‘সামহোয়্যারইনব্লগ’ বাংলা ভাষায় লিখা বৃহত্তম ব্লগ। এই ব্লগের পাঠক ও লেখকের সংখ্যা আজ ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোন পরিসংখ্যান জানা নেই, তবে সে সংখ্যাটা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ কিংবা তার কাছাকাছি হলেও হতে পারে, এতে আমি মোটেও আশ্চর্যান্বিত হব না। আমরা যারা এ ব্লগে প্রতিনিয়ত কিংবা কেউ কেউ কালে ভদ্রেও আসি, তারা সাধারণতঃ নিম্নোল্লিখিত যে কোন একটি বা একাধিক কারণে ও উদ্দেশ্যে এসে থাকিঃ
১। আমাদের নিজস্ব কিছু ভাবনা, বিশ্বাস, অভিজ্ঞতা, অভিলাষ, অনুভূতি, উপলব্ধি, পর্যবেক্ষণ, জীবন-দর্শন ইত্যাদি একটি বৃহত্তর পাঠক সমাজের নিকট লিখিতভাবে উপস্থাপন করে তাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিতে এবং তাদের মতামত জানতে আগ্রহী হয়ে এখানে আসি। পক্ষান্তরে, একই বিষয়গুলো নিয়ে লেখার তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও, অন্যরা এসব নিয়ে কী ভাবছেন, তা তাদের লেখা পড়ে জানতে চাই বলে এখানে আসি। প্রথম ক্ষেত্রে আমরা লেখকের এবং পরের ক্ষেত্রে পাঠকের ভূমিকা পালন করি, আর মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে উভয় ভূমিকাই পালন করে থাকি।
২। উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের লেখা পোস্টগুলো বিভিন্ন কলেবরে প্রকাশ করে থাকি; যেমন কবিতা, গল্প, কথিকা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী, ছবিব্লগ, রম্যকথন ইত্যাদি। যারা নিজে লেখার চেয়ে অন্যের লেখা পোস্ট পড়তে বেশি আগ্রহী, তারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোস্ট বেছে বেছে পড়েন। কেউ তা পড়ে নীরবে প্রস্থান করেন, আবার কেউ দু’চারটি কথা লিখে একটি আলোচনার সূত্রপাত করেন কিংবা একটি চলমান আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
৩। কেউ কেউ আছেন, যারা জনহিতকর তথ্যাবলী সন্নিবেশ করে ক্রমাগতভাবে পরামর্শমূলক পোস্ট লিখে যান। তাদের এসব পোস্ট পড়ে অনেকেই উপকৃত হন, কিংবা অন্যকে উপকৃত হতে সাহায্য করেন। এসব পোস্টের পঠিত সংখ্যা, লাইক বা মন্তব্যের সংখ্যার তুলনায় “প্রিয় তালিকা”য় রাখার সংখ্যাটা আনুপাতিক হারে অনেক বেশি হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ ব্লগার এমটি উল্লাহ’র নাম উল্লেখ করা যায়। তিনি আইনী সহায়তামূলক প্রচুর পোস্ট লিখে চলেছেন, যা ভুক্তভোগী অনেক পাঠকের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
৪। আমরা অনেকেই কোন কারণ বা উদ্দেশ্য ছাড়াই অনেক সময় ‘কিছু একটা পড়ে’ সময় কাটিয়ে যাবার জন্য এখানে আসি। এরকম ক্যাজুয়াল পাঠকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় বলে মনে করি। কবিতাপ্রেমীরা সরাসরি কবিতায় চলে যান, তথ্য পেতে আগ্রহীরা তথ্য অনুসন্ধানের জন্য বিষয়ভিত্তিক পোস্ট নির্বাচন করে সেখানে যান, স্রেফ একটা ভালো লেখা পড়তে আগ্রহী, এমন পাঠকেরা ‘নির্বাচিত পাতা’য় গিয়ে পছন্দ মাফিক পোস্ট পড়ে সময় কাটিয়ে যান। গল্পের পাঠকেরা গল্প খুঁজে নেন। এ ব্লগে উঁচুমানের কিছু গল্পলেখক প্রায় নিয়মিতভাবেই গল্প লিখে থাকেন।
৫। অনেকে দেশ বিদেশের রাজনীতি ও চলমান সমস্যা নিয়ে লিখতে ভালবাসেন। এদের লেখায় পাঠক সমাগম বেশি হয়। ফলে তর্ক-বিতর্কও বেশ জমে ওঠে, তবে ভাষার নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অনুপযুক্ত ভাষা প্রয়োগের ফলে এসব তর্ক-বিতর্ক অনেক সময় দুঃখজনকভাবে বিদ্বেষমূলক, যুদ্ধংদেহি ‘ক্যাচাল’ এ পরিণত হয়ে যায়।
৬। রন্ধনশৈলী, রসুইঘরের সাজসজ্জা এবং খাবার টেবিলে প্রস্তুতকৃত খাবার দাবার এর শৈল্পিক উপস্থাপনা নিয়ে নিয়মিতভাবে, বিশেষ করে প্রতিবছর ঈদ, রমজান ইত্যাদি উপলক্ষে তো বটেই, জাঁকজমকপূর্ণ পোস্ট দিয়ে একজন ব্লগার নিঃসন্দেহে তারকা পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। তার নাম শায়মা হক। এ বিষয়টিতে তিনি এই ব্লগে নিঃসন্দেহে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ বিষয়ক প্রতিটি পোস্টে তার উন্নত শৈলী ও রুচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায়, তাই তার এসব পোস্টগুলোতে নিদারুণ ভোজনরসিক ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক সাধারণ পাঠকেরও সমাগম হয়। আর পাঠক সমাগমের আরেকটি কারণ, তার বুদ্ধিদীপ্ত, আন্তরিক প্রতিমন্তব্যসমূহ। অবশ্য আরেকজন ব্লগার, ‘দৃষ্টিসীমানা’ও এখানে প্রচুর ব্লগ লিখেছেন রান্না নিয়ে। তার লেখা মুখরোচক স্ন্যাক্স ও ভারি রান্নাবান্নার রেসিপিগুলো ইউটিউববিহীন যুগের সিদ্দিকা কবীর লিখিত সেই কালজয়ী বই এর মত প্রবাসী অনেক নবিশ পাচকের সহায় হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
৭। ব্লগে অনেক ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখা পোস্ট আছে, এবং তা এখন কিছুটা কমে গেলেও অব্যাহত আছে। এ বিষয়েও একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্লগার রয়েছেন, তার নাম জুন। তবে, তিনি তার ব্লগ নামের চেয়ে ‘ব্লগের ইবনে বতুতা’ নামে অধিক পরিচিত। তার ভ্রমণকাহিনীগুলোর বৈশিষ্ট হচ্ছে চাক্ষুষ দৃশ্যাবলী ছাড়াও তিনি স্থান কাল পাত্রের কিছু ঐতিহাসিক টীকাও যোগ করে থাকেন। তিনি নিজে ইতিহাসের ছাত্রী ছিলেন বলেই এ কাজটা করা তার পক্ষে অতি সহজ হয়, এবং আমার মত ইতিহাস অজ্ঞাত পাঠকদেরকে তিনি বিনোদনের পাশাপাশি ইতিহাসের আলো ছড়িয়ে সমৃদ্ধ করেন। এমন অনেক পাঠক আছে, যারা শুধু ভ্রমণ কাহিনী পড়ার জন্যই ব্লগে আসেন। আমি এমন অন্ততঃ একজনের নামোল্লেখ করতে পারি, তার নাম তারেক সিফাত। জুন ছাড়াও বোকা মানুষ বলতে চায়, সাদা মনের মানুষ, পুলক ঢালী, জোবাইর প্রমুখের ভ্রমণ কাহিনী তথ্য ও ছবিসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। বিশেষ করে জোবাইর এর ছবিগুলো খুব সুন্দর, ঝকঝকে তকতকে এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। তার লেখা “উত্তর মেরুতে নিশি রাতে সূর্য দর্শন" শীর্ষক আট পর্বের সিরিজটি অত্যন্ত সুখপাঠ্য এবং ছবিগুলো মনোহর, দৃষ্টিনন্দন। এ ধরণের ভ্রমণ কাহিনী পড়ার মজাই আলাদা। আমি এ ব্লগে আসার আগেও অনেক উল্লেখযোগ্য ভ্রমণকাহিনী এখানে লেখা হয়েছে, তবে নিবিষ্ট মনে সেগুলো পড়া হয়নি বিধায় কারও নামোল্লেখ করতে চাই না।
৮। ব্লগে রম্যকথনের চাহিদাও বেশ রয়েছে। বাঙালিরা এমনিতেই কৌতুকপ্রিয় জাতি। তাই রম্যরচনায়ও অনেক পাঠক সমাগম হয় এবং এ বিষয়টি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। আখেনাটেন এ ব্লগের একজন চমৎকার রম্য লেখক। তার রম্যকথনের আমি একজন বিশেষ ভক্ত। এ ছাড়া গিয়াস উদ্দিন লিটনও প্রায়ই রম্য পোস্ট লিখে থাকেন। রম্য পোস্ট ছাড়াও তার অন্যান্য পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যেও রসবোধের ব্যাপক পরিচয় পাওয়া যায়।
৯। গবেষণাধর্মী লেখারও প্রচুর পাঠক রয়েছে এ ব্লগে। হাল আমনে এ বিষয়ে ড. এম এ আলী অগ্রগামী রয়েছেন। তিনি তার পোস্টে এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে প্রচুর গবেষণালব্ধ তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে থাকেন।
১০। এ ব্লগের আরেকটা অন্যতম আকর্ষণ ছবি ব্লগ। পেশাগতভাবে না হলেও, অনেক ভালো ভালো চিত্রগ্রাহক রয়েছেন এ ব্লগে। তারা মাঝে মাঝে চোখ ঝলসানো ছবি এবং সেই সাথে কিছু আকর্ষণীয় বর্ণনা দিয়ে ব্লগারদেরকে প্রভূত আনন্দ দিয়ে থাকেন। আগে এরকম অনেক ব্লগার ছবি ব্লগ দিতেন, যাদের পোস্টগুলো খুবই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। আমার ব্লগিং সময়ে আমি অন্ততঃ দু’জন ব্লগারের নামোল্লেখ করতেই পারি, যাদের ছবিব্লগের জন্য পাঠকেরা অপেক্ষা করে থাকেন। এখন নিয়মিতভাবে ছবিব্লগ দিচ্ছেন, এদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় মরুভূমির জলদস্যু'র কথা। এ বিষয়ে ওনার ব্লগপোস্টগুলো ব্লগ আর্কাইভের ঐশ্বর্য হিসেবে গণ্য। এ ছাড়া আরেকজন ব্লগার অনিয়মিতভাবে ছবিব্লগ পোস্ট করে থাকেন, তিনি হচ্ছেন কাজী ফাতেমা ছবি। তিনিও খুব সুন্দর ছবি তোলেন এবং কখনো সেগুলো কবিতার সাথে, কখনো গদ্য-বর্ণনার সাথে ব্লগে পোস্ট করে থাকেন।
আমি কেন আসিঃ
ব্লগে আমার পদার্পণ হয়েছিল কবিতা নিয়ে। কবিতাই আমার লেখালেখির প্রথম ভালবাসা। এখানে বেশ কিছু ভালো কবির কবিতার সাথে পরিচিত হয়েছি, তবে স্বীকার করতে মোটেও অনিচ্ছুক নই যে এ বিষয়টিতে ব্লগের মান অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে পিছিয়ে আছে। আর সে কারণেই হয়তো ব্লগের কবি ও কবিতা নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু বিরূপ মন্তব্য এসে থাকে। আমার পছন্দের তালিকায় উচ্চস্থানে রয়েছে মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ বর্ণনাসমৃদ্ধ পোস্ট, সেটা কবিতাই হোক, কিংবা গল্প কিংবা অন্য কিছু। ভালো হোক, মন্দ হোক, জীবনের অভিজ্ঞতা একটি অমূল্য অর্জন। মানুষ, বিশেষ করে অন্তর্মুখী মানুষেরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনায় আন্তরিক এবং অকপট হয়ে থাকেন। তারা মুখে যে কথা সবার সাথে, কিংবা কারও সাথেই শেয়ার করতে পারেন না, সে কথাগুলোই গভীর আন্তরিকতার সাথে এবং অকপটে ব্লগে শেয়ার করে থাকেন। সেখানে তাদের হৃদয়ের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এসব “হৃদয়ের কথা” কেউ কবিতায় ব্যক্ত করে থাকেন (খুব কম সংখ্যক কবিই সফলভাবে), কেউ ফিকশনের মাধ্যমে, আবার কেউ কেউ খুব নিখুঁতভাবে যে কোন লেখাতেই তা প্রকাশ করতে পারেন। এই ধরণের লেখা আমার পড়তে ভালো লাগে। ব্লগে প্রচুর সংখ্যক রাজনীতি এবং ধর্ম বিষয়ক পোস্ট এসে থাকে। আমি সেসব আগ্রহ নিয়ে পড়ে থাকলেও, মন্তব্য করা থেকে সাধারণতঃ বিরত থাকি। বিশেষ করে যেসব লেখা প্রচারসর্বস্ব এবং একচোখা দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লেখা হয়ে থাকে, সেগুলো পড়া শুরু করলেও অনেক সময় শেষ করা সম্ভব হয় না।
আর সবার মতই, ব্লগে কোন লেখা পোস্ট করে আমি গভীর আগ্রহে পাঠকের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি। মন্তব্য পেলে যথাসম্ভব আন্তরিকতার সাথে তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে থাকি। মন্তব্য পড়েই বেশ বোঝা যায়, কারা পোস্টটি গভীর মনযোগসহকারে পড়েছেন, কারা দায়সাড়াভাবে পড়েছেন আর কারা মোটেই না পড়ে কেবলমাত্র উপস্থিতিটুকু জানাবার জন্য মন্তব্য (অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক) করে গেছেন। যারা আমার পোস্টে মন্তব্য করেন, আমি চেষ্টা করে থাকি সৌজন্যবশতঃ তাদের কিছু লেখাও মনযোগ দিয়ে পড়ে সেখানে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য রেখে আসতে। অনেক ক্ষেত্রে আমাকে একটি লেখায় একাধিক মন্তব্য করতে হয়, লেখকের লেখার প্রতি সুবিচার করার জন্য। আমি যেসব লেখায় মন্তব্য করি, সেখানে সব মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোও পড়ে, যেগুলো মনে রেখাপাত করে সেগুলো নিয়েও কিছু কথা বলে আসি। হয়তো আমি এখন পূর্ণ অবসরে আছি বলেই আমার পক্ষে সেটা করা সম্ভব হয়। অনেক ক্ষেত্রে পোস্টের চেয়ে কিছু মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়ে আমি বেশি সমৃদ্ধ হই এবং উপভোগ করি। আমি নিজেও বোধকরি পোস্ট লেখার চেয়ে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং উৎসাহী হয়ে থাকি। অতি সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত আমার পোস্টে কোন মন্তব্য জবাববিহীন নেই এবং আমার পোস্টে মন্তব্য পাওয়ার চেয়ে অন্যের পোস্টে আমার মন্তব্য করার সংখ্যাটা আনুপাতিক হারে প্রায় ১৫% বেশি, এ পরিসংখ্যানটি আমার এ বক্তব্যের সাক্ষ্য বহন করে।
প্রাপ্তিঃ
এ ব্লগে আমার লেখালেখির বয়স প্রায় সাড়ে ছয় বছর চলছে। এই পিরিয়ডে আমি এখানে যে সময়টুকু ব্যয় করেছি, তা সার্থক হয়েছে অনেক মেধাবী লেখক, পর্যবেক্ষক এবং পরিব্রাজক এর সাথে পরিচিত হয়ে, মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে তাদের সাথে ঐকান্তিক মিথষ্ক্রিয়ায়। কোন পোস্ট লেখার সময় এবং অন্যের পোস্ট পড়ার সময় আমি বেশ অনুভব করতে পারি, এ ব্লগে অনেক মনযোগী পাঠক রয়েছেন যারা আমার শুভাকাঙ্খী। আমিও এমন অনেক ব্লগারের লেখা ও মতের সাথে একাত্ম বোধ করি। এই পারস্পরিক সৌজন্য, আনুকূল্য এবং শ্রদ্ধাবোধ এখানে আমার ব্লগিং এর একটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি।
সকল ব্লগারের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভকামনা এবং শ্রদ্ধা। সকলে ভালো থাকুন, সুস্বাস্থ্যে, সপরিবারে।
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৭ এপ্রিল ২০২২
শব্দসংখ্যাঃ ১৪০১
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৯