somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেউ কোথাও নেই

২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকাল দশটা। মনটা খুব খারাপ। অনেক দিন পর আজ ল্যাপটপটা নিয়ে বসেছি, একটা গল্প লিখবো বলে। ভাবছি কি নিয়ে লিখবো ! সুখ না দুঃখ ! যদিও দুঃখ কখনো ভালোলাগেনা আমার।
পুরোনো দিনের একটি গান বাজছে সিডি তে।
প্রথম কলিটি হলো ' এ কোন সকাল.... রাতের চেয়েও অন্ধকার'....
অল্প বয়সে এ গানটা শুনে খুব হেসেছিলাম অর্থটা না বুঝে, সকাল কি কোনোদিন রাতের চেয়ে অন্ধকার হয় !
আজ মনে হচ্ছে হ্যা হয়, সকালটাকে শুধু রাতই নয়, কুচকুচে কালো স্লেটের চেয়েও অন্ধকার ।
সেই সাথে বুকের ভেতরেও ঘন কালো একটা কষ্ট চাপ ধরে আছে বেশ কিছু দিন হলো।

ইয়াহু ম্যাসেন্জার অন লাইন হয়ে আছে।তাই দেখে দু এক জন জিজ্ঞেস করে গেল,
"কি আপু, কি করছেন "?
'গল্প লেখার চেষ্টা করছি'
"ও আচ্ছা বেশ বেশ তাহলে আপনাকে আর বিরক্ত করবোনা"।

'ও হ্যা আমি উন্মনা, ভুলেই গিয়েছিলাম নামটা জানাতে'।

নাইমের জানালাটা আজ বেশ কদিন ধরে বন্ধ।
'নাইম শুনছো ? শোনো আমি না একটা গল্প লিখবো।
নাহ্‌ কোনো সাড়া নেই।
যাক গল্পটা শুরু করি।
আজকের গল্পটি গ্রামীন পটভুমির উপর লেখা। সব সময় তো শহুরে জীবন নিয়েই লিখি।

বেশ কয়েক বছর আগের কথা। আমাদের দেশেরই কোথাও কোনো এক জেলায় পাশাপাশি দুটো গ্রাম। দুই গ্রামের দুই মাতব্বর, একজন চৌধুরী সাহেব আরেকজন রহমান সাহেব, এরা যেন দুই চির শত্রু। দেখা সাক্ষাত তো দুরের কথা কেউ কারো নামটিও শুনতে পারে না।

গ্রামে বাস করলেও রহমান সাহেব বেশ আধুনিক এবং শৌখিন লোক। অল্প বিস্তর পড়ালেখা আর শহরে আত্বীয়-স্বজনের বাসায় নিয়মিত যাতায়াতই তার মন মানসিকতার উপর এই প্রভাব বিস্তারের কারণ বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
তার দেয়াল ঘেরা লাল টিনের পাকা এক তালা বাংলো বাড়িটির চারিদিকে ফুলের বাগান। গেট থেকে বাসার দরজা পর্যন্ত লাল সুরকী বিছানো পথ।
বাড়ীতে ইলেকট্রিসিটি ও আছে। মোটামুটি আধুনিক যে সব সুযোগ সুবিধা গ্রামে থেকেও ভোগ করা যায় সবই তার বাসায় বর্তমান। অবশ্য এসবের জন্য তাকে কিছু জমি জমাও হারাতে হয়েছে।
বাড়ীতে তার মা মরা এক অপুর্ব সুন্দরী কলেজে পড়া অস্টাদশী কন্যা আশা আর নিজের এক বিধবা বোন ছাড়া কেউ নেই।

সকাল এগারোটাঃ
কত খানি লিখে ফেল্লাম, কই নাইম এক বারও তো এসে জিজ্ঞেস করলে না, 'আছি কিনা' !
তোমাকে না জানিয়ে আমি তো কখোনো কিছু লিখিনা।
'ঠিক আছে, নাই বা জিজ্ঞেস করলে'।
লিখছি আর বার বার চোখটা চলে যাচ্ছে ইয়াহুর জানালায়।

আরেক যে মাতব্বর চৌধুরী সাহেব সে আবার চুড়ান্ত ভাবে প্রাচীন পন্থী । তার কাঠের পাটাতন করা টিনের চৌচালা ঘর। উঠোনের এক দিকে বড় বড় ধানের গোলা। উঠোনে হাস মুরগী, গোয়াল ভরা গরু।বাড়ীর চারিদিকে নারিকেল আর সুপারীর গাছ। মোদ্দাকথা গ্রামের মধ্যে ধনী লোক বলতে যা বোঝায় তার সবই বর্তমান।
অত্যন্ত বৈষয়িক বলে সে তার বেশিরভাগ জমিজমাই ধরে রাখতে পেরেছে। তার প্রতিদন্ধী রহমান মাতব্বরের মত আধুনিক আধুনিক করতে গিয়ে সব কিছু উড়িয়ে পুড়িয়ে দেয়নি। এ জন্য ছিল তার ভারী গর্ব। প্রায়ই সে জাঁক করে এ কথাগুলো সবাইকে বলে বেড়াতো।

তার একটি মাত্র সন্তান, রাশেদ। রাজধানীর স্বনামধন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে বাড়ী এসেছে। আরো পড়াশোনা করার জন্য সে বিদেশে যেতে চায় । কিন্ত তার বাবা চায় সে বিয়ে শাদী করে দেশে থাকুক আর তার এই অঢেল সম্পত্তি দেখাশোনা করুক। কিন্ত রাশেদ তার বাবার কথায় রাজী নয় । জমি- জমা, টাকা পয়সার প্রতি তার কোনো মোহ নেই।

শিক্ষিত সুপুরুষ রাশেদকে দেখে গ্রামের যত অবিবাহিত তরুনী কুলের মধ্যে এক দারুন চান্চ্যল্য দেখা দিল। আর সেই সাথে তার বাবার অঢেল টাকা পয়সা ও মর্যাদা তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সৃস্টি করলো এক প্রচন্ড আলোড়ন ।
কিন্ত রাশেদ যেন অন্য জগতের বাসিন্দা। এ সবে তার খেয়াল নেই। সময় কাটতে লাগলো তার বাজারের দোকানে চা খেয়ে আর মাঠে ঘাটে নদীর পারে ছোটো বেলার বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে।

রাশেদের প্রতি মেয়েদের এই তীব্র আকর্ষন এবং এ ব্যাপারে তার চরম উদাসীনতার গল্প আশার কানে গিয়েও পৌছালো। ফলে রাশেদকে দেখার জন্য তার কৌতুহলও তুঙ্গে উঠলো।
কিন্ত সেতো জানে তাদের দুজনের বাবার মধ্যে প্রচন্ড শত্রুতার কথা। তাই সাধারণ ভাবে তাকে দেখার কোনো সুযোগই নেই।

দুপুর বারোটাঃ রফিক জানালায় উকি দিয়ে গেলো। 'কি করছেন আপু? ও গল্প লিখছেন ,খুব ভালো, শেষ করে তাড়াতাড়ি পোস্ট দেন'।
'আচ্ছা চেস্টা করছি '
রফিক চলে গেল।
নাইমের জানালাটা এখনও বন্ধ।

আশা শুনলো রাশেদ তাদের দুই গাঁ এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর ধারে প্রতিদিন ভোরে হাটতে বের হয়। বান্ধবীদের সাথে অনেক রকম বুদ্ধি পরামর্শ করে শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো পরদিন ভোরে আশা চাষীর মেয়ের মতন সেজে নদীর পারে যাবে।
পরিকল্পনা মতই কোনো রকম সাজগোজ ছাড়া এক প্যাচে সাধারন লাল ডুড়ে শাড়ি পড়ে, হাতে লাল কাচের চুড়ি, দীর্ঘ চুলগুলো এলো খোপায় বেঁধে খালি পায়ে আশা পরদিন খুব ভোরে নদীর পারে গিয়ে হাজির হলো ।

নরম ভোরের সেই মায়াবী আলোয় চাষীর মেয়ের সরল স্নিগ্ধ সাজে অপরূপা লাবন্যময়ী আশাকে দেখে রাশেদ মুগ্ধ হয়ে গেল। যে কিনা কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও দেখে না। সেই ছেলে কিনা এগিয়ে এসে বল্লো, 'কে তুমি?'
আশা লজ্জা পাওয়ার ভাব করে গাঁয়ের ভাষায় বল্লো 'আমাকে চিনবেন না । পথ ছাইড়া দেন'।
'না আগে বলো কে তুমি'?
'আমি এই গেরামের রহিম মিয়ার মাইয়া কুলসুম। আপনি কেডা '?
'আমি ঐ গেরামের মাতব্বরের বাড়ির রাখাল '
সে ভাবলো মেয়েটার সমপর্যায়ে নেমে কথা বলাই ভালো।
'জী না আপনি মাতব্বরের পোলা, আমি দেইখাই বুঝছি, রাখালরা এত দামী পোশাক পড়েনা আর এমন সুন্দর কইরা কথাও কয় না'।

রাশেদ হেসে ফেল্লো মেয়েটার বুদ্ধিমত্তায়। রাশেদের হাসি মাখা মুখ দেখে আশার মুখেও ভারী মিস্টি এক হাসি ফুটে উঠলো। পরদিন আসবে এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাশেদ তাকে ছেড়ে দিল।

প্রতিদিন ভোরে তাদের নদীর পাড়ে দেখা হয়। কলেজে পড়া আশা নিজেকে নিরক্ষর বলে জানালে রাশেদ তাকে আজ দুদিন ধরে অ আ শিখাচ্ছে।কারণ চিঠি লিখতে হবেতো।
দুদিনেই কুলসুম স্বরবর্ণ ব্যান্জনবর্ন শিখে বানান করে বই পড়া শুরু করে দিল ! রাশেদ তো তাজ্জব! এবং চার/পাচ দিনেই কুলসুম বাঁকাচোরা হরফে প্রেমপত্র লিখতে সক্ষম হলো !
নদীর পারের এক ভাঙা ঘরের ফোকোর হলো এখন তাদের ডাকঘর।রাশেদ চিঠি রেখে যায় আশার কাজের মেয়ে চিঠি নিয়ে যায়, রেখে যায়। আর দেখা সাক্ষাৎ তো চলছিল নিয়মিতই। দুজনই দুজনার প্রেমে হাবুডুবু।

রাশেদ আর বিদেশে যাবার কথাটও উচ্চারণ করেনা! বাবা মা ও বিস্মিত!

একটা বাজেঃ
'নাইম আমি আজ কি রেধেছি জানতে চাইলে না যে!
কই মাছের ঝোল না বিফ ভুনা ?
বিফ ভুনা তোমার ভারী পছন্দের।
প্রায়ই জিজ্ঞেস করতে "কি রেঁধেছো বিফ ভুনা"?
গল্পটা কতদুর লিখলাম বলি তোমাকে?
না থাক, তুমি নিজেই পড়ে দেখো'।


এর মধ্যে এক ঘটনা ঘটলো। দুই গ্রামের ঠিক মাঝখানে রহমান সাহেবের বাড়ীর কাছাকাছি হঠাৎ দু মাতব্বরের দেখা। ভদ্রতার মুখোশ ঝুলিয়ে দুজনই কুশল বিনিময় করে ফিরতে যাবে তখনি চোধুরী সাহেব পা হড়কে এক গর্তে পড়ে গেল। রহমান সাহেব তাড়াতাড়ি তাকে টেনে তুলে নিজের বাড়ীতে নিয়ে পরিচর্যা করে নাস্তা পানি খাইয়ে নিজের গরুর গাড়ী দিয়ে তাকে বাড়ি পৌছে দিল।
চৌধুরী সাহেবতো তার ব্যবহারে মুগ্ধ। তাদের এমন খাতির হয়ে গেল যে তারা দুজন নিজেদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিয়ে দেয়ার চিন্তা পর্যন্ত করে ফেল্লো! চৌধুরী সাহেব মনে মনে দুই মাতব্বরের জমি এক হলে কতখানি হবে তারও একটা ছবি একে ফেল্লো।

দুটো বাজেঃ
নাইম কি খেয়েছে ! দুটো বেজে গেছে।
আমি খেয়েছি কিনা তাও তো জানতে চাইলোনা !
'শোনো আজ গল্পটা শেষ করবোই। বাসায় কোনো কাজ নেই ।
ছেলে মেয়ে আর তাদের বাবা সবাই বিকেলে ফিরবে।


রাশেদ তো মায়ের মুখে তার বাবার পরিকল্পনার কথা শুনে একদম না। সে তো ভালোবাসে রহিম মিয়ার মেয়ে কুলসুমকে। হোক সে গরীব চাষী। বাবার মত বড়লোক হওয়ার চেয়ে চাষীই ভালো।

এ দিকে আধুনিক রহমান সাহেব তার মেয়েও যেন ছেলেটিকে দেখতে পারে তার জন্য ছেলে সহ চৌধুরী সাহেবকে দাওয়াত করলো পরের শুক্রবারে। রাশেদ তার বাবার হুংকারে আর আপত্তি না করে দাওয়াত খেতে চল্লো। ডাইনিং টেবিলে দামী দামী কাচের পাত্রে খাবার পরিবেশন হতে লাগলো। এসব বিলাসিতা দেখে চৌধুরী সাহেবের ভুরু কুচকে উঠতে লাগলো। যাক এরই মধ্যে আশার প্রবেশ।

রাশেদ যেন তাকে চিনতে না পারে তার জন্য আশা এমন করে পাউডার মেখে মুখটাকে সাদা ধবধবে বানিয়ে কাজল দিয়ে মোটা ভুরু একে রুজ লিপস্টিক লাগিয়ে খাবার ঘরে আসলো যে রহমান সাহেবের নিজেরই কষ্ট হচ্ছিল তার অপুর্ব সুন্দরী শ্যামল বরণ কন্যাকে চিনতে।চমকে গেলেও সে সবার সামনে জানতে চাইলোনা তার মেয়ের এই অভুতপুর্ব সাজগোজের হেতুটা কি !!

রাশেদ তো কুলসুমের প্রেমে এতই বিভোর যে তার রহমান সাহেবের মেয়ের দিকে ফিরে তাকাতেও রুচি নেই। বেশীরভাগ সময়ই সে মাথা নীচু করে রইলো। আশাও খুব কম কথা বল্লো। যে দুএকটা প্রশ্ন করলো অত্যন্ত আহ্লাদী গলায় তার উত্তর দিল সে। চৌধুরী সাহেব এত কিছু খেয়ালই করলোনা। সে পেটপুরে খেয়ে দেয়ে পরের সপ্তাহে তাদের নিমন্ত্রন জানিয়ে বিদায় নিল।

তিনটাঃ নাইম জেগে আছি। গল্পটা লিখছি।
তোমার খবর কি ?অফিসের কাজে খুব কি ব্যাস্ত ?'
উত্তর নেই।


বাড়ীতে এসে রাশেদের বাবা সরাসরি রাশেদকে ডেকে আশার সাথে তার বিয়ের কথা তুল্লো। রাশেদ না বলার সাথে সাথে তার বাবা রেগে আগুন। বল্লো তার কথা না শুনলে সে তাকে ত্যজ্যপুত্র করবে। জায়গা জমি বিলিয়ে বেচে সব শেষ করবে সে কোন চুলোয় যাবে যাক।

রাশেদ তাও অনড়। ভাবলো থাক তার জমি জায়গার দরকার নেই। তার চেয়ে সে চাষী হয়েই কুলসুমকে বিয়ে করে দিন কাটাবে।
এই ভেবে সে কুলসুমকে তার পরবর্তী পরিকল্পনা জানিয়ে এক দীর্ঘ চিঠি লিখে তাদের ডাকবাক্সে ফেলে আসলো রাতের অন্ধকারে।

চারটা বাজেঃ
আমাকে একটু না দেখলেই না তুমি বলো,
"কি ব্যাপার তোমাকে নেটে দেখিনা কেন"!
'এখন তুমি কই'?
জানো গল্পটা প্রায় শেষের দিকে'
নেই সে।
থাক।


সারারাত রাশেদ অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করলো সে পরদিন ভোরে নিজে গিয়েই রহমান সাহেবের কাছে বলে আসবে তার অপারগতার কথা।
নিজের বাবা তো কোনো কথাই শুনছেনা। যেই ভাবা সেই কাজ।

খুব সকালে আস্তে করে রহমান সাহেবের বাসার বাইরের গেট খুলে ভেতরে ঢুকলো রাশেদ।এক পা দু পা করে এসে বসার ঘরের খোলা দরজার কাছে দাড়াতেই দেখতে পেলো ! কি দেখলো !!

দেখলো আশা না না তার কুলসুম সুন্দর হাল্কা গোলাপী রংয়ের একটা শাড়ি পড়ে দীর্ঘ খোলা চুল হাওয়ায় উড়িয়ে পুবের জানালায় ঠেস দিয়ে গতরাতে লেখা তারই চিঠি পড়ছে! ভোরের রোদ তার মুখের উপর পড়ে কি অপুর্ব এক শোভার সৃস্টি করেছে তা ভাষায় বর্ননা করার মত নয়।

পায়ের শব্দ শুনে ফিরে তাকিয়েই আশা দ্রুত ভেতরে যাবার জন্য উঠে দাড়ালো।
কিন্ত আশা পালিয়ে যাবার আগেই রাশেদ এক চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গিয়ে তার হাত চেপে ধরলো, 'কুলসুম, আমার 'কুলসুম'!
আশা লাজুক মুখে হাত ছাড়ানোর বৃথা চেস্টায় বলতে লাগলো 'হাত ছাড়ুন, হাত ছাড়ুন, কুলসুমটা আবার কে'!
তাদের এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো শুধু আশার হতভম্ব ফুপু যে কিনা চেচামেচি শুনে রান্নাঘর থেকে নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে বসার ঘরে এসে হাজির হয়েছিল।

বিকাল পাচঁটাঃ
'নাইম কই তুমি, আছো? সারাদিনে একটি বারও আমার খোজ নিলেনা!বাসায় চলে গেছ?কোনো অনুস্ঠান! নাকি কেউ অসুস্থ !
তুমি তো এত তাড়াতাড়ি কখনো যাওনা বাসায় !
গল্পটা শেষই করে ফেল্লাম। সময় পেলে একটু দেখো।
মিলিয়েই দিলাম, বিরহ আমার ভালোলাগে না'।

সে জানে একটু পরেই কথাগুলো এসে ফিসফিস করে বলবে,
"জানালাটা খুব শক্ত করে বন্ধ" !

সামান্য কিছু অংশ বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৫
৭৩টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×