এটি একটি পোষ্টের উত্তর হিসেবে লিখেছি। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তাই পোষ্ট আকারে লিখলাম।
কোথায় যেন পড়েছিলাম দুনিয়াতে তিন ধরণের মানুষ আছে।
১.যারা সত্য কথা বলে
২.যারা মিথ্যা বলে এবং
৩.যারা সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে বলে।
সবচেয়ে বিপদজনক মানুষ হল শেষের জন অর্থাৎ যারা সত্য মিথ্যা মিশিয়ে বলে। কেননা বেশিরভাগ সময়ে তাদের কোন কথা সত্য বা কোনটা মিথ্যা তা ধরা যায় না।
মিলাদ,৪০শা সম্পর্কে ইসলামে কোন নির্দেশনা নেই।তাই এটি পালন করা সামাজিকতার খাতিরে ঠিক হলেও বাধ্যতামুলক নয়। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে আপনি সত্য বলেছেন।
মিনহা খালাকনাক্বুম অফিহা নুইদুক্বুম অমিনহা নুখরিযুক্বুম তারাতান উখরা। (২০: ৫৫) অর্থ: আমরা তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং উহাতেই ফিরিয়ে দেই এবং উহা থেকেই আবার(পুন) বের করি।
>>এই আয়াতের অর্থ আপনি ভূল ব্যাখ্যা করেছেন।কোরান শরীফ আল্লাহর বাণী তাই কোরানের প্রতিটি বাণী আল্লাহর।উক্ত আয়াতের সঠিক অর্থ হবে
আমি(আল্লাহ) তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং উহাতেই ফিরিয়ে দেই এবং উহা থেকেই আবার(পুন) বের করি
এখানে লেখক(ম জ বাসার) আধা সত্য কথা বলেছেন।
তাদের কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তাদের জন্য ‘জানাযার সালাত পড়বে’ না এবং উহার কবর-পার্শে দাড়াবে না (কবরস্থ করতে যাবে না); উহারা তো আল্লাহ য়ো তার রাছুলকে অস্বীকারী পাপাচার অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।(৯: ৮৪)
>>এখানে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের জানাযার নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে সবার নয়।অর্থাত আবার সত্য-মিথ্যার মিশ্রন।
* রাছুলসহ ৪ খলিফার লাশ মোবারকের প্রচলিত নিয়মে জানাযার নামাজ পড়ছিল কি না! সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়োয়া দরকার। কারণ কথিত হয় রাছুলের মৃত্যুর পর সাহাবাদের মধ্যে ঝগড়া ফাসাদের কারণে ৩দিন পর্যন্ত লাশ মোবারক গোরস্থ করা হয়েছিল না।
>>কথিত কথার উপর ফায়সালা দিয়ে দিলেন?কেন জানাজার নামাজে দেরি হয়েছিল?কারণটা হল সেই সময় ইসলামের নতুন খলিফা নির্বাচনের কাজ হয়েছিল।কেননা জানাজার নামাজের হল ফরজে কেফায়া আর ইমাম ঠিক করা ফরজে আইন।তাছাড়া ৩দিন দেরি হবার স্বপক্ষে কোন দলিল নেই।
* শাহদাতপ্রাপ্ত ৩য় খলিফা উসমানের লাশ গভীর রাতে গোপনে গোরস্থ করে।
>>গভীর রাতে গোরস্থ হয়েছে ভাল কথা কিন্তু জানাজা পড়া হয় নি এমন কথা তো কোথাও নেই।পরিস্থিতির কারণে রাতে দাফন করা নিষেধ নাকি?
* ৪র্থ খলিফা আলীর লাশ ঝগড়া/ফাসাদের কারণে গোরস্থ না করে লাশ উটের পিঠে নিরুদ্দেশে পাঠান হয়-।
>>তাই নাকি?প্রমাণ কোথায়?নাকি এটাও কথিত?
* সৈনিকদের লাশের জানাযার দরকার হয় না কেন? ইমাম সাহেবের মৃত্যুর ভয়??
>>যুদ্ধাবস্থায় জানাজার নামাজ পড়ানো হয় না সঠিক কারণ তখন যুদ্ধ হচ্ছিল।যুদ্ধ শেষে সব লাশ একত্রিত করে একসাথে জানাজার নামাজ পড়ানো হয়। যদি লাশ পাওয়া না যায় বা জানাজা ছাড়া দাফন করাও হয় তবেও গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়া হয়।
অর্থাৎ আবার একটু সত্য বলে বাকীটা গোপন করেছে।
বাইরের ইদুর বেড়া কাটে না, ঘরের ইদুর ই কাটে --বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। তেমনি ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু হল মুসলমানধারী কিছু বেইমান মানুষ।তা নাহলে ১৫০কোটি মুসলমান হয়েও তারা কেন পরাজিত হচ্ছে?
আরও বড় কারণ হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে না জানা।যেখানে নাস্তিকরা কোরান পড়ে তার ভূল বার করার চেষ্টা লিপ্ত সেখানে আস্তিকরা শুধু বিশ্বাসের জোড়ে কথা বলে।না জানার কারণে তাদের এই বিশ্বাস হয় বালু বাড়ির মত।
লেখকের বিনীত শব্দ ব্যবহারে মনে হচ্ছে গরু মেরে জুতা দান করছেন।
উক্ত পোষ্টটি আমি রিপোর্ট করেছি।
আল্লাহ আমাদের সকল বিভ্রান্ত থেকে সুরক্ষা করুন। আমীন।