পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট
আজকাল কাগজ খুললেই নানা জাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের কথাও শোনা যায়। পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট সব সময় চলে না। পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা যখন বেড়ে যায় তখন সেটা চালিয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
আমাদেরকে এমন একটা পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইম ডারবি (মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী) গ্রুপের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পোর্ট ডিকসনে। অর্থাৎ এটি বেসরকারী মালিকানাধীন আইপিপি।
৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাস চালিত (ওপেন সাইকেল)। ১১০ মেগাওয়াটের ৪টি ইউনিট। আমরা যখন যাই তখন পিক আওয়ার ছিলো না বলে কেন্দ্রটি চালু ছিলো না।
কর্মকর্তারা জানালেন, তাদেরকে এটা কখনোই পুরো ক্যাপাসিটিতে চালতে হয় না। একটি বা দুটি ইউনিট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চালান। আগেও উল্লেখ করেছি মালয়েশিয়া বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশ। পিক আওয়ারেও উৎপাদন ক্ষমতার ৪৭% অব্যবহৃত থাকে। পিক আওয়ার শুরু হলে কেন্দ্রীয় লোড ডেসপাস সেন্টার থেকে তাদেরকে কতো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিডে সরবরাহ করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী তারা প্ল্যান্ট চালু করেন।
কন্ট্রোল রুম
প্ল্যান্ট থেকে গ্রীডের পথে
এতো আয়োজন শুধু বিদ্যুতের জন্য !
অন্য আইপিপির মতো এদেরকেও দুইধাপে টাকা পরিশোধ করে টিএনবি (তেনাগা ন্যাশনাল বেরহাড/ন্যাশনাল এনার্জি লি
এই সব দেখি আর আমাদের অবস্থা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
রনহিল গ্রুপ ও চাইনিজ লাঞ্চ
আমাদের নেয়া হলো রনহিল গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান রনহিল বারসেকেতু সেনডিরিয়ান বেরহাডে। এদের অফিস জালান তুন রাজ্জাকের ভিস্তা টাওয়ারে। কোম্পানীর সিইও ইয়াপ ইউন থাই চায়নীজ মালয়েশিয়ান। খুবই সদালাপী। প্রাথমিক আলোচনার পর একজন জেনারেল ম্যানেজার আমাদের ব্রীফ করলেন। পুরো সময় সিইও ছিলেন। প্রায়ই আলাপে অংশ নিচ্ছিলেন।
তারপর আমাদের চাইনিজ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চে দাওয়াত দিলেন। আমরা তো খুশী। মালয়েশিয়ায় চাইনিজ ! মন্দ কী। রেস্টুরেন্টটি অফিসের কাছেই। ঢোকার মুখে দেখলাম ছোট একটা সাইনবোর্ড লাগানো আছে- হালাল আরো খুশী। তারপর যখন খাবার আসতে শুরু করলো তখনতো মুখ প্যাঁচার আকৃতি হয়ে গেলো। সত্যিকারের চাইনিজ। আমাদের দেশে বা ভারতে চাইনিজ নাম দিয়ে মূলত দেশী খাবারই পরিবেশিত হয়। চায়না গিয়ে এর কোন চিহ্নও পাইনি। কিন্তু এটা আসলেই চাইনজ।
এনার দিকে তাকালেই আসল চেহারা খোলাসা হবে।
কী আর করা চপস্টিক নিয়ে নানা কসরত করে সময় কাটালাম। খাওয়া কেমন হয়েছে তা আর বলতে ! পাকিম্তানের ইমরান আহমেদকে দেখুন। পুরা ব্যোম ভোলানাথ ভাবে ডুবে আছেন।
শ্রীলঙ্কার সানজীবাকে দেখে মনে হচ্ছে ভালোই খানাপিনা চলছে।
আয়োজনের কমতি ছিলো না। কিন্তু সেই গানের মতো দশা আমার-লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা। দীর্ঘ সময় লাঞ্চ সেরে প্রায় খালি পেটে বেরিয়ে হালকা নাস্তার সন্ধানে ছুটলাম। কারন পেট তো কথায় ভরে না কিছু পড়তে হবে পেটে।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



