আমরা সবাই জানি আসলে আমার কি। আমার জানি বঙ্গবন্ধু কন্যার চাইতে কেউ দেশকে বেশি ভালোবাসতে পারবে না বা দেশ ভালো চালাতে পারবে না। আমরা জানি দশ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, এখন কোথায় আছি। আমরা এও জানি, কোন সরকারই বিতর্কের উর্দ্ধে নয়। দল ক্ষমতায় থাকলে দলিও লোকজন সুযোগ নেবেই। কেউ আকাশ থেকে নেমে আসে নাই। আমরা চাই দেশ প্রেমিক লোকজন দেশ চালাক।
আমরা জানি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলে পিছন থেকে অনেকে অনেক কিছু বলবে। যারা নেতৃত্ব দেয় তাদের কে তা পজেটিভলি নিতে হবে। সামনে আগাতে হবে। নিশ্চয়ই ভিন্ন মতাবলম্বীদের গলা চেপে ধরা উচিত হবে না।
ড. কামাল হোসেন একজন দেশ প্রেমিক। ইতিহাস সেটাই বলে এবং নিশ্চয়ই উনি শ্রদ্ধেয়। আমাদের উচিৎ নয় থাকে অসম্মান করা।
আমরা চাই একটি স্বাধীন দেশে সবার কথা বলার সমান সুযোগ থাকবে। ভিন্নমতাবলম্বীর প্রতি সম্মান দেখানো সাবার উচিৎ। আমরা জানি যেখানে বিরোধী দল থাকবে না সেখানে সঠিক নেতৃত্ব গড়ে উঠবে না। আমাদের উচিৎ নয় কারো মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা।
জনাব কামাল হোসেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। উনি উনার আদর্শের জায়গাই আছেন। সাথে কয়েকটা দল নিয়ে জোট করেছেন যেখানে জামায়াতের সরাসরি অংশগ্রহণ নাই। সাথে আছে বিএনপি এবং এরাই জামায়াত কে আশ্রয় দিয়েছে। সেটা আমরা জানি। আমরা এও জানি অতীতে বর্তমান সরকার ও জামায়াতের সাহায্য নিয়েছিল।
জনাব কামাল হোসেন কে এই ভাবে প্রশ্ন করে বিব্রত করা উচিৎ হয়নি। সংবাদ পত্র হচ্ছে চলমান ইতিহাসের ধারক। ইতিহাস সঠিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। ভুল ইতিহাস আমাদের কে ভবিষ্যতে ভুল বার্তা দেবে। আমরা পথ হারাবো। সঠিক এবং নিরপেক্ষ সংবাদ কাম্য। কাউকে বিরক্ত করে, মেজাজ হারিয়ে দিয়ে সংবাদ শিরোনাম করা অনুচিত বলে মনে করি।
যারা মনে করেন এসব করে সরকারের আস্থা অর্জন করবেন তারা আসলে সরকার কে বির্তকীত করার চেষ্টা করছেন। আপনারা সঠিক চিত্র তুলে ধরেন, নিশ্চয়ই সরকার উপকৃত হবে। আপনাদের জন্য দেশ সেবার পথ অনেক প্রশস্থ। লিখুন দূর্নীতি নিয়ে, খাদ্যে ভেজাল নিয়ে, চিকিৎসা সেবা নিয়ে, যারা সরকারী টাকা অপচয় করে তাদের নিয়ে। এতে নিশ্চয়ই সরকার প্রধান উপকৃত হবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



