এই প্লেনটিতে আমরা গতকাল ব্যাংকক আসলাম নামটি তার জানা হয়নি, আমাদের প্লেনগুলোর সুন্দর সুন্দর নাম আছে। ,এর নাম হয়তো শ্বেত বলাকা বা সোনার তরী। সকাল সাড়ে নয়টায় এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম, চেক ইন ইমিগ্রেশন এত তাড়াতাড়ি হলো যে আমি তাজ্জব। এইসব ফর্মালিটি সেরে দোতালায় ইন্টার কন্টিনেন্টাল এর লাউঞ্জ যা আবার স্ট্যান্ডার্ড চার্টারেরো বটে সেখানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। গিয়ে দেখলাম দু একজন বসে নাস্তা খাচ্ছে, কেউ বা এক কাপ কফি নিয়ে বসা।আমরাও বসলাম। এইসব হাবিজাবি লিখছি যাতে পোস্টটা প্রথম পাতা জুড়ে না থাকে
বলাকা লাউঞ্জের সুশোভিত ডেজার্ট টেবল।
এখানে থরে থরে সাজানো রয়েছে প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যের নানা রকম নাস্তার সমাহার।
বোর্ডিং লাউঞ্জে প্লেনে ওঠার অপেক্ষায়। মেঝেতে আকা স্যোশাল ডিসটেন্সের চিনহ
বিমানের জানালা দিয়ে মেঘাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ
ম্যুভি বা খবর দেখার চেয়ে ফ্লাইট ম্যাপ বা রুট দেখতেই ভালোবাসি
ঢাকা ছাড়ার তোড়জোর বিমানের।
৪১ হাজার ফুট উচু থেকে প্লেনের নাকের সামনে লাগানো ক্যামেরায় দেখছি সামনের দৃশ্য পট
খাবার শেষে দিনদুপুরেই আমাদের ঘুমানোর জন্য জানিনা আলোটা নীল করে দিল। জানালা দিয়ে বাইরের কিছু দেখার সুযোগ নেই তাই আবার সামনের সিটের পেছনে লাগানো মনিটরে।
মিয়ানমারের বর্তমান রাজধানী নেপিডো ক্রস করে প্রাক্তন রাজধানী ইয়াংগনের দিকে এগিয়ে চলেছি
আমাদের বোয়িং ৭৮৭ এয়ারক্রাফট এখন থাইল্যান্ডের সীমানায় প্রবেশ
কিবলার মুখ
এই সেই জাকজমক পুর্ন সুবর্নভুমি এয়ারপোর্ট যাকে কোভিড মৃত্যুপুরীতে পরিনত করেছিল, সেই পুরনো ক্ষত সারিয়ে আস্তে আস্তে আবার জেগে উঠছে নতুন রূপে,নতুন সাজে।
দেয়ালে দেয়ালে আগের মতই আকা সব শিল্পকর্ম। বাসার পাশে মলে দুপুরে খেতে গিয়েছিলামা দেখি নীচতালার বিশাল এলাকা জুড়ে খাবার মেলা রেস্তোরাঁয় রোবটের মাধ্যমে খাবার সার্ভ করছে।কত মানুষের যে কাজ চলে গেছে তার ইয়াত্তা নাই।
নাম না জানা নয়, ফলটির নাম জানলাম গুগুল থেকে। এর স্থানীয় নাম সালা আর ইংরেজিতে স্নেক ফ্রুটস রাম্বুথান আমার প্রিয় ফল কিনলাম এক থোকা
সমস্ত ছবি আমার মোবাইলে তোলা। অনেক কষ্টে মোবাইল দিয়ে এই ছবি ব্লগটা দিলাম। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০৬