শকুনির অশুচি গলায় আজ শোভা পায়
কপট শান্তির ঝলমলে পদক,
যদিও তার তীক্ষ্ণ চঞ্চু আর নখের আঁচড়ে
বিলুপ্ত হয়ে গেছে মানবতার নামফলক।
গেরুয়া বসনে শান্তির ললিত বাণী জপে
অহোরাত্রি নির্বাণ লাভের কপট বাসনায়-
যারা জগতের সকল প্রাণীর সুখশান্তি চায়,
মানবতা কাঁদে আজ তাদেরই নৃশংসতায়!
অধোবদনে স্বর্গে বসে কাঁদে আজ মহামতি
তাঁর আনত আননে বহে জলের ধীর গতি।
বিশ্ববিবেক স্তব্ধ, কষছে হিসেব লাভক্ষতির
দ্বিধায় দোদুল্যমান কেন বিবেক স্বজাতির?
খুলে দাও দুয়ার, আশ্রয় দাও বিপদাপন্নকে
ভাগ করে নাও দুমুঠো অন্ন, তাদেরই সাথে।
শান্তির পদক খুলে নাও শকুনির গ্রীবা থেকে
ঊর্ধ্বে ওড়াও মানবতার সবুজ পতাকাটাকে।
সোচ্চার হও বুলন্দ কন্ঠে, বন্ধ কর নির্যাতন!
মেকী সভ্যতার মুখোশ আজ কর উন্মোচন!
জয় হোক মানবতার, পতন হোক বর্বরতার,
শান্তির শুভযাত্রায় অবসান হোক উন্মাদনার!
পাদটীকাঃ আমার এ কবিতাটি মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি উৎসর্গিত। আজ সকালে বিদ্রোহী ভৃগুর ক্ষমা করো হে তোহাইত! শীর্ষক কবিতাটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে এ কবিতাটি লিখেছি।
ঢাকা
১৯ ডিসেম্বর ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




