যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই -
যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই।
এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে, যে শতদল পদ্ম রাজে
তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই।
যাবার দিনে এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই।।
বাংলার কোন এক গ্রামের বাড়ির উঠোন। রাতে ঝিঝি পোকারা ডেকে যাচ্ছে সমানে। মাদুর পেতে উঠোনে বসেছে বালকটি। পাশে থাকা নিভু নিভু প্রদীপের শিখা কিশোরীর চোখের পলকের মতন তির তির করে কাঁপে। বালক সুর করে পড়ে যায়, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাটুজল থাকে..।’ শব্দের পর শব্দ, বাক্যের পর বাক্য, কথার পর কথা এমন সুন্দর করে সাজিয়েছেন কি আগে কোন কবি? এ’তো লেখা নয়, রং তুলি দিয়ে শব্দের আচড়ে অবিরাম যেন ছবি এঁকে চলা।
১৯১৩ তে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিলো কবি, উপন্যাসিক টমাস হার্ডির কিন্তু কই থেকে শব্দ দিয়ে ছবি আঁকা টেগোর নামের আলখেল্লা-পরা এক বুড়ো এসে পেয়ে গেল পুরস্কারটা। দরিদ্র দেশের সাহিত্যিকের এমন আস্পর্ধা দেখে অবাক হতে হয় বৈকি ! দু-লাইন গান লেখা মানুষটাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে এমন মাতামাতি দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন টমাস মান, বার্ট্রান্ড রাসেল। তা ও নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কবিগুরুর। মুগ্ধ করার জন্যে তিনি এসেছেন, এসেছেন আমাদের মনের কথা বলতে। দেহে প্রান থাকতে দেশের ধুলো-বালি, নদী, মানুষ দেখে মুগ্ধ হয়ে মুগ্ধ করার জন্যে লিখে গিয়েছেন সোনার কলম দিয়ে। শরৎচন্দ্র তো বলে, ‘তোমার দিকে চাহিয়া আমাদের বিস্ময়ের অন্ত নাই।’ কথা যে মিথ্যে নয়। ‘ মা, মাগো আমার ছুটি হয়েছে। এবার আমি বাড়ি যাবো।’ ছোটগল্পে কিশোর ফটিকের এ আহাজারি বুকে কঠিন হাহাকার তৈরি করে। ‘ আমি হƒদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল শুধাইল না কেহ।’ আহারে এমন গান’ও কি লিখেছে কেউ আগে। কি অদ্ভূত আর অসাধারন সৃষ্টি! আর কে পারত শুনি এমন?
কবি বলছি সত্যি, বিস্ময়ের অন্ত নেই আমাদের। নিশ্চিন্তে থাকুন এ বিস্ময় ফুরোবে না। আপনাকে নিয়ে এ বিস্ময় ফুরাবার নয়। মহাপ্রয়ান দিবসে আপনার জন্যে প্রেমিকার সবটুকু ভালোবাসা নিলামে দিলাম তুলে। যদিও অই ভালোবাসা আমার ছিলোনা। চাইলেও হবেনা। প্রেয়সী, কবির জন্যে যে ভালোবাসাটুকুন সযতনে রেখেছে আড়াল করে তা ছিনিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়। তা ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আমার মতন অভাজনের নেইও। হবেও না কোনদিন।
শুকনো মুখে তাই বলি- ঘৃনা রইল।
ভালোবাসা রইল।
শ্রদ্ধা রইল।
ভালো থাকবেন।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।