somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

The Madman - Kahlil Gibran (প্রথম পর্ব)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[The Prophet বইটা পড়ার পর থেকে কাহলিল জিব্রানের প্রতি যে ভালোলাগা শুরু হয়েছিল, তার কোন অন্ত আপাতদৃষ্টিতে এখনো চোখে পড়ে না। ঐ বইয়ের এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম তখন যে নাওয়া খাওয়া আক্ষরিক অর্থেই ছেড়ে দিয়েছিলাম কয়দিন, মাথায় সারাদিন শুধু এই জিব্রান আর তার বাণী নিঃসৃত The Prophet ঘুরত। কয়দিন যাবত তার The Madman বইটা পড়ছি। আমার কাছে কাহলিল জিব্রান হচ্ছেন আধুনিক ইশপ। তার প্রতিটি প্যারাবল ব্যাপক রহস্যঘেরা, কখনো কখনো দুই তিন বার পড়তে হয় সে রহস্য খুজে পাওয়ার জন্যে। The Madman পড়ার সময় খেয়ালের বশে বসে বসে কাপা হাতে কয়টা প্যারাবল অনুবাদ করে ফেলি; প্রথমে মনে হয়েছিল ভাবানুবাদ করব, কিন্তু ঐ যে রহস্যের কথাটা বলেছিলাম, ঐটা তখন আর থাকে না। আমার প্রথম অনুবাদ কাজ, তাই ভূল ভ্রান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক, বুঝতে সমস্যা হলে প্রতিটা গল্পের নিচেই মূল গল্পটা দেয়া আছে, পড়ে নিবেন আশা করি। মাত্র দশটা প্যারাবল দিলাম আজকে। গল্পের বিন্যাস বইয়ের মত না, অনেকটা আমার ইচ্ছামত দিয়েছি।

এখানে কাহলিল জিব্রানের আকা তিনটি ছবি দেয়া হয়েছে, তবে এগুলো বইয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।

উল্লেখ্য, ১৯১৮ সালে প্রকাশিত The Madman বইটা তার প্রকাশিত প্রথম ইংরেজী সাহিত্যকর্ম।
]

The new pleasure
গতরাতে আমি নতুন এক আনন্দের সন্ধান পাই, এবং প্রথমবারের মত যখন সেটা পরখ করতে গেলাম একজন দেবদূত এবং একজন শয়তান দ্রুত বেগে আমার গৃহের দিকে আসতে লাগলেন।

আমার দরজার সম্মুখেই তাদের সাক্ষাৎ হয় এবং আমার নতুন ‘আনন্দ’ কে নিয়ে তুমুল তর্কে লিপ্ত হন দুজন।

একজন তীব্র অনুযোগের স্বরে বললনে, “ইহা একটি পাপ!”
অন্যজন বলে উঠলেন, “ইহা একটি পুণ্য!”

মূলগল্পঃ Last night I invented a new pleasure, and as I was giving it the first trial an angel and a devil came rushing toward my house. They met at my door and fought with each other over my newly created pleasure; the one crying, “It is a sin!”—the other, “It is a virtue!”

The two learned men
আফকার নামক শহরে এককালে দুজন শিক্ষিত লোক বসবাস করতেন এবং দুজনেই একে অপরের শিক্ষাকে চরম ঘৃণার চোখে দেখতেন। তাদের একজন ইশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতেন এবং অন্যজন ছিলেন পুরোদমে আস্তিক।

একদিন বাজারে তাদের দুজনের দেখা হয় এবং অনুসারীদের সামনেই ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে তুমুল যুক্তি তর্ক মেতে উঠেন। এবং কয়েক ঘন্টা বচসার পরে দুজন ক্ষান্ত দেন।

ঐ সন্ধ্যাতেই ...
যিনি নাস্তিক ছিলেন, তিনি মন্দিরে গমন করে নিজেকে সমর্পণ করেন ইশ্বরের সামনে এবং নিজের অতীতের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ঠিক এই সময়েই, অপর শিক্ষিত লোক, যিনি ছিলেন পুরোদমে ঈশ্বরে বিশ্বাসী , পুড়িয়ে ফেলেন তার সকল পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থাবলী। অতঃপর, তিনি হয়ে যান সম্পূর্ণ নাস্তিক।

মূলগল্পঃ Once there lived in the ancient city of Afkar two learned men who hated and belittled each other's learning. For one of them denied the existence of the gods and the other was a believer.
One day the two met in the market-place, and amidst their followers they began to dispute and to argue about the existence or the non-existence of the gods. And after hours of contention they parted.
That evening the unbeliever went to the temple and prostrated himself before the altar and prayed the gods to forgive his wayward past.
And the same hour the other learned man, he who had upheld the gods, burned his sacred books. For he had become an unbeliever.

The good God and the evil God
পাহাড়ের এক চূড়ায় মঙ্গলের দেবতা এবং অনিষ্টের দেবতার সাক্ষাৎ হয়।
মঙ্গলের দেবতা বললেন, ‘শুভ সকাল, ভ্রাতা!’
অনিষ্টের দেবতা কোন জবাব দিলেন না।
এবং মঙ্গলের দেবতা আবারো বলেন, ‘আজকে মন খারাপ মনে হচ্ছে!”
“হুম” বললেন অনিষ্টের দেবতা, “প্রায়ই মানুষ আমাকে তুমি মনে করে তোমার নামে ডাকে, আমাকে তোমায় ভেবে তোমার মত করে আচরণ করে। এবং এটা আমাকে পীড়ন দেয়”।
মঙ্গলের দেবতা তখন বললেন, ‘কিন্তু আমাকেও তো তুমি ভেবে ভূল করা হয়!’

অতঃপর, অনিষ্টের দেবতা মানুষের বোকামিকে অভিশাপ দিয়ে হন হন করে চলে গেলেন।

মূলগল্পঃ The Good God and the Evil God met on the mountain top.
The Good God said, “Good day to you, brother.”
The Evil God made no answer.
And the Good God said, “You are in a bad humour today.”
“Yes,” said the Evil God, “for of late I have been often mistaken for you, called by your name, and treated as if I were you, and it ill-pleases me.”
And the Good God said, “But I too have been mistaken for you and called by your name.”
The Evil God walked away cursing the stupidity of man.



Ambition
সরাইখানার টেবিলে তিনজন লোক মিলিত হল, একজন তাঁতি, একজন কাঠমিস্ত্রী এবং একজন কৃষক।

তাঁতি বলে উঠলেন, “আমি আজকে সবচেয়ে ভালো শবাচ্ছাদন বস্ত্র বিক্রি করেছি দুটো স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে। চলো পানাহারে মেতে উঠি”।

“এবং আমি”, কাঠমিস্ত্রী বললেন, “আমি সর্বোৎকৃষ্ট কফিন বিক্রি করেছি। মদের সাথে রোস্ট নেব আজকে”।

কৃষক বললেন, “আমি শুধু একটা কবরই খুড়েছি, কিন্তু মালিক আমাকে দিগুন পরিশোধ করেছেন। তাই মধু কেকও নেয়া যাক সাথে”।

সে সন্ধ্যায় পানশালাটা খুবই ব্যাস্ত ছিল; বারে বারে মদ, মাংস আর কেক আসছিল টেবিলে। এবং তারা তিনজনই খুবই উৎফুল্ল ছিল।

সরাইরক্ষক তার হাত কচলাচ্ছিলেন এবং স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছিলেন, কেননা অতিতিরা হাত খুলে খরচ করছিলেন।

তারা যখন চলে যাচ্ছিল আকাশে তখন পূর্ণচাদ এবং তারা গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে এবং চিৎকার করতে করতে হাটছিল। সরাইরক্ষক তার স্ত্রীর সাথে সরাইখানার ফটকে দাঁড়িয়ে তাদেরকে দেখছিলেন।

“আহ!” স্ত্রী বললেন, “ভদ্রলোকেরা! বড়ই খরুচে এবং বড়ই প্রাণচঞ্চল! তারা যদি প্রতিদিন এমন সৌভাগ্য নিয়ে আসত, তাহলে আমাদের ছেলেকে আর সরাইরক্ষক হতে হত না এবং এত কষ্ট করতে হত না। আমরা তাকে পড়ালেখা করাতাম এবং একদিন সে একজন যাজক হত”।

মূলগল্পঃ Three men met at a tavern table. One was a weaver, another a carpenter and the third a ploughman.
Said the weaver, “I sold a fine linen shroud today for two pieces of gold. Let us have all the wine we went.”
“And I,” said the carpenter, “I sold my best coffin. We will have a great roast with the wine.”
“I only dug a grave,” said the ploughman, “but my patron paid me double. Let us have honey cakes too.”
And all that evening the tavern was busy, for they called often for wine and meat and cakes. And they were merry.
And the host rubbed his hands and smiled at his wife; for his guests were spending freely.
When they left the moon was high, and they walked along the road singing and shouting together.
The host and his wife stood in the tavern door and looked after them.
“Ah!” said the wife, “these gentlemen! So freehanded and so gay! If only they could bring us such luck every day! Then our son need not be a taven-keeper and work hard. We could educate him, and he could become a priest.”


The wise king
কোন একসময় উইরানি নামক এক দূরবর্তী শহরে শাসন করতেন এক প্রতাপশালী ও জ্ঞানী রাজা। তার শক্তিমত্তার জন্যে তিনি ছিলেন ভীত এবং জ্ঞানের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা।

তো, সেই শহরের প্রাণকেন্দ্রেই ছিল একটি কুয়ো ; যেমন ঠান্ডা ছিল এর পানি তেমন ছিল স্বচ্ছ। শহরের সকল অধিবাসীরা এমনকি রাজা স্বয়ং এই কুয়ো থেকে পানি পান করতেন, যেহেতু রাজ্যে আর কোন কুয়ো ছিল না।

এক রাত্রে, যখন সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন তখন এক ডাকিনী প্রবেশ করে শহরে; কুয়োর পানিতে সে অদ্ভুত ধরনের সাত ফোটা তরল ছেড়ে দেয় এবং বিড়বিড় করে বলে, “এই মুহুর্তে হতে যে এই পানি পান করবে সে বদ্ধ উম্মাদে পরিণত হবে”।

পরেরদিন সকালে , শুদু মাত্র রাজা এবং তার গৃহাধ্যক্ষ ছাড়া সবাই সেই কুয়োর পানি পান করল, এবং সকলেই ডাকিনীর কথামত পাগল হয়ে গেলো।

ঐদিন শহরের অলিতে গলিতে, বাজারে বন্দরে সবখানেই অধিবাসীরা সকল কাজকর্ম বাদ দিয়ে শুধু ফিসফিস করছিল, “আমাদের রাজা পাগল হয়ে গিয়েছেন। তিনি এবং তার গৃহাধ্যক্ষ সকল যুক্তি খুইয়েছেন। আমরা কোনভাবেই একজন পাগল রাজার অধীনে থাকতে পারি না, আমাদেরকে অবশ্যই তাকে সিংহাসনচ্যুত করতে হবে”।

ঐ সন্ধ্যাতেই রাজা আদেশ দিলেন তার স্বর্ণালী পানপাত্রটি দিয়ে কুয়ো থেকে পানি আনতে। অতঃপর রাজা এবং তার গৃহাধ্যক্ষক সেই পানি পান করলেন।

এবং অবশেষে উইরানি নামক ঐ দূরবর্তী শহরে আবারো শুরু হল আনন্দ উৎসব, কেননা, রাজা ও তার গৃহাধ্যক্ষ তাদের চেতনা ফিরে পেয়েছেন।

মূলগল্পঃ Once there ruled in the distant city of Wirani a king who was both mighty and wise. And he was feared for his might and loved for his wisdom.
Now, in the heart of that city was a well, whose water was cool and crystalline, from which all the inhabitants drank, even the king and his courtiers; for there was no other well.
One night when all were asleep, a witch entered the city, and poured seven drops of strange liquid into the well, and said, “From this hour he who drinks this water shall become mad.”
Next morning all the inhabitants, save the king and his lord chamberlain, drank from the well and became mad, even as the witch had foretold.
And during that day the people in the narrow streets and in the market places did naught but whisper to one another, “The king is mad. Our king and his lord chamberlain have lost their reason. Surely we cannot be ruled by a mad king. We must dethrone him.”
That evening the king ordered a golden goblet to be filled from the well. And when it was brought to him he drank deeply, and gave it to his lord chamberlain to drink.
And there was great rejoicing in that distant city of Wirani, because its king and its lord chamberlain had regained their reason.


The Pomegranate
এককালে, যখন আমি এক ডালিমের মাঝে বসবাস করছিলাম, আমি শুনলাম এক বীজ বলছে,
“এক সময় আমি এক শক্তিশালী বৃক্ষে পরিণত হব এবং বাতাস আমার ডালে গান গাইবে, সূর্য আমার পাতায় নাচবে এবং প্রতিটা ঋতু জুড়েই আমার সৌন্দর্য অটুট থাকবে”।

আরেকজন তখন কথা বলে উঠলো, “যখন আমি তোমার মতই তরুণ ছিলাম, আমিও এমন স্বপ্ন দেখতাম। এখন আমি বুঝি এবং জানি, আমার সকল আশাই ভেস্তে গেছে”!

তৃতীয়জন বলল, “আমিতো অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্যে সম্ভাবনামূলক কিছুই দেখি না”।

চতুর্থজন বলল, “উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ব্যতীত আমাদের জীবন কী একটা উপহাসেই না পরিণত হবে!”

পঞ্চম জন বলল, “যখন আমরা জানি ই না আমরা কি, তখন কি হব এটা নিয়ে কেন খামোখা তর্ক করছি?”

কিন্তু, ষষ্টজন উত্তর দিল, “আমরা যা আছি তাই থাকব”।

এবং সপ্তমজন বলে উঠল, ‘আমি খুব ভালো করে জানি কিভাবে কি হবে, কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না”।

তারপর অষ্টমজন বলল - পরে নবমজন – পরে দশমজন – এবং ধীরে ধীরে সবাই বলতে শুরু করল। এবং আমি কারো কন্ঠ আলাদা করতে পারছিলাম না।

এবং ঐদিনই আমি একটা কুইন্সের ভিতরে প্রবেশ করি, যেখানে বীজের সংখ্যা ছিল অল্প এবং সবকিছু প্রায় নিরবই ছিল।
[কুইন্স নাশপাতির মতো একধরনের ফল]

মূলগল্পঃ Once when I was living in the heart of a pomegranate, I heard a seed saying, “Someday I shall become a tree, and the wind will sing in my branches, and the sun will dance on my leaves, and I shall be strong and beautiful through all the seasons.”
Then another seed spoke and said, “When I was as young as you, I too held such views; but now that I can weigh and measure things, I see that my hopes were vain.”
And a third seed spoke also, “I see in us nothing that promises so great a future.”
And a fourth said, “But what a mockery our life would be, without a greater future!”
Said a fifth, “Why dispute what we shall be, when we know not even what we are.”
But a sixth replied, “Whatever we are, that we shall continue to be.”
And a seventh said, “I have such a clear idea how everything will be, but I cannot put it into words.”
Then an eighth spoke—and a ninth—and a tenth—and then many—until all were speaking, and I could distinguish nothing for the many voices.
And so I moved that very day into the heart of a quince, where the seeds are few and almost silent.



On the strips of the temple
গত সন্ধ্যায়, মন্দিরের সিড়িতে দুই পুরুষলোকের মাঝে আমি এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখলাম।

মহিলার মুখাবয়বের এক পাশ ছিল বিষণ্ণ, অন্যদিকটা ছিল লজ্জায় আরক্তিম।

মূলগল্পঃ Yestereve, on the marble steps of the Temple, I saw a woman sitting between two men. One side of her face was pale, the other was blushing

The grave-digger
একদা, আমার এক মৃত আত্মাকে কবর দিচ্ছিলাম, তখন এক গোর খোদক পাশে এসে বলল, “এখানে যতজন কবর দিতে আসে তাঁদের মধ্যে তোমাকেই আমার সবচেয়ে বেশী পছন্দ”।

শুনে খুব খুশি হয়েই বললাম, “কিন্তু কেন আপনি পছন্দ করেন?”

“কারণ,” প্রত্যুত্তরে বলল সে, “সবাই কাঁদতে কাঁদতে আসে, কাঁদতে কাঁদতে যায়; শুধুমাত্র তুমিই আসার সময়ও হাস, যাওয়ার সময়ও হাস”।

মূলগল্পঃ Once, as I was burying one of my dead selves, the grave-digger came by and said to me, “Of all those who come here to bury, you alone I like.”
Said I, “You please me exceedingly, but why do you like me?”
“Because,” said he, “They come weeping and go weeping—you only come laughing and go laughing.”


The sleep-walkers
যে শহরে আমার জন্ম হয়েছিল সেখানে এক মহিলা তাঁর মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন; এবং তারা দুইজনেই ঘুমের মধ্যে হাটাহাটি করতো।

এক রাতে, যখন পুরো পৃথিবী নিরবতায় ডুবে আছে, তারা দুজন ঘুমের মধ্যে হাটতে হাটতে তাঁদের কুয়াশাচ্ছন্ন বাগানে এসে মিলিত হল।

এবং মা বলে উঠলেন, “অবশেষে, আমার শত্রুর দেখা পেলাম! তোর কারণে আমার যৌবন নষ্ট হয়েছে – যে তার নিজের জীবন গড়েছে আমারটা নষ্ট করে। তোরে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে!”

এবার কন্যাটাও মুখ খুলল, “ আরে তুই সেই স্বার্থপর ঘৃন্য বুড়ি! যে আমার নিজের জীবন ও স্বাধীনতার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে! যে আমার জীবনটা তাঁর বিষণ্ণ জীবনের ছায়ায় গড়ে তুলছে! মরিস না কেন তুই?”
ঠিক এই সময় এক মোরগের ডাকে তাঁদের ঘুম ভেঙ্গে গেল।
মা খুব আদুরে গলায় বললেন, “এইটা তুমি, ডার্লিং?”
“হুম! মা!” শান্তভরে জবাব দিল মেয়েটা।

মূলগল্পঃ In the town where I was born lived a woman and her daughter, who walked in their sleep.
One night, while silence enfolded the world, the woman and her daughter, walking, yet asleep, met in their mist-veiled garden.
And the mother spoke, and she said: "At last, at last, my enemy! You by whom my youth was destroyed—who have built up your life upon the ruins of mine! Would I could kill you!"
And the daughter spoke, and she said: "O hateful woman, selfish and old! Who stand between my freer self and me! Who would have my life an echo of your own faded life! Would you were dead!"
At that moment a cock crew, and both women awoke. The mother said gently, "Is that you, darling?" And the daughter answered gently, "Yes, dear."

The fox
সূর্যোদয়ের মূহুর্তে এক খেঁকশিয়াল নিজের ছায়ার দিকে তাকিয়ে ভাবল, “আজকে লাঞ্চের জন্যে একটা উট লাগবে!”

সারাটা সকাল হন্য হয়ে উট খোঁজাখুঁজি করল এবং দুপুরে আবারো নিজের ছায়ার দিকে তাকিয়ে চিন্তা করল, “নাহ! ইঁদুরেই চলবে!”

মূলগল্পঃ A fox looked at his shadow at sunrise and said, “I wil have a camel for lunch today.”
And all morning he went about looking for camels. But at noon he saw his shadow again—and he said, “A mouse will do.”



একনজরে কাহলিল জিব্রানঃ
১৮৮৩ সালে কাহলিল জিব্রান লেবাননের উত্তরে এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাহলিল একজন ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। মায়ের নাম ছিল ক্যামিলা রামেহ। ১৮৯৫ সালে জিব্রানের মা তার চার সন্তানকে নিয়ে জীবিকার তাগিদে বোস্টনে পাড়ি জমান। ১৮৯৮ সালেই জিব্রান আবার লেবাননে চলে আসেন আরবি এবং ফ্রেঞ্চ শেখার জন্যে। আবারো বোস্টনে ফিরে যান তিনি আরো ৪ বছর পরে, ১৯০২ সালে। এর মাঝে যক্ষা ও ক্যান্সারের কারণে তিনি হারিয়ে ফেলেন তার এক বোন, এক ভাই এবং মাকে।

১৯০৮ সালে তিনি পাড়ি জমান প্যারিসে, আর্টের জন্যে।

১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয় তার সবচেয়ে শ্রেষ্ট সাহিত্যকর্ম “The Prophet”। "the most loving book ever written."

১৯৩১ সালে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে নিউইয়র্কের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অতঃপর তার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় লেবাননে।

কাহলিল জিব্রান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকেঃ
http://www.gibrankhalilgibran.org/AboutGebran/Biography/
https://en.wikipedia.org/wiki/Kahlil_Gibran

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২
১২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×