
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা উঠলেই হঠাৎ করে কিছু রথী মহারথী গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করে দেন চেতনা ব্যবসা! চেতনা ব্যবসা!। মনে হয় দেশে আর কোনো ব্যবসা নেই শুধুই চেতনার দোকানপাট চলছে।
আচ্ছা ভাই, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যদি চেতনা ব্যবসা হয়, তাহলে কি পাকিস্তানি প্রেমে গদগদ হয়ে দেশবিক্রি করা হলে তাকে কি বলবেন, দেশদ্রোহ ব্যবসা?
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা যদি ব্যবসা হয়, তাহলে রাজাকারের বিচার চাইতে গেলে যাদের গায়ে কাঁটা দেয়, তারা কি রাজাকার লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার?
এরা চায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলা না হোক, শহীদের রক্তের কথা না বলা হোক। কারণ ইতিহাসের পাতায় আলোকপাত করলে তাদের অন্ধকার বিশ্রী মুখটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই তো এই চিৎকার , চেতনা ব্যবসায়ী!।
এরা আবার বড় জ্ঞানী সাজে। বলে, এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে হবে?।
হ্যাঁ, শোনাতে হবে! কারণ তুমি যতই কান চেপে ধরো, শহীদ মিনারের মাটির গন্ধ, যুদ্ধক্ষেত্রের রক্তের দাগ আর মুক্তিযোদ্ধার করুণ আর্তনাদ তোমাকে ছাড়বে না।
তাহলে প্রশ্ন হলো আসল ব্যবসায়ী টা কে?
যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করায়, নাকি যে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে কলম চালায়?
যে স্বাধীনতার গল্প বলে, নাকি যে স্বাধীনতাকে পুরনো গল্প বলে গাল দেয়?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যারা ঠাট্টা করে, তারা বুঝুক জানুক এই চেতনা কোনো সস্তার সেলস প্রোডাক্ট নয়, বরং এই দেশের মুক্তিকামী মানুষের বুকের হাড় গোশত দিয়ে বানানো পরিচয়।
তাই তাদের বলি
চেতনা ব্যবসার বলার আগে আয়নায় একবার তাকাও। হয়তো দেখবে, আসল ব্যবসা তোমার গলায় ঝোলানো পাকিস্তানি ট্যাগেই চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


