
১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন ভূমিকা নেই। বড় দলের সাহায্য ছাড়া সংসদে যেতে পারে না, সেটা আবার কিসের দল?
২. আওয়ামী লীগ আমলে ১৪ দল ছিল। যাকে বলা হত ১+0+0+0….. ঠিক তেমনি বিএনপি আমলে ২০ দল ছিল যার মধ্যে জামায়াত ছাড়া আর কোন দলকে মানুষ চিনত না। এমনকি তাদের সভাপতির নামও জানে না জনগণ। তবুও তারা সব সময় আওয়ামী লীগ, বিএনপি’র সাথে এমন ভাব করে চলত মনে হত তাদের অনেক ভোট ব্যাংক। আর বিএনপি , আওয়ামী লীগও সংখ্যা বড় করে দেখানোর জন্য এসব দলকে জোটে রাখত…
৩. এবার সরকারের আইনের কারণে ছোট দল আর বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের নিজেদের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। তাই বড় দল যদি ঐ আসনে প্রার্থী নাও দেয় ঐ এলাকার ভোটাররা ছোট দলের প্রতীকে ভোট দিবে না এবং মনস্তাত্বিকভাবে বড় দলের কেউ যদি স্বতন্ত্র দাঁড়ায় তাকেই ভোট দিবে। এই আশংকায় এবং এমপি হওয়ার খায়েশে গত কয়েকদিন বিএনপি-তে অনেক ছোট দলের প্রধান কিংবা ২য় প্রধান নিজের দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ নিজের দলকে বিলুপ্তও ঘোষণা করেছেন…
৪. আমার মনে হয় বড় দলগুলো ছোট দলের বড় নেতাকে মূল্যায়ন করতে চাইলে বড় দলে যোগদানের কথা বলতে পারে। এছাড়া তাদের কোন সুযোগ দেয়ার মানে হয় না। কারণ, তাদের এমন কোন ভোট ব্যাংক নেই যার কারণে বড় দলের কোন অসুবিধা হবে। আর ২/৩ টি দল থাকলে জনগণেরও প্রার্থী বাছাই করতে ও ভোট দিতে সুবিধা হয়…
৫. বিকাশ নুর কিংবা রাশেদ আমার পছন্দের রাজনীতিবিদ নন। তাদের ২ জনকেই সুবিধাবাদী বলে মনে হয়। তবে নুরুর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই রাশেদ পাশে ছিল। সেই রাশেদ একটা এমপি পোস্টের (অবশ্য এই লোভ জুলাই বিপ্লবীরাও ছাড়তে পারছে না) জন্য এতদিনের বন্ধু/বড় ভাই/নেতাকে ছেড়ে দিল। ঠিক যেমন রেদোয়ান ছেড়ে দিল আরেক অকৃতজ্ঞ অলি আহমেদের সঙ্গ। বড় দলগুলো যদি গণতান্ত্রিকভাবে তাদের সকল স্তরে নেতা নির্বাচন করত তাহলে এই পল্টিবাজি ও লোভের রাজনীতি দেখতে হত না…
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

