি কিভাবে মুসলিম হলাম (কতটুকু যুক্তি, কতটুকু বিশ্বাস)
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×