ইলেকট্রনিক কমার্স, যেটা সংক্ষিপ্তভাবে ই-কমার্স বলে পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছে অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আকারের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিচে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫টি মার্কেটিং কৌশল তুলে ধরা হয়েছে।
১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একটি পণ্য বা সেবা বিপণন করার প্রক্রিয়াকে বুঝায়। এখানে বাজারকরণ এর মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক, টুইটার, গুগল+, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়া ব্যবহার করা হয়। আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়বস্তু যেন সহজে বোধগম্য হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিপণন অব্যাহত রাখুন।
২. বিজনেস কার্ড বিতরণ
বিজনেস কার্ড বিতরণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার পরিচিত আত্মীয় ও বন্ধু মহলে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কার্ড বিতরণ করুন। সেই সঙ্গে সবাইকে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
৩. স্টিকার বিপনন
আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টিকার তৈরি করুন। এখানে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নাম, ওয়েব ঠিকানা বা লোগো এবং স্লোগান রাখতে পারেন। স্টিকার বিপনন এর জন্য অবশ্যই জলরোধী স্টিকার তৈরি করবেন যেন সহজে এটা নষ্ট না হয়। এগুলো আপনি অনুমতি নেওয়া সাপেক্ষে বিভিন্ন গাড়ি এবং কর্মস্থলে লাগাতে পারেন। বিশেষকরে ব্যক্তিগত গাড়ির পিছনে লাগাতে পারেন। এতে করে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে।
৪. মৌখিক যোগাযোগ
আপনি মৌখিক যোগাযোগ এর মাধ্যমেও আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাতে পারেন। এজন্য আপনার নেটওয়ার্কিং দক্ষতা থাকতে হবে। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে চেষ্টা করুন। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও ইভেন্টে উপস্থিত থাকুন, এবং আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য নতুন নতুন মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করুন।
৫. ব্লগিং
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এর জন্য ব্লগিং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ব্লগ তৈরি করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য ব্লগে লিখুন। এভাবে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তথ্য ব্লগে রাখুন। যেন আপনার ব্লগের একজন ভিসিটর লেখাগুলো পড়ে আপনার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা নিতে আগ্রহী হয়।
এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এবং পেইড এডভার্টাইসিং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এবং পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আশাকরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই ৫টি মার্কেটিং কৌশল সহায়ক হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।