এদিকে সিনেটেও এবার ভালো ফল করেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। রিপাবলিকানদের হাত থেকে তারা ছিনিয়ে নিয়েছে 3টি আসন। 100 আসনের সিনেটে এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছেন 47টি। রিপাবলিকানদের আসন 6টি কমে দাঁড়িয়েছে 49। দুটি আসনে জিতেছেন ডেমোক্র্যাট সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বাকি আছে দুটি আসনের ফল। এর মধ্যে ভার্জিনিয়ার 99 শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জিম ওয়েব প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান রিপাবলিকান সিনেটর জর্জ অ্যালেনের চেয়ে 8 হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। এ আসনে ভোট পুনর্গণনার দাবি তুলেছেন রিপাবলিকানরা। এেেত্র এ আসনের চড়ান্ত ফল ঘোষণায় কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। ভার্জিনিয়ার আইনে দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান এক শতাংশের কম হলে সম্ভ্ভাব্য পরাজিত প্রার্থী ভোট পুনর্গণনার আবেদন করতে পারেন। অন্যদিকে মনটানা সিনেট আসনে 90 শতাংশ কাউন্টির ভোট গণনায় দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাট জন টেস্দ্বার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান রিপাবলিকান সিনেটের কনরাড বার্নসের চেয়ে আড়াই হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। ভোটযন্ত্রে ত্রুটির কারণে এ আসনের চূড়ান্ত ফল পেতে দেরি হচ্ছে। এ দুই আসনের যে কোনো একটি ডেমোক্র্যাটদের দখলে গেলেও সিনেটে উভয় দলের শক্তি হবে সমান।
যে কারণে এই পরাজয় ইরাক যুদ্ধ নিয়ে মার্কিনিদের অসন্তোষই মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয়ের মূল কারণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি ও যৌন কেলেঙ্কারির ইসু্য। এছাড়া বুশ প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিও মার্কিনিদের মনঃপূত হয়নি। বিভিন্ন জরিপে বিষয়টি স্পস্ট হয়ে উঠেছে।
হতাশ বুশ মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভরাডুবিতে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন বুশ। তাৎণিকভাবে তিনি সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। এমনকি জনসমওে আসেননি। তবে তার মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র টনি স্টেস্না এক ই-মেইল বার্তায় বলেন, আমরা ধরে নিচ্ছি যে, ডেমোক্র্যাটরা হাউসের নিয়ন্ত্রণ লাভ করবে। আমরা ইরাক যুদ্ধে জয়ের প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন ইসু্যতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার অপোয় আছি। 'নয়া দিকনির্দেশনা চায় জাতি' এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য এ এক বিরাট বিজয়। এটি স্পস্ট যে, ইরাক যুদ্ধের বিষয়ে জনগণ নতুন দিক-নির্দেশনা চায়। সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা হ্যারি রিড বলেন, জনগণ তাদের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তারা চায় পরিবর্তন। তাদের প্রত্যাশা ও দাবি অনুযায়ী জাতীয় ও ইরাক ইসু্যতে নতুন নির্দেশনা পেতে যাচ্ছেন তারা। গভর্নর পদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর পদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। মঙ্গলবারের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের দখলে থাকা 6টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাটরা জয়লাভ করেছেন। দীর্ঘ 12 বছর পর গভর্নর পদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
ভোট গণনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ব্রায়ান নেইমি বলেন, নিশ্চিতভাবে বলা যায় 50টির মধ্যে 26 কিংবা তার চেয়েও বেশি অঙ্গরাজ্যে জয়ী হতে চলেছি আমরা।
রিপাবলিকানদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অঙ্গরাজ্যগুলো হলো আরকানসাস, কলোরাডো, ম্যারিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস,নিউইয়র্ক ও ওহাইও। প্রবাসী বাংলাদেশীরা খুশি নিউজ ওয়ার্ল্ড জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রায় 99 শতাংশই ডেমোক্র্যাট সমর্থক। ফলে ডেমোক্র্যাটদের বিজয়ে তারা খুবই খুশি। ইমিগ্রেশন ইসু্যতে ডেমোত্রক্র্যাটরা যে উদ্যোগের কথা বলছেন, তাতে অনেকেই উপকৃত হবেন। এটাই বাংলাদেশীসহ ইমিগ্র্যান্টদের খুশির মূল কারণ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



