ব্লগে একেক সময় একেক ধরণে কথা বা ঘটনা নিয়ে ঝড় উঠে যায়- যেন মহাসাগরের কোন ঝড় এসে পরেছে ব্লগে। এই ক’দিন যাবত দেখতেছি আরো একটি বিষয় সেটা হলো- “নারী উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন”। এই নারী উন্নয়নের কথাটি নিয়ে, কেউ এর পক্ষে যাচ্ছে কেউ এর বিপক্ষে যাচ্ছে। কিছু অদম পুরুষেরা নারীদের নিয়ে অহেতুক কথা রুটছে। আমি এটা জানিনা যে- নারী উন্নয় নামের কোন আলাদ শব্দ আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সেটা কোথায় আছে?
হাস্যকর! নারীদের কি আল্লহ আবার নতুন করে আলাদা উন্নয়ন হতে বলছে? তাহলে আমি আগে এটা জানতাম না। আমি তো জানি সৃষ্ট্রিকর্তা নারী-পুরুষদের উন্নয়নের কথা বলেছেন পৃথিবীতে মানবজাতির সৃষ্ট্রির শুরুতেই। মানুষ, আমরা মানুষ তিনি এই রুপে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন কেউ যদি আলাদা করে পশুত্বের পরিচয় দিতে চায় তাহলে তাকে- আমি, এই সমাজ এমনকি সয়ং সৃষ্ট্রিকর্তাও কিছু করার নাই। কারণ সে ব্যক্তি আমার, সমাজের এবং আল্লাহর ক্ষতি করছে না, বরং সে নিজেই নিজের ক্ষতি করছে।
নতুন করে নারী উন্নয়নের কথা উঠেছে। এটা কিন্তু নতুন নয় এটা সেই মানুষ সৃষ্ট্রির শুরুতেই। যুগে যুগে মানুষ নামের কিছু অদম পুরুষ নারীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন করে, ঘরকুনো করে রেখেছে। নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি, নারীদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই থেকেই নারীরা আজকের সমাজে এতো অবেহেলিত, বঞ্চিত। এখনও ঐসব অদম পরুষেরা মনে করে নারীরা কেনো মাথা উচু করে থাকবে। কারণ একটাই ওরা মুর্খ, নির্বোধ জ্ঞানহীন। ওরা ওদের পূর্বপরুষদের নীতি পালন করছে। কিন্তু এই মুর্খ, নির্বোধগুলোরা জানেনা যে আল্লাহ কি বলেছেন।
কোরআনে- সূরা নেসা ৩২ নং আয়াতে লেখা আছে- (তোমাদের একজনের উপর আরেকজনের যা বেশি কিছু দান করা হয়েছে তার উপর অন্যজন লোভ করো না, যা কিছু পুরুষেরা উপার্জন করলো তা তাদেরই অংশ; আবার নারীরা যা কিছু উপার্জন করলো তাও তাদেরই অংশ তাহলে হে পুরুষজাতিরা তোমরা কি বুজতে পারো না যে নারী-পুরুষ এরা উভয় মানুষ। এখানে নারী আলাদ পুরুষ আলাদ কখনোই হতে পারে না। শুধু মাত্র দুটো জাত আলাদা এ ছাড়া আর কিছুনা। যেখানে আল্লাহ তায়লা নিজেই কখনো পুরুষ-নারী আলাদা করে দেখেননি। সেখানে আজকে কিছু অদম্য মুর্খ পুরুষেরা নারীদের বেরিয়ে আসতে দেখে, গা জলে উঠেছে।
আজকে বিশ্বের নারীরা যখন বুজতে পেরেছে যে নারীদের ঘরকুনো করে বন্দী করে রেখেছে পুরুষরা, আল্লাহর কথাকে টপকে ওরা নারীদের প্রতি অন্যয় করেছে। তখন নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য নেমেছে। সেখানে নারীদের তো কোন দোষ নেই। তাই উন্নয়নের কথা আমি মনে করি অহেতুক, এই শব্দ বড়ই বেমানা। এটা নতুন কথা নয় এটা সৃষ্ট্রির শুরুতেই বলা হয়েছে, এবং উভয়কে বলা হয়েছে। যার যার কাজ সে সে করে খাওয়াটাই হলো নিজের জীবনের উন্নয়ন করা।
এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম তার নারী কবিতায় লিখেছেন-
নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পরের যুগে
আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে!
তবে হ্যা নারীরা ভুলটাও করছে সেটা হলো ওরা বেশি উশৃঙ্খলা হয়ে গেছে, এটা ঠিক নয়। এর জন্য নারী তুমিই দায়ী। নিজেকে কন্ট্রোলে না রেখে নিজেকে উপস্থাপনা করছে নরদর্মার মধ্যে। তুমি তোমার সম্মান টাকে রাখতে পারছো না। তাই নারী তোমারও ভুল। তোমাকে আল্লাহ অনেক অধিকার অনেক সম্মান দিয়েছেন তুমি তা ধরে রাখতে পারো না। তোমার সবথেকে বড় ভুল এখানেই।
ছবিগুলো নেট থেকে নেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩