somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কামিকাজি
আমি একজন নিয়মিত ব্লগার। মুক্তচিন্তার প্রকাশ ও চর্চা করি, গান শুনি, মুভি দেখি, আড্ডা মারি, ঘুরে বেড়াই আর জীবনকে উপভোগ করি। কারন জীবন তো একটাই। facebook.com/kamikaze.agnostic.blogger ব্লগ সাইটঃ thekamikazeblog.wordpress.com

স্রষ্টা আছে নাকি নেই?

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিম্পাঞ্জির ডিএনএ মানুষের সাথে মিলে ৯৬ শতাংশ।

মাত্র ৪ ভাগের পার্থক্যের জন্য শিম্পাঞ্জি পশু এবং আমরা মানুষ।

যদি এই মহাবিশ্বে আমাদের চেয়ে ৪ শতাংশ উন্নত কোন প্রাণী বসবাস করে তাহলে তাদের কাছে আমরাও পশুর সমতুল্য।

আর যদি সেই সংখ্যা ৫০% তে গিয়ে দাড়ায়, তাহলে আমাদের অবস্থান কোথায় ভেবে দেখেছেন?

যেখানে আমাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আমরা আমাদের পৃথিবীর অনেক রহস্যই উদঘাটন করতে পারিনি, সেখানে মহাবিশ্বের সৃষ্টি অথবা রহস্য নিয়ে ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে "আল্লাহ, ঈশ্বর অথবা ভগবানই আমাদের সৃষ্টিকর্তা" এই উপসংহারে চলে আসা অনেকটাই অযৌক্তিক।

ধরুন, আপনি একটা আলাউদ্দিন সুইটসের একটি মিষ্টি খেলেন। আপনার এতটাই ভালো লাগলো আপনি খুঁজে বের করতে চাইলেন এই মিষ্টির কারিগর কে?

অধিকাংশ মানুষই ভাববে যেহেতু মিষ্টির প্যাকেটের গায়ে লেখা আলাউদ্দিন সুইটস সেহেতু তারাই বানিয়েছে।

আবার আমার মত কিছু মানুষ আছে যারা খুঁজে দেখবে আসল মিষ্টির কারিগর কে? আসলেই কি কারিগর একজন নাকি একের অধিক? যদি কারিগরকে পেয়ে যাই, তবে তিনি কিভাবে মিষ্টিটা বানালেন? মিষ্টির উপাদানগুলি কি কি? এমনও তো হতে পারে অন্য কেউ মিষ্টিটা বানিয়েছে কিন্তু আলাউদ্দিন সুইটস নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে?

ধার্মিকদের সাথে আমার পার্থক্য এখানেই।

হয়তো আমার জীবদ্দশায় এই পুরো মহাবিশ্বের স্রষ্টা কে আমার জানা হবেনা, কিন্তু যতদিন না সেই অকাট্য প্রমান আমার সামনে আসবে ততদিন কাউকে আমার স্রষ্টা মানা কঠিন।

ভুল পথে ১০০ মাইল হাঁটার চাইতে দেখে শুনে এক কদম আগানোই কি যুক্তিসঙ্গত নয় কি?

অনেকেই হয়তো বলবেন, সব সৃষ্টির একজন স্রষ্টা থাকে... সব কিছু তো এমনি এমনি তৈরি হয়নি...

আমরা মানুষের মতোই চিন্তা করি বলেই এমন চিন্তা আসছে। এমনটাও তো হতে পারে আমাদের এই মহাবিশ্ব একটি সাগরের একফোঁটা জলকণা মাত্র। এরকম কোটি কোটি জলকণা পাশাপাশি অবস্থান করছে, কিন্তু আমরা এতটাই ক্ষুদ্র যে তা অনুধাবন করতে পারছিনা। সব কিছুরই যে সৃষ্টিকর্তা থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনুকূল পরিবেশ মাটিতে প্রাকৃতিক নিয়মেই গাছ জন্মায়, সেখানে ফুল হয়, ফল হয়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

আবার অনেকেই বলেন, যদি একাধিক স্রষ্টা থাকতো তবে তারা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যেত।

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, যদি কোন সৃষ্টিকর্তা থেকে থাকে, তার অথবা তাদের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তি আমাদের মানুষের চেয়ে লাখ লাখ গুন বেশি। হয়তো তারা আমাদের মতো চিন্তাই করেন না? হয়তো তাদের মধ্যে কোন ক্ষমতার দ্বন্দ্বই নেই? হয়তো এটা শুধুমাত্র আমাদের পৃথিবীর প্রাণিজগতের টিকে থাকার একটি কৌশল মাত্র?

এমনটাও তো হতে পারে ,আমরা তাদের একটি গবেষণা মাত্র ঠিক যেমনটি আমরা পোকামাকড় এবং ইঁদুরের উপর গবেষণা করে থাকি?

আমাদের পূর্বপুরুষদের শুরু ৬ মিলিয়ন বছর আগে। বিবর্তিত মানুষের বয়স মাত্র ২ লাখ বছর। আর আধুনিক মানুষের সভ্যতা মাত্র ৬ হাজার বছরের পুরোনো।

শুধুমাত্র কিছু ঈশ্বরের পত্রবাহক দাবী করা কিছু চালাক মানুষ ও তাদের কল্পনাশক্তি মিশ্রিত বৈজ্ঞানিক ভুলে ভরা রূপকথার গ্রন্থে বিশ্বাস করে যদি আপনি আপনার ধর্মের স্রষ্টার ধারণার উপসংহারে চলে আসেন তাহলে ওরা বলছে চিলে আপনার কান নিয়ে গিয়েছে এবং আপনি সেই চিলের পিছনেই দৌড়াচ্ছেন।

পড়ুন, ভাবুন এবং নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আগে কান অনুভব করে দেখবেন নাকি চিলের পিছনে দৌড়াবেন?

সিদ্ধান্ত আপনার।

মুক্তচিন্তার জয় হোক!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×