somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে...... ১

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুভ,
আমার পিচ্চি ভাইয়া। তোমাকে কখনও এই চর্মচক্ষে দেখিনি। তোমাকে কখনও শুনিনিও। জানিনা তুমি ঠিক কেমন দেখতে! তুমি কি করে কথা বল, কি করে হাঁটো চলো কিছুই জানিনা আমি। তবে এই ব্লগে আমরা আমাদেরকে লেখা দিয়ে, লিখে লিখে কথা দিয়ে একে অন্যকে চিনি। ঠিক সেই ভাবে প্রথম যখন তোমাকে দেখি তখন মনে হলো তুমি চিকনা চাকনা কিছুটা আমার অপু ভাইয়ার মত দেখতে কেউ একজন। পরে অবশ্য ক্ষনিকের জন্য তোমার কোঁকড়া চুলের সত্যিকারের ছবিখানা দেখেছিলাম। ধারনার পুরোই বিপরীত ছিলে তুমি। সে যাইহোক, দেখতে তুমি যেমনই হও সেই দেখাটার আগেই আমি তোমার মনটাকে দেখতে পেয়েছিলাম। সেই মনটা ভরপুর ছিলো টলটলে শুদ্ধ জলে। এতটাই শুদ্ধ জল যে আমি অতি সাবধান হয়ে গেলাম। মনে হলো তুমি বড়ই সযতনে সংরক্ষিত টাইপ একজন। একটু টোকা দিলেই ভেসে যাবে, একটু ঠোকা লাগলেই ভেঙ্গে যেতে পারো এমনই ধারণা হলো আমার। ঐ যে যাকে বলে হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার।

যাইহোক, তুমি বোধ হয় ২০১৬ এর দিকে এই ব্লগে এসেছিলে। এই ৬ বছরে তুমি একটা পোস্টও লেখোনি। তুমি শুধুই একজন নির্ভেজাল পাঠক হিসাবে এই ব্লগে রয়ে গেছো। নির্ভেজাল শুধু পাঠের ক্ষেত্রেই না আসলেই তুমি নির্ভেজাল মানুষও তবে তুমি বেশ ইন্ট্রোভার্ট গুড বয় টাইপ এজন মানুষ। আমার ধারণা তোমার বন্ধু সংখ্যা হাতে গোনা। বন্ধু নির্বাচনে তুমি বড়ই সিলেকটিভ। ভীষন পড়ুয়া ও বাড়ির ছোট ছেলে এবং খুব আদরের। এই রকম বাধ্যগত গুডবয় আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এসবই কিন্তু এই ব্লগ থেকেই পাওয়া। মানে তোমার সাথে আমাদের কথা বার্তার মাঝেই এই সব ধারণা গড়ে উঠেছে আমার।

সে যাইহোক, যদিও তোমাকে পর্যবেক্ষন করে এবং তোমার ব্লগ ইতিহাসও পর্যবেক্ষন করে আমার মনে হয়েছে তুমি গল্প প্রিয় একজন মানুষ। তুমি হেনাভাইয়ার গল্পগুলো খুব পছন্দ করতে। এছাড়াও তুমি সামু পাগলার আড্ডাঘরের একজন নিয়মিত আড্ডাবাজ ছিলে। যদিও বাস্তবে তুমি মোটেও আড্ডাবাজ মানুষ নও। তুমি কিন্তু দারুন কৌতুহলী সে কথা তোমার আড্ডা দেবার টপিক এবং গল্পগুলোয় করা সকল মন্তব্যে প্রকাশ্যমান। আচ্ছা এতগুলো দিনে তুমি কখনও একটাও পোস্ট লিখলে না কেনো বলো তো? যদিও আমার কেনো যেন মনে হয় তুমি খুব প্রথমে একটা পোস্ট লিখেছিলে আর সেই নিকটার নাম ছিলো আমি এক দুঃখওয়ালা। হা হা কি! চমকায় উঠলে! ভাবছো এমন মনে হলো কেনো আমার? হা হা আমার এমনই অনেক কিছুই মনে হয়। তা আবার সত্যিও হয়ে যায়। :P


আচ্ছা তোমার কি মনে আছে তুমি এই ব্লগে প্রথম কমেন্ট কোথায় করেছিলে? কত তারিখ ছিলো সেটা। সেটা কি ৩রা অগাস্ট ২০১৬ ছিলো? মনে করে দেখো তো? যাইহোক তুমি তোমার এই নিকের ব্লগ জীবনে প্রায় ৩০০০ মন্তব্য করেছো। তার অধিকাংশই ছিলো সামু পাগলার আড্ডাঘরে। জানো সামু পাগলার কারনেই যে তুমি আমাকে চিনলে মাানে সামু পাগলার আড্ডাঘরে পুলকভাইয়াকে অনুসরন করে। কারণ সামু পাগলা যদি কবিতা আপু আমার জড়ুয়া বেহেনাকে না চিনিয়ে দিত আর পুলক ভাইয়া তোমাকে না বলতো তুমি কোনোদিনও আমার পোস্টে আসতে না। এই ব্লগে তোমার জন্মের ডাবল বয়স আগে থেকে আমার জন্ম! অথচ এত পোস্ট দিলাম তুমি কোনোদিনও ফিরেও দেখলে না!! :(

ওহ হ্যাঁ মনে পড়েছে ২০১৭তে আমার বালী সফরের পোস্টে ঢুকেছিলে তুমি। যাইহোক সামু পাগলা আর পুলকভাইয়ার কারণেই তুমি কবিতার আপুর চিলেকোঠায় বেড়াতে গিয়েছিলে। আর সেখানে যাবার পর একজন ডাকিনী যোগিনীর ফেরে পড়ে গেলে।চিলেকোঠাতেই বন্দী হয়ে গেলে তুমি। হা হা হা হা জানো একটা কথা মনে পড়ে গেলো। একবার একজনকে ভয় দেখাতে বলেছিলাম মানে ঝগড়া লাগার পরে বললাম, ভুডো চিনিস? তারপর বলেছিলাম আই এ্যাম হোল্ডিং আ ভুডো ডল......সে তার আগে অনেক লম্ফ ঝম্ফ মারছিলো আমাকে ভয় দেখাতে। তো আমি ঐ কথা বলার পরে সে মহা খেপে গেলো আর তার খেপার কারণই ছিলো ভয়। শুধু ভয় না মহা ভয়! হা হা হা সেই হাজার মাইল দূরে বসা অদেখা অজানা মানুষটার কি সে ভয়। ধরেই নিলো আমি ভুডো জানি। হা হা হা তার নাকি কেমন কেমন শরীর খারাপ হচ্ছিলো আমি ঐ কথা বলাতে। ভাবলে আজও হাসি পায় আমার।

যাইহোক তুমি আজ বললে আমি নাকি তোমাকে কালো যাদু করেছি আমার লেখা দিয়ে তাই তুমি আমার লেখার ফেরে পড়েছো। হা হা হা ওহ যা বলছিলাম সামু পাগলা আমার ঐ সিরিজ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলো তুমি বুঝি সেখান থেকেই আমাকে খুঁজে পেয়েছিলে।
১১. ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২০
কাল রাতেই সবগুলো পর্ব পড়েছিলাম। রাতের দিকে মানুষের আবেগ কি একটু বেশী থাকে। আপনার লেখা পড়ে একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। মনে হচ্ছিল কোন একজন অদৃশ্য মানুষ তার শব্দের জালে ফেলে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদের কথা বলতে পারবো না। আমি সচরাচর গল্পের বই পড়ি না বলে হয়ত আমার উপর এর প্রভাবটা একটু বেশী হতে পারে। এনি ওয়ে একবার যখন পড়া শুরু করেছি শেষ পর্ব অবধি না পড়ে নিস্তার নেই।এই লেখা পড়ার কথা সুপারিস ছিল। কিন্তু আমি দ্বিধায় ছিলাম। এই সিরিজ গল্প পড়ার চক্করে পড়বো কিনা। সেই সংশয় দূর করেছেন ব্লগার পুলক ভাই। নজরে পড়লে কোন লেখায় উনার কমেন্ট সাধারণত আমি পড়ি। @পুলক ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট অনুসরণ না করলে এই সুন্দর লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত থাকতাম।
লেখিকা আপনার লেখা পড়ে আমি স্পেলবাউন্ড!
এমন মন্তব্যে লেখিকার কি হয়? সে সেই জান আর তার মন জানে আর কারো জানা সম্ভব নয়। যাইহোক আমি উত্তর দিয়েছিলাম,
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮১
এমন কমেন্টগুলি পড়ার পর বুকের মধ্যে একটা সুশীতল স্নিগ্ধ হাওয়া বয়ে যায়। জানিনা হুমায়ুন আহমেদ, রবিঠাকুর, নজরুল বা বড় বড় লেখক সাহিত্যিকদের কেমন অনুভূতি হত তবে আমার অনুভূতিও ভাষায় প্রকাশ করবার নয়।
আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো? ভালোবাসা বা কৃতজ্ঞতা জানাবো তাও জানাবার ভাষা নেই শুভ ভাই।
শুধু দোয়া করি অনেক ভালো থাকেন। আনন্দে আর সাফল্যে থাকেন।

হা হা নিজের কমেন্ট পড়ে হাসছি নিজেই এখন। কি ভালামানুষ সেজে তোমাকে যে আপনে আজ্ঞে করছিলাম। হা হা আসলে আমি ধরা পড়তে চাচ্ছিলাম না। আপন মনে বসে বসে লিখতে চেয়েছিলাম চিলেকোঠার গল্প। যাইহোক, তুমি ঐ গল্পে ঢুকে যাচ্ছিলে। মানে গেছিলে আমার সাথে সাথে মানে আমিও একই কাজ করি যেই গল্পই লিখি সেই মেয়েটাই আমি। তবে হ্যাঁ সকল গল্পেই কোনো না কোনো ভাবে আমি তো ছিলামই এবং আছিই। তবুও গল্প তো গল্পই তাই নয় কি?? যাইহোক তুমি আমাকে এক কমেন্টে বললে তুমি এই গল্পের সত্যটা জানতে চাও। গল্পের সত্যতা নিয়ে যদি বলি সে আরেক গল্প হয়ে যাবে। যদিও তুমি শেষে এসে আমার উপরেই ছেড়ে দিয়েছিলে সত্যটা জানাবো কিনা। আসলে কি জানো তুমি সত্যটা জানতে চাওনি নিজেই। তুমিও চিলেকোঠার ঘোরেই থাকতে চেয়েছিলে। সেই রেশ কাটাতেই চাওনি। সত্যিটা বলতে বড় ইচ্ছে করে কিন্তু ভয় হয়। কি ভয় জানো? রেশ কেটে যাবার ভয়। হা হা হা
তোমার আরেক মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ-
২২. ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই গল্প পড়তে আইসা পুরাই ধরা খাইয়া গেলাম। সারাক্ষণ এই চিন্তায় বুঁদ হয়ে আছি। আপনি কতগুলো মানুষকে নিয়ে খেলছেন। আপনার বিরুদ্ধে কেস করা উচিত। হা হা হা ......... মজা করে বললাম মাইন্ড কইরেন না প্লীজ।
১৮. ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি আর এই চাপ প্রলম্বিত করতে চাচ্ছি না। এর একটা হেস্তনেস্ত হওয়া উচিত। যত সত্বর এই চাপ থেকে বের হতে পারবো ততই আমাদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারবো। তার উপর আমি আবার দুর্বল চিত্তের মানুষ। আবার করোনা কাল চলছে। তারও একটা চাপ আছে। আর চাপ নিতে পারছি না। লেখিকা রহম করেন। হা হা হা হা রাজীবভাইয়াও রেগে মেগে বলেছিলো আমি নাকি ইমোশন নিয়ে খেলছি পাঠকদের। :P যাইহোক আমার লেখার এমন অন্ধ ভক্ত আসলে কমই আছে। তুমি যেভাবে আমার লেখায় নিজেকে বিলীন করে দিলে। তুমি যখন বললে, আমরা আপনার লেখার ফ্যান কবিতা পড়ার প্রহর। ধারাবাহিক হলেই ভাল হবে বলে আমি মনে করি। আপনার লেখা পড়ে আমাদের সময়টাও ভাল কাটে এবং আমরা ঋদ্ধও হই। তবে আমি বানোয়াট গল্প পছন্দ করি না। মানে ২০% সত্য আর ৮০% বানোয়াট। হা হা হা......


তখন তো আমার মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়লো! হায় হায় কি বিপদ...... :( তুমি যা পছন্দ করো না তা কি আমি করতে পারি পিচ্চু!! এমন পাঠক কোথায় পাবো? যে আমার প্রতিটি শব্দ, বাক্য, দাঁড়ি কমা প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করে! তবুও ভয়ে ভয়ে কিন্তু মুখে মারি বিদ্যায় লিখলা,
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৪০
হা হা তাইলে তো বিপদ। গল্প যদি ৮০/৯০ সত্যই হবে তবে তো জবানবন্দী হয়ে যাবে। গল্প হবে না।
তবে হ্যাঁ কোনো গল্পই কখনও একেবারেই মিথ্যে কিছু থেকে আসতে পারে না.......
মানুষের জীবনের চলার পথে ঘটে চলা নানা ঘটনাগুলি থেকেই আসে।
আমি আমার লাইফে যা কিছু লিখেছি সেসবও ঠিক এমনই কিছু তবে ছোট্ট একটা ঘটনা থেকেও আমি অনেক বড় কিছু ভেবে ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেখে শিখে গেছি । সেই জগতে নিজেই হাসতে পারি কাঁদতে পারি। মানে যাকে বলে তিল থেকে তাল.....

সবচেয়ে ভয়ংকর মন্তব্য ছিলো-
২০. ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৯০
আরো একখান প্রশ্নে আছে হা হা হা......"চিলেকোঠার প্রেম" গল্পটা কত পারসেন্ট সত্য?
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৫০
লেখক বলেছেন: ৮৯%
হা হা কোনটুকু ১১% সত্য সেটা এখন বলা যাবে না...
২২. ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩২০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: ১১% সত্য
I will crucify you. হা হা হা... আমি সত্য জেনে পড়েছি। পাঠকের সাথে ছলনা করা ভাল না। ...
২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৮০
আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম!! তাড়াতাড়ি লিখলাম - না ১১% সত্য না। ৮৯% সত্য
হা হা হা হা হা হা এমন কত শতই মজার স্মৃতি নিয়ে লেখা আমার চিলেকোঠার প্রেম।
১৭. ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলে পাঠকদের নিয়ে খেলতে চাইছেন।
Q & A পর্বে এই প্রশ্ন সামিল করবেন। আপনার লেখায় বুঁদ হয়ে আমার দৈনন্দিন কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটেছে। কনসেন্ট্রেশনের প্রবলেম হয়েছে। এইগুলোর জবাবদিহি আপনাকে করতে হবে।
আমিও উত্তর দিলাম আমার বুঝি ব্যাঘাত ঘটেনি ? কত কাজ বাদ দিয়ে তেপান্তরের মাঠে বধু হে একা বসে লিখি
১৬. ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বিকেলের দিকে বাড়িতে এসে, নিজের ঘরে ঢুকে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়ে নিজেকে যেমন হালকা লাগতো, সাথে এক ধরনের শূন্যতাও অনুভব করতাম, এখন 'চিলেকোঠার প্রেম' এর শেষ পর্ব পড়ে ঠিক তেমনই লাগছে। বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে ভাবতাম আহা দুই একটা সাবজেক্টে আরও একটু ভাল দিতে পারতাম। চিলেকোঠার প্রেম সম্পর্কেও হয়ত একই কথা খাটে। জঙ্গলে যেমন হঠাৎই করেই জুম করে সন্ধ্যা নামে, চিলেকোঠার প্রেমও ঠিক তেমনি হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল। আরও একটু সফট ল্যান্ডিং হতে পারতো। কিন্তু না আর নিতে পারছিলাম না। মাথার উপর লোটকে থাকা ঝুলন্ত খড়গটা...... আনবেয়্যারঅ্যাবল ছিল। দুই পর্ব আগে আর পরে যে লাউ সেই কদুই তো হত।শেষ পর্যন্ত তোমার কমেন্ট ছিলো - দারুণ একটা উপন্যাস পড়লাম। লেখিকা আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার কল্যাণ হোক। :)


এই সব সুখ দুঃখ হাসি কান্না এই সব দিন রাত্রী নিয়েই তুমি আমার শুভ ভাইয়া। অনেক অনেক পিচ্চু একটা ভাইয়া হবে। যে কিনা হয়ত কেবলই এইচ এস সি দিয়ে গ্রাজুয়েশন করতে অস্ট্রেলিয়া গেছে। অথবা মাস্টার্স পড়ছে। তবে দেশে পড়ে আছে তার ১০০% হৃদয়। ভাই ভাবী এবং ক্ষুদে ভাতিজার জন্য যার প্রাণ কাঁদে। এই ক্ষুদেটা এই পিচ্চু ভাইয়ার কলিজা জুড়ে আছে ৯০% আর বাকী ১০ এ ৫% মিররমনি আর ৫%আমি তাইনা??? হা হা হা

কত কিছুই লেখার ছিলো। সব লেখা হলো না। সামু পাগলা হারিয়ে গেছে। আমরাও হারিয়ে যাবো একদিন। তবে একটু চোখ বন্ধ করে মন দিয়ে তাকিয়ে দেখো তো। সামুপাগলা কি আছে নাকি আমাদের কারো মাঝেই? তোমার বা আমাদের আশেপাশেই? একজন কে যেন বলেছিলো চেনা মানুষের গন্ধ পাওয়া যায়।

যাইহোক অনেক ভালো থেকো। অনেক বড় হও। এই আজকের দিন আজকের ক্ষন থাকবে না চিরদিন। শুধু এই স্মৃতি রয়ে যাবে যতদিন বেঁচে থাকবো আমরা। হাজারও কাজের ভীড়ে খানিক অবসরে হঠাৎ মনে পড়ে যাবে টুকরো টাকরা স্মৃতিগুলি।

আমি তো রব না চিরদিন রবে না এই ক্ষন.....
হারানো স্মৃতিটির ছবি যে রবে গো তখন .......
যখনই দেখবে আমারই চিঠি,
মনে যে পড়বে কত কথা...... হা হা হা :P

কবিতা আপা...... :)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬
৪৩টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×