♣হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“কোন ব্যক্তি যদি জুমুয়ার দিন গোসল করে যতদূর সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের তেল থেকে তেল ও নিজের ঘরের সুগন্ধী থেকে সুগন্ধী মাখে, অতঃপর নামাযের জন্যো এমনভাবে বের হয় যে, কোন দুই ব্যক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে না, অতঃপর যে নামায ফরজ করা হয়েছে, তা পড়ে, অতঃপর ইমাম যা বলেন, তা মনোযোগ দিয়ে শোনে, তার ঐ জুমুয়া ও পরবর্তী জুমুয়ার মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ মাফ করা হবে” [বুখারী ও নাসায়ী]
হযরত আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে শুক্রবার শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিন আল্লাহ তায়ালা হযরত আদমকে সৃষ্টি করেন, তাকে মৃত্যু দেন, ইসরাফীল আলাইহিস সালাম এই দিন শিংগায় ফুঁ দেবেন এবং এই দিন (শিংগার ধ্বনিতে) সকল প্রাণী অচেতন হয়ে যাবে। অতএব, এই দিন তোমরা আমার ওপর বেশি করে দরূদ পড়, কেননা জুমুয়ার দিন আমার ওপর তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছানো হয়। উপস্থিত লোকেরা বললোঃ মাটিতে আপনার হাড়গোড় মিশে যাওয়ার পর কীভাবে আপনার কাছে আমাদের দরূদ পাঠানো হবে। রাসূল (সা বললেনঃ আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেহ খাওয়াকে মাটির ওপর হারাম করে দিয়েছেন। ” [আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হাব্বান]
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“শুক্রবার দিন ও রাতের চব্বিশ ঘন্টায় একটা ঘন্টা এমন রয়েছে, যখন ছয় লক্ষ ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা দোযখ থেকে মুক্তি দেন।”
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিন সূরা কাহফ পড়বে তার দুই জুমুয়ার মধ্যবর্তী সমগ্র সময় জুড়ে তার ওপর আল্লাহর জ্যোতি বর্ষিত হতে থাকবে”। [নাসায়ী, বাইহাকী]
হযরত আবু উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“শুক্রবার গোসল গুনাহগুলোকে চুলের গোড়া থেকে সমূলে উপড়ে ফেলে।” [তাবরানী]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৫