Click This Link
কিছু বড় বড় মোহাজির হযরত আবু বকরের হাতে বায়াত হননি।
মুহাম্মদ হুসাইন হায়কল এর লেখা "হযরত আবু বকর" নামক গ্রন্থে আমরা এটা দেখতে পাই। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন এ. বি. এম. এ. খালেক মজুমদার। আর 1991 সনের ডিসেম্বর এ 25,শিরিশ দাস লেন, বাংলা বাজার, ঢাকা -1100 থেকে 'আধুনিক প্রকাশনী' বইটি প্রকাশ করেছে। বইটির পৃষ্টা নং 86 থেকে 91 পর্যন্ত নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
কিছু বড় বড় মোহাজির বায়াত গ্রহণ করেন নি:
........... মোহাজির ও আনসারদের কিছু সংখ্যক লোক হযরত আবু বকরের (রা.) বায়াত গ্রহণে শামিল ছিলেন না। বরং তাঁদের ঝোঁক ছিল হযরত আলী (রা.) বিন আবু তালিবের প্রতি। এঁদের মধ্যে আব্বাস (রা.) বিন আব্দুল মোত্তালিব, ফজল (রা.) বিন আব্বাস, জোবায়ের বিন আওয়ান বিন আস। খালিদ বিন সাঈদ, মেকদার (রা.) বিন ওমর, সালমান ফার্সি, আবুযর গিফারী (রা.), আম্মার (রা.) বিন ইয়াসের, বাররা বিন আজেব, উবায় বিন কা'বও শামিল ছিলেন। ...........
বিরোধীদের সম্মেলন:
হযরত আবু বকর (রা.) হযরত ওমর (রা.) এ সম্মেলনের খবর পেয়ে কিছু লোক সাথে করে হযরত ফাতেমার (রা.) ঘরে হাজির হয়ে আক্রমন চালালেন। হাতে তরবারি নিয়ে হযরত আলী (রা.) ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে হযরত ওমরের (রা.) সাথে তার প্রথম টক্কর লাগে। হযরত ওমর তাঁর তরবারি ভেঙে ফেলে অন্যান্য সংগীসহ ঘরে ঢুকে পড়লেন, এতে হযরত ফাতেমা (রা.) ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বললেন -"তোমরা আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যাও। তা নাহলে আমি, আল্লাহর কসম করে বলছি, আমার মাথার চুল ছিড়ে ফেলব। তোমাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করব।"...................
বায়াত অস্বীকারের বিখ্যাত বর্ননা :
............ হযরত আলী (রা.) থেকেও বায়াত গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিন অস্বীকার করে বলেন -"আমি তোমার বায়াত গ্রহণ করবো না। কেননা আমি তোমার চেয়ে খিলাফতের বেশী হকদার। আমার হাতে তোমাদের বায়াত গ্রহণ করাn1 উচিত ছিল। তোমরা রাসূলের (সা.) নিকটাত্মীয়। আর নিকট আত্মীয়রাই খিলাফত পাবার যোগ্য। এ কথা বলেই তো আপনারা আনসারদের হাতে বায়াত গ্রহণ করেননি। এ নীতিমালা অনুযায়ীই তো খিলাফতের দ্বায়িত্ব আমার হাতে ন্যাস্ত করা আপনাদের উচিত ছিল। কিন্ত আপনারা রাসূলের বংশধর থেকে খিলাফতকে ছিনিয়ে নিয়ে জবর দখল করেছেন। আপনারা কি আনসারদের নিকট এর দলিল পেশ করেননি যে, আমরা খেলাফতের বেশী হকদার। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন আমাদের মধ্য হতে। এ কারণেই আপনারা এখন আমাদের আনুগত্য করেন এবং খেলাফতে আমাদের হক ছেড়ে দিন। আনসারদের নিকট আপনাদের পেশকৃত দলিল অনুযায়ী আমিও এখন আপনাদের কাছে দলিল পেশ করছি যে, আমি আপনাদের চেয়ে বেশী রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকটাত্মীয়। তাই খিলাফত আমার প্রাপ্য। আপনাদের যদি সামান্য ঈমানও থাকে তাহলে ন্যায়সংগতভাবে খিলাফত আমার হাতে ছেড়ে দিন। আর যদি জালেম হতেই পছন্দ করেন তাহলে যা খুশী তা-ই করুন। এতে আপনারা স্বাধীন।
এসব কথা শুনে হযরত ওমর (রা.) জবাব দিলেন -
"বায়াত গ্রহণ না করা পর্যন্ত আমি আপনাদের ছাড়বো না।" এতে হযরত আলী (রা.) ভীষণ রেগে গেলেন এবং বলতে লাগলেন -'ওমর তুমি বেশ আনন্দ করে দুধ দোহন করছো। এতে তোমার অংশ আছে। খিলাফতের ব্যাপারে তুমি আজ আবু বকরের সাহায্য করছো। কেননা কাল খেলাফত তোমার কাছে ফিরে যাবে। আমি তাঁর হাতে কখনো বায়াত গ্রহণ করবো না।