somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুনাজাতে বৃন্দ-কান্নাঃ

০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতবারের মত এবারেও একুশ রোযা থেকে “কিয়ামুল লাইল” (তাহাজ্জুদ) জামাতে পড়েছি (কেবল একটি রাত বাদে, ঘুম থেকে উঠতে পারিনি বলে)। যদিও এ নামাজ নীরবে নিভৃতে মধ্যরাতে নিজ গৃহকোণে বসে পড়াই দুরস্ত বলে জানি, কিন্তু নিজে পড়লে ভুলভ্রান্তি বেশী হতে পারে, আর তা ছাড়া ইমাম সাহেবের সুললিত ও শুদ্ধ কন্ঠে ক্বিরাত শুনতে খুব ভাল লাগে বলে জামাতে পড়াই মনস্থ করি। মুনাজাতের সময় ইমাম সাহেবের অনেক কথা শুনে অভিভূত হয়ে যাই, ফলে প্রার্থনায় একাগ্রতা আসে। কিন্তু এবারে এক রাতে মুনাজাতের আগে ইমাম সাহেব বললেন, আপনারা মুনাজাতের সময় মনে মনে কান্নার ভাব আনবেন। লোক দেখানো নামায পড়া নিষেধ, কিন্তু কান্না না আসলেও কান্নার ভাব করার অনুমতি আছে এবং এতে আল্লাহতা’লা খুশী হন। লোক দেখানো নামায পড়ার ব্যাপারে সুরাহ আল মাউনে আল্লাহতা’লার স্পষ্ট হুঁশিয়ারী সম্পর্কে আমি অবগত আছি, কিন্তু মেকী কান্নাকে কোথাও উৎসাহিত করা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে আমি মোটেই অবগত নই। আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে তা হতে পারে।

যাই হোক, সে রাতে ইমাম সাহেব এই কথাটা বলে যেই না মুনাজাত শুরু করলেন, অমনি ধীরে ধীরে মুসল্লীদের কান্নার রোল ধ্বনিত হওয়া শুরু হলো। অন্য রাতেও কিছু কিছু শোনা যেত, কিন্তু সে রাতে তা অত্যধিক ছিল। এক পর্যায়ে দেখলাম, অধিকাংশ মুসল্লী ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কিন্তু আমার সে রাতে চোখ দিয়ে এক ফোঁটা অশ্রুও গড়ায় নি। অথচ অন্যান্য অনেক দিনে/রাতে নামাযের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে “ইন্নি ওয়াজ্জাহতু” পড়ার সময়েই যখন আল্লাহকে স্মরণ করে আমি অর্থ বুঝে “ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন” বলি, তখনই আমার চোখ থেকে অশ্রু বের হয়েছে। যাহোক, এ ধরণের আরোপিত (মেকী বলছি না) কোরাস কান্না মুনাজাত পরিচালনাকারী ইমাম সাহেবদের মনে জোশ আনলেও, আল্লাহ রাব্বুল ‘আ-লামীন বান্দাদের এ কান্না কতটা পছন্দ করেন সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে, কোন বান্দা যখন অনুশোচনাভরে নীরবে আল্লাহ’র কথা স্মরণ করে গোপনে অশ্রুপাত করেন, তখন আল্লাহতা’লা দয়া পরবশ হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেন, এবং তাকে উপযুক্ত বিনিময় প্রদান করেন, এ বিশ্বাসে আমি ইন শা আল্লাহ, অটল আছি।

আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতর এর দিনে সকল ব্লগারকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভকামনা। সবাই সুখে থাকুন, শান্তিতে থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সময় করে ব্লগে কিছু লিখুন। ব্লগারদের মাঝে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং পরমতসহিষ্ণুতা আরো বৃদ্ধি পাক। ঈদ মুবারাক!!!

ঢাকা
০১ শাওয়াল ১৪৪০
০৫ জুন ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×