খুব সাধারন আমি। খুব সাধারন আমার দিন গুলি। দিনলিপি লেখার অভ্যাস ও ইচ্ছে দুটোই আছে কিন্তু আলসেমি আর সময়ের অভাবে নিয়মিত লেখা হয় না। তাছাড়া মনমানসিকতাও সবসময় লেখার মত থাকে না। তাই আমার দিনলিপি গুলো শীতের বাতাসে উড়ে যাওয়া ঝরা পাতার মত।
দূর্ভাগ্যবশত আমি এখনও ছাত্র আর আমার সৌভাগ্য যে আমি লেখাপড়াটা চালিয়ে যেতে পারছি। আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে এই মাসেই আমি হারিয়ে যেতে বসেছিলাম আর এই মাসেই আমি ওকে পাই। যার কারনে আমি আবার লড়াই করার মানসিকতা ফিরে পেয়েছিলাম। যাকে আমি আমার জীবন জানি যদিও আমি ওর কাছে হয়ত কখনই বন্ধু হতে পারবো না। এলোমেলো লাগলেও এটাই আমার সুখ আর এটাই আমার কষ্ট। যখন আমি পথ হারিয়ে অজানায় ছিলাম তখন ওই আমাকে রাস্তা দেখায়। আজ সেই রাস্তার শেষ প্রান্তে। আমি স্নাতক শেষ করতে চলেছি। নতুন একটা পথ হয়ত আমি নিজেই খুজে নিতাম, নিতে হত জীবনের প্রয়োজনে। কিন্তু আজ আমি অনেক অনেক খুশি কেননা ও পুনরায় আমাকে একটা লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে মনে মনে আমিও ঠিক এটাই করতে চেয়েছিলাম। তাই তো আমার এটা দ্বায়িত্ব ও যেন ঠিক দিশায় যেতে পারে তার খেয়াল রাখা। এবং এটা আমার খুব পছন্দের কাজ। আমি যেমন ওর কোন কথা ফেলতে পারি না তেমনি ও নিজেও আমার ইচ্ছের অমতে কিছু করে না। না পাওয়ার এই দুনিয়ার এর বেশি আশা করা বোকামি।
লিখছি আমি কেউ পড়বে বা কেউ বাহ বা দিবে তার জন্য নয়। লিখছি আমি নিজের জন্য। আমি সাহিত্যিক নই, প্রেমে পাগল কোন কবিও নই আমি আমার খেয়ালে চলা একলা এক পথিক। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে কিন্তু কেউ কিছু না বললেও কিছু আসে যায় না। অনেকটা পথ একা পেরিয়ে এসে একটু হয়ত হাতছানি পেয়েছি। সে হাত ধরবে কিনা জানি না কিন্তু আশাটুকু তো পেয়েছি। মূল্যহীন এই প্রানে এটাই অনেক বেশি অমূল্য। প্রাপ্তি হয়ত ক্ষণিকের কিন্তু তার রেশটা বয়ে যেতে চাই আমৃত্যু।