(ক) নীচে একটি হাদীস তুলে ধরছি। হাদীসটি সহীহ্ আল বুখারীতে ষষ্ঠ খন্ডে বর্নিত হয়েছে। হাদীস নং 6165 এবং তা প্রকাশিত হয় 1991 সনে জুন মাসে আধুনিক প্রকাশনী হতে।
"ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রসুল (সা.) এক অভিযানে কিছু সংখ্যক সৈন্য পাঠালেন এবং উসামা ইবনে যায়েদকে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। কিন্তু কোন কোন ব্যক্তি তার নেতৃত্বে আপত্তি তুললেন। এর পর রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে বললেন, আজ যদি তোমরা তার নেতৃত্বের উপর আপত্তি উত্থাপন কর (এটা আশ্চর্যের কিছু নয়, কেননা) এর পূর্বে তোমরা তার পিতার নেতৃত্বের ওপরেও আপত্তি তুলেছিলে। আল্লাহর শফথ! তার পিতা ছিল এ নেতৃত্বের যোগ্যতম ব্যক্তি এবং সে ছিল আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়।"
(খ) এবার "সাইয়েদুল মুরসালিন" নামক গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ড থেকে উদ্ধৃত করছি। গ্রন্থটি
লিখেছেন "আব্দুল খালেক এম, এ"। আর 1986 সালের মে মাসে বায়তুল মুকররম, ঢাকা -2 থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলদেশ গ্রন্থটির তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশক করে। এ উদ্ধৃতিটি দেওয়া হলো 1110 পৃষ্ঠা থেকে।
....... রোম সম্রাটের তপ্তরূধির পূর্ব হইতেই মাথাচাড়া দিয়া রহিয়াছিল। এই সংবাদ শ্রবণ করিয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) সেখানে একটি খন্ড বাহিনী প্রেরণ সমীচীন মনে করিলেন। ইহার ভার অর্পিত হইল অদ্ভুত ধীশক্তিসম্পন্ন পালক পুত্র হযরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) এর উপর। তিনি তখন সবেমাত্র সতের হইতে বিশের কোঠায়। বাহিনীতে ছিলেন মুজাহিদবৃন্দ, প্রথিতযশা আনসারগণ আর প্রাথমিক মুহাজিরীন; এমনকি হযরত আবু বকর, হযরত ওমর, আবু ওবায়দা-আলজাররাহ, সায়াদ-বিন-আবুওক্কাস (রা.) এর ন্যায় বিরাট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিগণও ঐ বাহিনীতে ছিলেন। .......
...... প্রভাতের অন্ধকারে আকস্মিক আক্রমণ চালাইবে। অভিযানের সংবাদ পৌছাইবার পূর্বেই তোমাকে সেখানে উপনীত হইতে হইবে। জয়লাভ করিলে সেখানে অধিককাল অবস্থান করিও না। পথপ্রদর্শক গ্রহণ কর। তাহাদের গতিবিধি লক্ষ্য করিবার জন্য গুপ্তচর ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল অগ্রেই প্রেরণ কর।" মদিনার উপকন্ঠে জুরুফ নামক স্থানে সৈন্য সমাবেশ করা হইতে লাগিল। ইহা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর রোগাক্রান্ত হইবার পূর্ব দিনের ঘটনা। হযরত উসামা (রা.)কে আমীর নিযুক্ত করায় মুজাহিদের মধ্যে অসন্তোষের ভাব পরিলক্ষিত হইল এবং কেহ কেহ বিরূপ সমালোচনাও করিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৬