এ পর্যন্ত মাত্র দুদিন গিয়েছি বইমেলায়। প্রথম দিনটি ছিল ঐতিহাসিক একুশে ফেব্রুয়ারীর দিন। এ দিনটিতে প্রতিবছরই বইমেলায় সর্বোচ্চ জনসমাগম হয়ে থাকে, বিক্রীত বই এর সংখ্যাটাও এ দিনটিতেই অনেক ব্যবধানে সর্বোচ্চ থাকে। পরেরবার যেদিন গেলাম, সেদিনটি ছিল একুশ পরবর্তী প্রথম ছুটির দিন, সেদিনটিতেও প্রচুর দর্শক (পাঠক ততটা নয়) এসেছিল বইমেলায়। প্রথম দিন আমার স্টলে খুব কম সময় ছিলাম, অন্যদের স্টল ঘুরে ঘুরে বের করতে করতে সময় ফুরিয়ে গিয়েছিল। পরেরদিন আমার স্টলে বেশিক্ষণ ছিলাম, অন্যদের স্টলে দ্রুত গিয়ে কয়েকটি বই কিনে আবার আমার স্টলে ফিরে এসেছি।
আমার ক্রয়কৃত বইগুলোর মধ্যে “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এর ব্লগারদের বইই বেশি। ব্লগার নন, এমন যাদের বই কিনেছি তারা হলেনঃ ‘যদ্যপি আমার গুরু’ এর লেখক আহমেদ ছফা, ‘সত্য মামলা আগরতলা’ এর লেখক কর্নেল শওকত আলী (প্রাক্তন ডেপুটি স্পীকার), ‘শতাব্দী পেরিয়ে’ এর লেখক হায়দার আকবর খান রনো, ‘বৃত্তের বাইরে’ এর লেখক সুমাইয়া মতিয়াতুর, ‘রাজনীতিতে ধর্ম মতাদর্শ ও সংস্কৃতি’ এবং ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ বই দুটোর লেখক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। প্রথম দুটো বই মাস দুয়েক আগে ‘রাওয়া বইমেলা’ থেকে কিনেছিলাম। ইদানিং ধুলোবালিতে আমার নাক বন্ধ হয়ে আসে, সর্দি শুরু হয়। তাই করোনার ভয় ছাড়াও, এলার্জির কারণেও আমার মেলায় যেতে অনীহা।
যারা আমার বই এবারের মেলা থেকে সংগ্রহ করেছেন, তাদেরকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা। বই হোক সকলের নিত্যসঙ্গী।
ঢাকা
০৩ মার্চ ২০২২
এই ছবিটা একুশে ফেব্রুয়ারী তে তোলা (২১-০২-২০২২)। তখনও হাফ হাতা সোয়েটার পরার প্রয়োজন ছিল। তার মাত্র চার দিন পরে ২৫ তারিখে সোয়েটার পরা তো দূরের কথা, গায়ের শার্টটাও ঘামে ভিজে গিয়েছিল। আবহাওয়ার কত দ্রুত পরিবর্তন হয়ে গেল!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯