somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মালয়েশিয়া বো'লে ! ....১৪

২২ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Click This Link

পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট

আজকাল কাগজ খুললেই নানা জাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের কথাও শোনা যায়। পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট সব সময় চলে না। পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা যখন বেড়ে যায় তখন সেটা চালিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

আমাদেরকে এমন একটা পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইম ডারবি (মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী) গ্রুপের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পোর্ট ডিকসনে। অর্থাৎ এটি বেসরকারী মালিকানাধীন আইপিপি।


৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাস চালিত (ওপেন সাইকেল)। ১১০ মেগাওয়াটের ৪টি ইউনিট। আমরা যখন যাই তখন পিক আওয়ার ছিলো না বলে কেন্দ্রটি চালু ছিলো না।

কর্মকর্তারা জানালেন, তাদেরকে এটা কখনোই পুরো ক্যাপাসিটিতে চালতে হয় না। একটি বা দুটি ইউনিট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চালান। আগেও উল্লেখ করেছি মালয়েশিয়া বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশ। পিক আওয়ারেও উৎপাদন ক্ষমতার ৪৭% অব্যবহৃত থাকে। পিক আওয়ার শুরু হলে কেন্দ্রীয় লোড ডেসপাস সেন্টার থেকে তাদেরকে কতো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিডে সরবরাহ করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী তারা প্ল্যান্ট চালু করেন।

কন্ট্রোল রুম

প্ল্যান্ট থেকে গ্রীডের পথে

এতো আয়োজন শুধু বিদ্যুতের জন্য !

অন্য আইপিপির মতো এদেরকেও দুইধাপে টাকা পরিশোধ করে টিএনবি (তেনাগা ন্যাশনাল বেরহাড/ন্যাশনাল এনার্জি লি:)। একধাপে দেংয়া হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার জন্য নির্ধারিত অর্থ আরেক ধাপে দেয়া হয় গ্রিডে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে তার বিল।

এই সব দেখি আর আমাদের অবস্থা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলি।

রনহিল গ্রুপ ও চাইনিজ লাঞ্চ

আমাদের নেয়া হলো রনহিল গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান রনহিল বারসেকেতু সেনডিরিয়ান বেরহাডে। এদের অফিস জালান তুন রাজ্জাকের ভিস্তা টাওয়ারে। কোম্পানীর সিইও ইয়াপ ইউন থাই চায়নীজ মালয়েশিয়ান। খুবই সদালাপী। প্রাথমিক আলোচনার পর একজন জেনারেল ম্যানেজার আমাদের ব্রীফ করলেন। পুরো সময় সিইও ছিলেন। প্রায়ই আলাপে অংশ নিচ্ছিলেন।

তারপর আমাদের চাইনিজ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চে দাওয়াত দিলেন। আমরা তো খুশী। মালয়েশিয়ায় চাইনিজ ! মন্দ কী। রেস্টুরেন্টটি অফিসের কাছেই। ঢোকার মুখে দেখলাম ছোট একটা সাইনবোর্ড লাগানো আছে- হালাল আরো খুশী। তারপর যখন খাবার আসতে শুরু করলো তখনতো মুখ প্যাঁচার আকৃতি হয়ে গেলো। সত্যিকারের চাইনিজ। আমাদের দেশে বা ভারতে চাইনিজ নাম দিয়ে মূলত দেশী খাবারই পরিবেশিত হয়। চায়না গিয়ে এর কোন চিহ্নও পাইনি। কিন্তু এটা আসলেই চাইনজ।

এনার দিকে তাকালেই আসল চেহারা খোলাসা হবে।


কী আর করা চপস্টিক নিয়ে নানা কসরত করে সময় কাটালাম। খাওয়া কেমন হয়েছে তা আর বলতে ! পাকিম্তানের ইমরান আহমেদকে দেখুন। পুরা ব্যোম ভোলানাথ ভাবে ডুবে আছেন।

শ্রীলঙ্কার সানজীবাকে দেখে মনে হচ্ছে ভালোই খানাপিনা চলছে।

আয়োজনের কমতি ছিলো না। কিন্তু সেই গানের মতো দশা আমার-লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা। দীর্ঘ সময় লাঞ্চ সেরে প্রায় খালি পেটে বেরিয়ে হালকা নাস্তার সন্ধানে ছুটলাম। কারন পেট তো কথায় ভরে না কিছু পড়তে হবে পেটে।
(চলবে)


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বস্তিবাসী সেই অগ্নিকন্যাকে নিয়ে লেখা একটি কাব্যগাথা

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৫


ঢাকার আকাশ তখন ধুলোমাখা সন্ধ্যার রঙে ছিল ডেকে
বস্তির সরু গলিতে শিশুদের কান্না
নর্দমার স্রোতের মতো দীর্ঘশ্বাস ফেলে
সেই অন্ধকার জন্মঘরে প্রথম আলো দেখেছিল
এক বস্তিবাসী কন্যা শিরিন
এখনো এক অচেনা নাম
যার ভেতর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাবুল আলীই আমাদের বাংলাদেশের প্রতীক

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭



আপনাদের কি এই ছবিটার কথা মনে আছে? এই বছরের শুরুতে চলতি বছরের জানুয়ারীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাংলাদেশের জমিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মানুষ মানুষকে কীভাবে এত অপদস্ত করে এই ব্লগে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪

আমি তো কারও সাতেও নাই পাঁচেও নাই। এত সময়ও নাই মানুষকে ঘাঁটার। ব্লগের ব্লগারদের সম্পর্কেও তেমন কিছু জানি না। তবে পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করা যায় -কে কী রকম। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×