তপ্ত দুপুরে জরুরী প্রয়োজনে নীলক্ষেতের একটা দোকানে ঢুকলাম।
মামা ক্যাশ আউট হবে?
-কত মামা?
৩০০ টাকা।
-না।
কেনো মামা? কি সমস্যা?
-খুচরা নাই, দুইশ টাকা হবে?
না, দেড়শ অাছে।
-হবেনা। অন্য দোকানে দেখেন।
পাশের দোকানেও একই ঘটনা। সোজা কথায় জানিয়ে দিলেন পাঁচশর নিচে ক্যাশ আউট হবেনা।
এমন গরমের মধ্যে ব্যাটাদের ত্যাঁদড়ামি দেখে মেজাজটাই বিগড়ে গেলো। আরও একবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাতে বিকাশের দোকান খুঁজতে লাগলাম।
স্টেশনারীর দোকান, মোবাইল রিচার্জ হয়, সাথে বিকাশও আছে দেখে ঘাম মুছতে মুছতে পাশের দোকানটাতেই ঢুকে পড়লাম।
ভাই ক্যাশ আউট হবে?
আবার প্রথম ঘটনার পুনরাবৃত্তি। খুচরা নেই, পাঁচশর নিচে ক্যাশ আউট হবেনা।
(খানিক ভেবে) রিচার্জ হবে?
-কত?
৫০ টাকা।
-নম্বর বলেন।
০১৫....
লোকটা নম্বরখানা উনার খাতায় লিপিবদ্ধ করলেন।
সাথে সাথে আমি আবার বললাম, একটা প্লাস্টিকের স্কেল আর দুইটা ম্যাটাডোর হাইস্কুল কলম দিন ত ভাই।
স্কেল আর কলম প্যাকেট করে দিয়ে টাকা রিচার্জ করবে বলে মোবাইলটা হাতে নিলো। আমি বেশ মনোযোগী হয়ে মোবাইলের দিকে নজর রাখছি। যখনই ওকে ক্লিক করবে তখনি উচ্চস্বরে,
ভাই থামেন।
-কি হইছে ভাই? নম্বর ভুল নাকি?
না ভাই, আসলে আমার কাছে ত একশ টাকার নোট। আপনি ত আবার পাঁচশ টাকার নিচে লেনদেন করেন না। আমাকে খুচরা টাকা ফেরত দেবেন কীভাবে? তাই আর কি। সরি ভাই!
....
রাস্তার একদম শেষ মাথায় চলে এসেছি। লোকটা তখনও হাঁ করে তাকিয়েই আছে।
চোখ দুটো এখনও লাল হয়ে আছে কিনা বুঝতে পারছি না।
ছোট্ট করে একটা চোখটিপ দিয়ে ভিড়ের সাথে মিশে গেলাম।