দেওয়ান বাড়ির চার দিকের ঝোপঝাড় পরিস্কার হচ্ছে...বিশিষ্ট রাজাকার দেওয়ান মোল্লা কতৃক যুদ্ধের সময় মালাউন তাড়িয়ে দখল করা বাড়িটায় অনেক বছর পর চুনকাম হচ্ছে, তার সুযোগ্য পুত্র কাদের মোল্লা বিশাল বপু নিয়া কাজের তদারকিতে। সে মনে মনে খুশি, অনেক বছর পরে সুদিন আসতেছে...মাবুদ, মরার আগে আবার সুদিন!...সবই তোমার লীলা খেলা! মানুষ আমারে কম অপমান করে নাই... ভুলি কেমনে? একটা কিছু করণ দরকার...বোমা একটা ফাটাইতে হবে...পাবলিকের মনে যেন পুরান ডরটা ফিরা আসে। সে তার বিশস্ত ভৃত্য কে ডাকে...মনসুর এই দিকে আয়...জব্বরের পুলারে খবর লাগা আমি তার লগে কথা কমু!
সন্ধ্যায় মনসুর, জব্বার সাহেবের ছেলে কাননকে দেওয়ান বাড়িতে নিয়ে আসে!
মোল্লা: শোনলাম ঢাকা থেকে তুমি নাকি গা ঢাকা দিসো? তুমি নাকি বোলগারের নাস্তিক হইসো...?
কানন: না চাচা...ইউনিভার্সিটি বন্ধ...ক্লাস হচ্ছেনা...মায়ের শরীরটা ভালোনা, তাই ভাবলাম কয়েকদিন....।
মোল্লা: (মনসুরের বাড়িয়ে দেয়া চিলুমচিতে পিক ফেলে।) ক্লাস হয়না কেন?...তুমি নাস্তিক হইসো তাই তোমার মায়ের শরীর খারাপ হইসে, আল্লাহর গজব পড়ছে...তুমি কালকেই ঢাকা ফিরা যাবা, আমি আমার অঞ্চলে কোনো বোলগার নাস্তিক রাখুম না!
কানন চলে গেলে মোল্লা আবার মনসুরকে ডেকে এক বান্ডিল টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলে, পুরা অঞ্চলে রটায়া দাও জব্বরের পুলা বোলগারের নাস্তিক...এই অঞ্চলে তারে অবাঞ্চিত করা হইলো!