জন্মক্ষণঃ
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়ণের শেষ দিনটিতে আমার জন্ম হয়েছিল সায়াহ্নের প্রাক্কালে । পৃথিবীর বুকে আমার আসার সেই সময়টা ছিল পাখিদের নীড়ে ফেরার সময়। ছোটবেলা থেকে আজ অবধি আমার এ সময়টাকে খুব ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই এ সময়টাতে একটু থেমে নীড়ে ফেরা পাখিদের কলকাকলি শুনি। বাসার কাছেই বড় বড় কিছু গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পাখিদের ঘরে ফেরা দেখি। সম্প্রতি হাকালুকি হাওড়ের একটি জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে সহস্র পাখির সুশৃঙ্খল সারি বেঁধে উড়ে এসে যার যার নির্দিষ্ট বৃক্ষশাখায় বসে পড়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাদের কলকাকলিতে এলাকাটি কিছুক্ষণ মুখরিত ছিল। ঠিক মাগরিবের আযানের আগে আগে সব পাখি নিশ্চুপ হয়ে যায়। প্রার্থনার জন্য সময়টা মনে হয় খুবই তাৎপর্যময়, তাই এতদুদ্দেশ্যে মানুষ ও প্রকৃতি সময়টাকে যেন ভাগ করে নেয়!
খুব ছোট বয়সের কিছু কিছু স্মৃতিঃ
অবসর জীবনে বোধকরি মানুষের শৈশবের স্মৃতিকথা বেশি করে মনে পড়ে। নব্বই বছর বয়স্কা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত আমার মা’কেও দেখেছি নিত্যদিনের কোন কথা উনি স্মরণ করতে পারতেন না, কিন্তু শৈশবের কথা উঠলে তিনি গড় গড় করে স্মৃতিকথা বলে যেতে পারতেন। আমারও খুব ছোট বয়সের কিছু কিছু স্মৃতিকথা মনে যেন স্থায়ী ভাবে গেঁথে আছে। যেমন আইউব খানের প্রথম মার্শাল ল’ জারির সময় সবার মনে একটা আতঙ্ক নেমে আসার কথা মনে আছে, সে আতঙ্ক থেকে পথে ঘাটে চারিদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ধুম পড়ে গিয়েছিল। ১৯৫৮ কি ৫৯ সালে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বরী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন আমি স্কাউট সম্বন্ধে কোন কিছু জানতাম না, কিন্তু বাসার অদূরে জাম্বরী মাঠ প্রস্তুতির তোড়জোড়ের কথা মনে আছে। সারাদিন ধরে রোলার, গ্রেডার আর ক্যাটারপিলার ঘর ঘর শব্দ করে মাটি সমান করা ও শক্ত করার কাজ করতো। ওসব যন্ত্রদানব থেকে থেকে ঘন ঘন উদগীরিত কালো ধোঁয়া আর পোড়া মবিল ও ডিজেল এর গন্ধ যেন আজও আমার নাকে লেগে আছে।
আমার ছোট বোনের জন্মঃ
আমাদের সাত ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ভাইটা ছাড়া আমাদের সবার জন্ম ঘরেই হয়েছিল। তখন সরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বল্প প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফরা (ধাত্রী) ঘরে এসে শিশুজন্মের এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে দিতেন, প্রতিবেশি অভিজ্ঞ রমণীরা সাথে থেকে সহায়তা করতেন। এক আষঢ়স্য রাতের শেষ প্রহরে প্রবল বর্ষণের মাঝে আমার ছোট বোনের জন্ম হয়েছিল। থেকে থেকে শোঁ শোঁ আওয়াজ করে দমকা হাওয়া বইছিল। ওর জন্মের পরপরই বৃষ্টির শব্দের মাঝেও ফজরের আযান শোনা গিয়েছিল। আমাদের প্রতিবেশি সিদ্দিক চাচী (আব্বার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু’র স্ত্রী) সেই প্রলয়ের রাতে আমার বোনের জন্মের সময় সারারাত মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে সহায়তা করেছিলেন। সেই চাচীর সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে। তখন আমরা ঢাকার শহীদবাগে থাকতাম। চাচী আমার আম্মার চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন, তাই আম্মাকে তিনি ছোট বোনের মত স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, বহুদিন পর পর হলেও আম্মার সাথে দেখা করার জন্য আমরা যেখানেই থাকি, চাচা-চাচী সপরিবারে আমাদের বাসায় আসতেন। আমার জন্মের সময়ও চাচী আম্মার পাশে ছিলেন বলে আম্মার মুখে শুনেছি, তাই বুঝি আমাকেও তিনি বিশেষ স্নেহ করতেন। দেখা হলেই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতেন। আজ এতদিন পরেও চাচীর মুখটা আমার মনে ভাসে। বকের মত সাদা (ফর্সা) রঙের সেই চাচীর ওষ্ঠ সবসময় পান-চুনের রসে লাল হয়ে থাকতো, মুখ দিয়ে জর্দার খুশবু ছড়াতো। ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে অনেক কষ্টে খিলগাঁওয়ে অবস্থিত সেই চাচা-চাচীর বাসার সন্ধান পেয়ে, চাচীর সাথে দেখা করানোর উদ্দেশ্যে আম্মাকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। গিয়ে তাদের মেজ ছেলের (তপন ভাই) কাছে শুনি, চাচী ও চাচা বহু বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। এ কথা শুনে আম্মা খুব মন খারাপ করেছিলেন।
১৯৬০ সালের সাইক্লোনঃ
চট্টগ্রামে ১৯৬০ সালের অক্টোবরে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝর বয়ে যায়। ঝড়ের সময় দেখেছিলাম, মিজাইলের মত উড়ন্ত টিনগুলো শোঁ শোঁ শব্দ করে উড়ে যাচ্ছে এবং গাছের ডালপালায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ছে। ঝড়ের প্রকোপে একটা জাহাজও ফৌজদারহাটের ডাঙায় এসে আছড়ে পড়ে। সে সময় একটা উড়োজাহাজেরও যেন কি হয়েছিল তা স্পষ্ট মনে নেই, কিন্তু বেশ কয়েকদিন সে উড়োজাহাজটি অচল অবস্থায় আটকে ছিল। আমার এটুকু মনে আছে যে উৎসুক দর্শনার্থীদেরকে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল এবং এক বিকেলে আমরা কয়েকটি প্রতিবেশি পরিবার পতেঙ্গায় গিয়ে উড়োজাহাজের ভেতরটা দেখে এসেছিলাম। সেটাই ছিল আমার প্রথম কোন উড়জাহাজের অভ্যন্তরে প্রবেশের ঘটনা। আর কিছু নয়, ছোট ছোট জানালাগুলো দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম।
দই ওয়ালাঃ
চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় আমি কোন স্কুলে ভর্তি হই নি, তবে বাসায় পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়েছিল। সকাল দশটা নাগাদ বড় ভাইবোনেরা যে যার মত স্কুলে এবং আব্বা অফিসে চলে গেলে বাসায় শুধু আম্মা আর আমি থাকতাম। আম্মা সে সময়টাতে একটু শুয়ে বসে বিশ্রাম নিতেন। কখনো হয়তো চোখদুটোও তার একটু বুঁজে আসতো। প্রতিদিন সময় করে এগারটা বারটার দিকে এক শীর্ণকায় দই ওয়ালা বাসার কাছে এসে দই বিক্রীর জন্য হাঁক দিত। শরীরের তুলনায় তার হাঁকডাক অধিকতর ওজনদার ছিল। এতে আম্মার নিদ্রাভঙ্গ হতো। অনেক সময় তিনি দই কিনতেন এবং আমরা দুজনে বসে তা খেতাম।
উড়ন্ত চিলের পতনঃ
সে সময়ে আমাদের বাসায় বেশ একটা খোলা প্রাঙ্গণ ছিল। সেখানে আব্বা মুরগি পালার জন্য একটা মাঝারি সাইজের ঘর বানিয়েছিলেন। সেই ঘরে অনেক মোরগ-মুরগি থাকতো এবং মুরগিগুলো পালা করে ডিম পাড়তো বলে আমাদের ঘরে সব সময় অনেক ডিম মজুদ থাকতো। একটার পর একটা মুরগি বাচ্চা ফোটাতো। একদিন বিকেলে একটা চিল হঠাৎ কোথা থেকে যেন উড়ে এসে ছোঁ মেরে মুরগির একটি বাচ্চা নিয়ে উড়ে যায়। সেই বাচ্চাটির জন্য আমার ভীষণ মায়া হচ্ছিল। বাচ্চাটি বেশ একটু বড়সড়ই ছিল। সাধারণতঃ এত বড় বাচ্চাকে কাক চিল নিয়ে যেতে পারে না। আমি তখন বিকেলে বাগানে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, ঘাতক চিলটি বাগানের উপর ঘুরপাক খাচ্ছে। একটু পরেই সেটা ধপাস করে পড়ে গেল। তার জন্য খাদ্যবস্তুটি একটু বেশিই বড় হয়ে গিয়েছিল। ফলে গলায় আটকে চিলটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়ে। সেই প্রথম একটি চিলকে হাতে ধরে দেখেছিলাম। তার দেহ তখনও গরম ছিল।
টাইফয়েডঃ
চট্টগ্রামে থাকাকালীন আমি একবার মারাত্মক টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম। তখনকার দিনে আমাদের কারও জ্বর হলে আব্বা আম্মার প্রথম কাজ হতো ভাত বন্ধ করে দেয়া। ভাতের বদলে আটার রুটি কিংবা পাউরুটি খেতে দিত। আর সাথে চলতো ‘রবিন্সন্স বার্লী’। বার্লী মোটেই খেতে ইচ্ছে হতো না, তাই আম্মা মাঝে মাঝে নিজেদের গাছের কাগজি লেবুর রস মিশ্রিত করে দিতেন। তখন খেতে ভালো লাগতো। আরেকটা অখাদ্য খেতে হতো, সেটা হচ্ছে দুধে মেশানো সাগুদানা। এই সবগুলো নিয়মই তখন ঘরে ঘরে প্রচলিত ছিল। সেবারে টাইফয়েড আমাকে অনেক ভুগিয়েছিল। একটানা তিন সপ্তাহ জ্বর ছাড়েনি, ফলে আমাকে ভাতও খেতে দেয় নি। পরে ডাক্তারের পরামর্শে আম্মা নিজ হাতে বানানো চিকেন স্যুপ খেতে দিতেন। ঘরে পোষা বাচ্চা মুরগি জবাই করে সে স্যুপ বানানো হতো। প্রথম প্রথম সেটা খেতে খুব ভালো লাগতো, পরে তাতেও অরুচি এসেছিল।
নাকের ভেতর ন্যাপথিলিন বলঃ
একদিন দুপুরে আম্মা শাড়ি গোছাচ্ছিলেন। শাড়ির ভাঁজ থেকে একটা ন্যাপথিলিন বল মাটিতে পড়ে গেলে আমি সেটা আম্মার অলক্ষ্যে কুড়িয়ে নেই। ন্যাপথিলিনের গন্ধ আমার খুব ভালো লাগতো। আমি একটু দূরে গিয়ে সেটা নাকের কাছে নিয়ে শুঁকতে থাকি। এক অসতর্ক মুহূর্তে সেটা নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করে। আমি সেটাকে যতই বের করার চেষ্টা করতে থাকি, ততই সেটা ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। একসময় অস্বস্তি লাগা শুরু হলো। উপায়ন্তর না দেখে আম্মার কাছে দৌড়ে গেলাম। প্রথমে বকা ঝকা, পরে কান্নাকাটি শুরু হলো। এক অপরাধবোধ আমাকে গ্রাস করতে শুরু করলো। অবশেষে অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নেয়ার পর শেষরক্ষা হয়েছিল।
ওলকচুর আচারঃ
আম্মা সাধারণতঃ মরশুমের সময় আম, জলপাই আর বড়ই এর আচার বানাতেন। একবার তিনি তার এক প্রতিবেশির (চট্টগ্রামের স্থানীয়) পরামর্শে ওলকচুর আচার বানালেন, যা এর আগে কখনো দেখিওনি, খাইও নি। সেই আচার অত্যন্ত মুখরোচক হয়েছিল। সেই আচারের ঝাঁঝটা আমি এই গল্প লেখার সময়ও নাকে অনুভব করছি। ঢাকা থেকে আমাদের কিছু আত্মীয় (বেবী ফুফু, হেনা ফুফু) বেড়াতে এসে সেই আচার খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন এবং সাথে কিছুটা নিয়েও গিয়েছিলেন।
জন্মদিনের কেকঃ
আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার ছিলাম, এখনকার মত উৎসব করে জন্মদিন কখনোই পালন করতাম না। তবে আম্মা ঠিকই মনে রাখতেন, কোনদিন কার জন্মদিন। যেদিন যার জন্মদিন, সেদিন মূলতঃ তার জন্য আম্মা একটা কেক বানাতে চেষ্টা করতেন, যদিও সেটা সবসময় সম্ভব হতো না। তবে সেই কেকটা এখনকার কেকের মত ছিল না। ডিম (ঘরের মুরগি’র) ফেটে এবং ময়দা মিশিয়ে একটা টিফিন ক্যারিয়ারের বাটিতে বসিয়ে কয়লা বা কাঠের আগুনের তাপে আম্মা সেটা বানাতেন। যখন বানাতেন, তখন সাড়া ঘরে সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তো আর আমি কিছুক্ষণ পর পর এসে দেখে যেতাম। আমাদের মুখে সেটাই অমৃতের মত লাগতো। যার জন্মদিনে এ সামান্য আয়োজনটুকু হতো, সেও খুব খুশি হতো, অন্যরাও।
মোয়াজ্জেম ভাই এর স্প্রিন্টঃ
আমাদের বড় ভাই এর একজন বন্ধু ছিলেন, তার নাম ছিল মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা। ওনারা কিশোরগঞ্জের লোক ছিলেন। ওনাদের স্কুলে একবার বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে মোয়াজ্জেম ভাই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়েছিলেন। ঝড়ের বেগে দৌড়ে কোঁকড়া চুলের মোয়াজ্জেম ভাই প্রথম পুরস্কারটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তার সেই দৌড়ের দৃশ্যটি এখনও চোখে ভাসে। পরবর্তীতে পড়াশুনা শেষ করার পর মোয়াজ্জেম ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় চাকুরি লাভ করে সেখানে চলে যান। বড়ভাইয়ের সাথে তিনি নিয়মিত পত্র যোগাযোগ রক্ষা করতেন। তিনি চিঠিগুলো ইংরেজীতে লিখতেন। লেখার স্টাইল এবং ভাষা বেশ উন্নত ছিল। মাঝে মাঝে বড়ভাই শুধু আমাকে ইংরেজী শেখানোর উদ্দেশ্যে তার চিঠিগুলো পড়তে দিতেন। আমি তখন উচ্চশ্রেণীর স্কুল ছাত্র। তার চিঠিগুলো পড়ে তার প্রতি আমার বেশ সমীহ জাগতো। ২০০০ সালে আমি নিজে যখন চাকুরিরত অবস্থায় সিলেটে বদলি হ’লাম, তখন বড়ভাইয়ের থেকে সামান্য কিছু ক্লু নিয়ে মোয়াজ্জেম ভাইকে খুঁজে বের করি। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে অভিভূত হন এবং আমাকে অনুরোধ করেন, বড়ভাই এবং আম্মাকে যেন ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তার বাসায় একদিন দাওয়াত খেতে যাই। আমি তার সে অনুরোধ রক্ষা করেছিলাম এবং এতদিন পর এমন একটি চমৎকার মিলনমেলার আয়োজন করার জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলাম। পরে একদিন ওনারাও নিমন্ত্রণে আমার বাসায় এসেছিলেন। আজ বড়ভাই এবং আম্মা, উভয়েই প্রয়াত। আমি সিলেট থেকে চলে আসার এবং একই সাথে মোয়াজ্জেম ভাই অবসরে যাওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জানিনা, আজ তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন।
চলবে.....
ঢাকা
২৮ মার্চ ২০২৩
শব্দ সংখ্যাঃ ১৪৭৬
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪